Scam: দুর্নীতি তদন্তে ভুল বাড়িতে ঢুকল ইডি! সাড়ে ৩ ঘণ্টা ধরে খোঁজ চলল 'আসল' বাড়ির
- Published by:Suvam Mukherjee
- hyperlocal
- Reported by:RAHI HALDAR
Last Updated:
Scam: মঙ্গলবার সকাল থেকেই জেলায় ঘুরতে থাকে ইডি আধিকারিকরা। প্রথমে তারা হানা দেয় চুঁচুড়ার ময়নাডাঙ্গা এলাকার এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে
হুগলি: চন্দননগরে ইডি অভিযান পঞ্চায়েত কর্মীর বাড়িতে। চন্দননগর হরিদ্রাডাঙ্গা এলাকায় এক নির্মাণ সহায়কের বাড়িতে ইডি হানা দেয়। নির্মাণ সহায়ক সন্দীপ সাধুখাঁর বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে ইডি আধিকারিকরা। সন্দীপ সাধুখাঁ আগে ধনিয়াখলীর বেলমুরি গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্মান সহায়ক ছিলেন। তবে বর্তমানে তিনি খানাকুলের জগৎপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্মান সহায়ক পদে রয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই জেলায় ঘুরতে থাকে ইডি আধিকারিকরা। প্রথমে তারা হানা দেয় চুঁচুড়ার ময়নাডাঙ্গা এলাকার এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে। সেই ব্যবসায়ীর নাম সন্দীপ সাধুখাঁ হওয়ায় ভুল করে সেই ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। এরপর সেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে চলে যায় সিঙ্গুর হয়ে হরিপাল। সেখান থেকে ঘুরে আবার চুঁচুড়া খাদিনা মোড়ে।
advertisement
advertisement
প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা ঘোরাঘুরি করে সোয়া ১২ টা নাগাদ চন্দননগর হরিদ্রাডাঙ্গায় নির্মাণ সহায়ক সন্দীপ সাধুখাঁর বাড়ি খুঁজে পায়। বাড়িতে সন্দীপ বাবুর মা মলিনা দেবী স্ত্রী মৌসুমী দেবী রয়েছেন। দুজন প্রতিবেশীকে ডেকে তাদের সঙ্গে নিয়ে বাড়ির ভিতরে যান ইডি আধিকারিকরা। বাড়ির বাইরে মোতায়েন থাকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। সূত্রের খবর, ১০০ দিনের কাজে ভুয়ো জব কার্ড ও আর্থিক তছরুপের অভিযোগ সামনে আসে।
advertisement
এ বিষয়ে ২০১৮ থেকে ২০২১ সালে ধনিয়াখালি, মুর্শিদাবাদ সহ মোট পাঁচটি এফআইআর হয়। তার ভিত্তিতে হাইকোর্টে মামলা হয়। এই প্রথমবার ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির তদন্ত শুরু করে। সন্দীপের মা মলিনা বলেন, সন্দীপের বাবা অমল সাধুখাঁ ২০০৮ সালে প্রয়াত হন। তিনি রেলে চাকরি করতেন ছেলে তার আগেই পঞ্চায়েতে চাকরি পায়। ১৯৮৪ সালে হরিদ্বার ডাঙ্গায় জমি কিনে বাড়ি করেন। ইডি কেন এল কীসের তদন্ত সে বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
advertisement
সন্দীপের স্ত্রী মৌসুমী বলেন, আমার স্বামী আগে ধনিয়াখালির বেলমুড়ি পঞ্চায়েতে নির্মাণ সহায়ক পদে চাকরি করতেন। বর্তমানে খানাকুলের একটি পঞ্চায়েতে আছেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালেও তিনি কাজে বেরিয়ে যান। বাড়িতে ইডি অফিসাররা এসে জিজ্ঞেস করে আমার স্বামীর কথা তখন আমি তাদের ফোন নম্বর দিই তারা ফোনে কথা বলেন। কী দুর্নীতি, কেন তদন্ত, এসব বিষয় আমার অজানা।
advertisement
রাহী হালদার
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
February 06, 2024 3:06 PM IST