Hooghly News: শনি পুজো বা সত্যনারায়ণের সিন্নি, যেকোনও পুজোতেই পড়াশোনা লাটে ওঠে এই স্কুলের
- Published by:kaustav bhowmick
Last Updated:
গ্রামের মধ্যে সরকারি স্কুল বিল্ডিং থাকলেও নেই জায়গায়। তার জেরে ক্ষুব্ধ স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি হুগলির গোঘাটের নবাসন বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়।
হুগলি: ১৯৪৮ সালে প্রাথমিক স্কুলটি তৈরি হলেও তা আজও নিজস্ব জমি পায়নি। ফলে বাধ্য হয়ে গ্রাম ষোলানা বা গ্রামের সকলের যে সমষ্টিগত সম্পত্তি যেখানে মন্দির, অনুষ্ঠানের জায়গা থাকে সেখানেই চলছে। এর ফলে কোনও ধর্মীয় বা সামাজিক অনুষ্ঠান থাকলেই স্কুলের পঠন-পাঠন লাটে ওঠে বাধ্য হয়ে ছেলেমেয়েদের ছুটি দিয়ে দিতে হয়। এমনি বেড়াল অবস্থা গোঘাটের নবাসন বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলির এই প্রাথমিক স্কুলটি এক সময় মাটির ছিল। ধীরে ধীরে তা ভেঙে পড়ে। নতুন স্কুল বিল্ডিং তৈরির জন্য বারবার প্রশাসনিক স্তরে আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি। এবং তারপর থেকেই স্কুল বিল্ডিং করার জন্য বারবার প্রশাসনকে লিখিত আবেদন করেও কোনও কাজ হয়নি। স্কুলের পঠন-পাঠন বজায় রাখতে গ্রামের মানুষ একপ্রকার বাধ্য হয়ে ষোলনাতে অস্থায়ীভাবে ক্লাস করানোর অনুমতি দেয়। পরবর্তীতে সেই ষোলনার জমিতেই গড়ে ওঠে স্কুল বিল্ডিং। এরপর থেকেই শুরু হয়েছে সমস্যা।
advertisement
advertisement
পড়ুয়াদের অভিভাবক থেকে শুরু করে গ্রামবাসী, পড়াশোনার পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে পাশের একটি মাঠের ফাঁকা জায়গায় উঠে যাক স্কুল বিল্ডিংটি। স্কুল কর্তৃপক্ষেরও তাই মত। এই বিষয়ে বারবার প্রশাসনের নানান স্তরে আবেদনও জানানো হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রেও কোনরকম সাড়া আসেনি বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
নবাসন বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবাশিস মাপুই জানান, গ্রামের মানুষের একত্রিত হওয়ার জায়গাতেই চলছে পড়াশোনা। ফলে যে কোনও পুজো পার্বন বা উৎসব অনুষ্ঠানে পঠন-পাঠানে ব্যাঘাত ঘটে। তিনি বলেন, পাশের একটি খেলার মাঠে স্কুলকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। এই বিষয়ে প্রশাসনকেও জানিয়েছি। কিন্তু ব্যাপারটাতে গা করছে না কেউ। বিভিন্ন দফতরে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কোনও কাজ হচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, আর কতদিন ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ক্ষতি হবে!
advertisement
শুভজিৎ ঘোষ
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
April 11, 2023 2:34 PM IST
