হুগলি: দোলের দিনেই শুরু হল দুর্গাপুজো! আপনি চমকে উঠবেন না, দুই শতক ধরে এমনই রীতি চলে আসছে শ্রীরামপুরের পঞ্চাননতলার দে বাড়ির পুজোয়। যদিও তা এখন সার্বজনীন পুজো হিসেবেই পরিচিত। এখানে দোলের দিন দেবীর বোধন হয়। এরপর রীতি মেনে চার দিন ধরে পুজো চলে, ঠিক যেমনটা দেখা যায় শারদীয়া দুর্গাপুজোয়। দেবী দুর্গা এখানে মহিষাসুরমর্দিনী রূপে পূজিত হন। তবে তাঁর সঙ্গে লক্ষ্মী গণেশ কার্তিক সরস্বতীরা থাকে না। বদলে দুই পাশে থাকে সখী জয়া ও বিজয়া।
১২১১ বঙ্গাব্দে শ্রীরামপুরের জমিদার পুকিন বিহারী দে দোলের দিন এই দুর্গাপুজোর প্রচলন করেন। কালের নিয়মে জমিদার বাড়ির সেই পুজো এখন সর্বজনীন। এই বছরের দোলে দুর্গাপুজো ২১৯ তম বর্ষে পদার্পণ করল। ইতিহাসের পাতা উল্টে জানা যায়, ১২১১ বঙ্গাব্দের দোলের দিন শ্রীরামপুরের জমিদার পুলিন বিহারী দে ও নগেন্দ্রনাথ দে এই পুজোর প্রচলন করেন। সেই থেকেই দোলের দিন এই দুর্গাপুজো হয়ে আসছে। দোলের সকালে আবির খেলার পর শুরু হয় মহিষাসুরমর্দিনীর পুজো।
আরও পড়ুন: রাত হলেই মহানন্দার পাড়ে শুরু হয়ে যায় মাটি মাফিয়াদের দাপাদাপি, ফের ভাঙন আতঙ্ক মালদহে
এই দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন কয়েক হাজার মানুষ অন্নভোগ গ্রহন করেন। সেদিন এলাকার কোনও বাড়িতে রান্নার উনুন জ্বলে না। চারদিনের এই পুজো ঘিরে আট থেকে আশি সকলেই মেতে ওঠেন। মনে করা হয়, দোলের দিনই নাকি দুষ্টু মহিষাসুরকে বধ করে অশুভ শক্তির বিনাশ করেছিলেন দেবী দুর্গা। এই দোলের দিন শ্রী রামচন্দ্র দেবী দুর্গার অকালবোধন করেছিলেন বলে অনেকের ধারণা।
দোলের পাশাপাশি একইসঙ্গে এলাকায় দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হওয়ায় এই সময় পঞ্চাননতলার মানুষ বেশ খুশিতে থাকে। পুজো উপলক্ষে দোলের দিন সকালে প্রভাত ফেরি বের হয়। নাচে-গানে আনন্দে মেতে ওঠেন পাড়ার সবাই। এই মহিষাসুরমর্দিনীর আরাধনা খুবই নিষ্ঠা ভরে হয়। দেবী খুব জাগ্রত বলে এলাকায় পরিচিত।
রাহী হালদার
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Durga Puja 2023, Holi 2023