#হুগলি : ট্রেন থেকে নিখোঁজ যুবক। নিখোঁজ হওয়ার ১৪ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও কোনও খোঁজ মেলেনি ওই যুবকের। নিখোঁজ ব্যক্তির নাম বিকি তুড়ির। গুজরাটের রাজকোটে যাবেন বলে ট্রেনে উঠেছিলেন ওই ব্যক্তি। বাড়ির একমাত্র রোজগেরে সদস্যের নিখোঁজ হয়ে যাওয়াতে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে পরিবারের। গুজরাটের রাজকোটে সোনার দোকানে কাজ করেন পান্ডুয়ার বিকি তুড়ির। সেখানে পরিবার নিয়ে থাকেন বিকি। বিজয় তুড়ির ভাগ্না বিকি। ভাগ্নার কাছে বেড়াতে যাবেন বলে গত ১৯ নভেম্বর বেরোন পান্ডুয়ার পশ্চিম বালিহাট্টার বিজয়। তার সঙ্গে ছিলেন বিকির শ্যালিকা ও তার পনের বছরের ছেলে।
সালিমার পোরবন্দর এক্সপ্রেসে সাঁতরাগাছি থেকে তাদের তুলে দিয়ে আসেন বিজয়ের স্ত্রী। রাত দশটা কুড়িতে ট্রেন ছাড়ে। পরদিন সকাল ছটায় শেষ কথা হয় স্ত্রী রেবার সঙ্গে। এগারোটায় একবার ফোন করলেও কথা বলতে পারেননি শুধু জানিয়েছিলেন শরীর ভালো লাগছে না। তারপর আর যোগাযোগ করা যায়নি বলে জানান রেবা। ভাগ্নার শ্যালিকা তাদের জানান রায়পুর স্টেশনে নেমে পড়তে দেখেন। সেখান থেকে কোথায় গেলেন জানা যায়নি।
আরও পড়ুনঃ হিমঘরেরই পচন ধরছিল আলুতে! জট কাটল জেলা শাসক ও কৃষিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে
ভেবেছিলেন হয়ত ট্রেনের অন্য কামরায় উঠে পড়েছেন। রাজকোটে ট্রেন থামলে খোঁজাখুঁজি করেন ভাগ্না কিন্তু সন্ধান মেলেনি। ফোনও বন্ধ রয়েছে। হাসপাতাল, পুলিশে জানিয়েও মেলেনি খোঁজ। পান্ডুয়া থানায় নিখোঁজের ডায়রি করে পরিবার। রঙের কাজ করেন বিজয়। তার উপরই ভরসা পরিবারের। রেবা তুড়ি বলেন,খুবই দুশ্চিন্তায় আছি। যেদিন শেষ কথা হল বলল শরীর খারাপ লাগছে। কি হল কোথায় গেল কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।
Rahi Haldarনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।