Hooghly News: ভেড়ির ধারের আলপথই গ্রামবাসীদের যাতায়াতের রাস্তা
- Written by:Bangla Digital Desk
- local18
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
Last Updated:
Hooghly News: গ্রামে ঢোকা ও বেরোনোর জন্য কোন রাস্তায় নেই বলে জানান তারা। হাইড্রেন এর গার্ডোয়াল নইলে ভেড়ির ধারের আল সেটি তাদের যাতায়াতের মূল পথ।
রাহী হালদার, হুগলি: ভোট আসে ভোট যায় শুধুই মেলে প্রতিশ্রুতি। হুগলির কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সৌরদীপ পল্লী চক্রবর্তী নগর গ্রামে প্রায় দেড়শটি পরিবারের বসবাস। তবে গ্রামবাসীদের অভিযোগ বছরের পর বছর ঘুরে গেলেও মেরেনি তাদের রাস্তা। গ্রামে ঢোকা ও বেরোনোর জন্য কোন রাস্তায় নেই বলে জানান তারা। হাইড্রেন এর গার্ডওয়াল নইলে ভেড়ির ধারের আল সেটি তাদের যাতায়াতের মূল পথ।
সামনেই পঞ্চায়েত ভোট, পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেমন আছেন গ্রামবাসীরা তা জানার জন্য নিউজ ১৮ লোকাল পৌঁছে গিয়েছিল হুগলির কানাইপুর পঞ্চায়েতের একটি গ্রামে। যদিও তাকে গ্রাম না বলে বিচ্ছিন্ন দীপ বলা ভালো। কেন বলা হচ্ছে বিচ্ছিন্ন দীপ! কারণ বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ সাধনের পথটাই নেই তাদের। এখানে পথ বলতে রাস্তার কথাই বোঝানো হয়েছে। গ্রামের ধোকা বা বেরোনোর জন্য কোন রাস্তা নেই। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে প্রশাসনের কাছে বারবার দারস্ত হয়েও সুরাহ মেলেনি গ্রামবাসীদের।
advertisement
advertisement
আক্ষেপের সুরে এক গ্রামবাসী জানান, ভোট দিয়ে তারা পঞ্চায়েতের সদস্য যাকে নির্বাচন করেছেন কোনদিনও তার টিকি টুকু মেলে না গ্রামবাসীদের জন্য। গ্রামবাসীরা শুধুই বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। গ্রামের মানুষদের দাবি ছিল একটি রাস্তার। যা দিয়ে তারা যাতায়াত করতে পারবেন। কিন্তু তাও হয়নি। গ্রামে নেই পানীয় জলের ব্যবস্থাও। সরকারের তরফ থেকে একটি টিউবওয়েল বসিয়ে দেওয়া হলেও তা দিয়ে পরিশোধিত জল বেরোয় না।
advertisement
স্থানীয় আরেক গ্রামবাসী জানান, কেউ অসুস্থ হলে তাকে কাঁধে করে গ্রাম থেকে নিয়ে যেতে হয়। কারণ গ্রামের মধ্যে কোন এম্বুলেন্সে ঢুকতে পারে না। ঢুকবেই বা কি করে ঢুকার রাস্তাই তো নেই। ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজের পড়াশোনা করতে গেলেও যেতে হয় পাশের গ্রামে। ওই গ্রাম বাসীর কথায় "গরিবের কথা কে শোনে। যদি শুনত তাহলে এতদিনে হয়তো গ্রামে একটা রাস্তা হত।"
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
Jan 19, 2023 12:11 AM IST









