হোম /খবর /হুগলি /
লালন মেলা, জিরাট যেন হয়ে উঠেছিল মহামিলন ক্ষেত্র

Hooghly News: লালন সাঁইয়ের আদর্শ তুলে ধরে জিরাটে হয়ে গেল চারদিনের মেলা

X
title=

হুগলির বলাগড়ের জিরাটে হয়ে গেল চার দিনব্যাপী লোকশিল্প মেলা। লালন সাঁইয়ের আদর্শ তুলে ধরে গ্রাম বাংলার বিভিন্ন লোকশিল্পীদের নিয়ে চার দিনব্যাপী জমজমাট গানের আসর বসেছিল এখানে

  • Share this:

হুগলি: মহাসমারহে শেষ হল হুগলির জিরাটের পঞ্চম লালন উৎসব। চার দিনব্যাপী এই লালন উৎসব ঘিরে বাউল, ফকির, লোকশিল্পীদের সমাগম হয় হুগলিতে। তাঁদের গানে গানে মেতে ওঠে গোটা চত্বর। যা দেখতে, শুনতে বহু দুর দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন মানুষজন।

জিরাট কলোনি হাই স্কুলের মাঠে আয়োজন করা হয় পঞ্চম বর্ষের লালন উৎসবের। প্রতি বছরের মত এবারও যথোচিত মর্যাদায় বাউল, ফকির, লোকশিল্পীদের এখানে স্বাগত জানানো হয়েছিল।

বলাগড়ের জিরাটের ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবের মূল আকর্ষণ হল লোক সংস্কৃতি। লোকসংস্কৃতির বিভিন্ন আঙ্গিক অর্থাৎ ঝুমুর, দরবেশ, বাউল, ফকির, মনসামঙ্গলের ইতিহাসকে সম্বল করে এই মেলার পথ চলা। মুলত লালন সাঁইয়ের ভাবধারার কথা মাথায় রেখেই এই উৎসব শুরু হয়। লালন বলেছিলেন, 'কেউ মালা কেউ তসবির গলে তাই তো রে জাত ভিন্ন বলে', কিংবা 'আমার প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে'। সবার উপরে মানুষ সত্য এই বাণীকে সামনে রেখেই জাতিধর্মনির্বিশেষে লালন উৎসবের আয়োজন।

আরও পড়ুন: বাম বা তৃণমূল, সরকার যায় সরকার আসে, সেতু তৈরির প্রতিশ্রুতি মনে রাখে না কেউ!

একদিকে যেমন লোকসংস্কৃতির ধারক ও বাহক এই উৎসব, ঠিক তেমনভাবেই বাংলার হারিয়ে যাওয়া হস্তশিল্পের বিভিন্ন স্টল দেওয়া হয় এই মেলায়। ধনিয়াখালি থেকে কেউ তাঁত আবার কেউ হস্তশিল্পের তৈরি নানান পোশাক, গয়নাগাটি ঘর সাজানোর জিনিসপত্র নিয়ে পসরা সাজান। চার দিন ধরে চলে বাউল উৎসব এবং মিলন মেলা। গত দু'বছর করোনার জন্য অনেক কাটছাঁট করে প্রটোকল মেনে মেলা আয়োজন করতে হয়েছিল। তবে এবারে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক থাকায় জিরাটের এই লালন মেলায় স্বতঃস্ফূর্ততা ছিল অনেক বেশি।

এই চারদিন উত্তরবঙ্গ, বোলপুর, পুরুলিয়া থেকে যেমন এসেছিলেন ঝুমুর শিল্পীরা, ঠিক তেমনই ওপার বাংলা থেকেও হাজির ছিলেন গুণী শিল্পীরা। ওপার বাংলার বগা তালিব, নুর আলম এপারের লক্ষণ দাস বাউল সহ আরও বহু প্রখ্যাত মাটির শিল্পীরা হাজির ছিলেন।

রাহী হালদার

Published by:Ananya Chakraborty
First published:

Tags: Folk music, Hooghly news