Subhas Chandra Bose| Independence Day: অস্টিনে চেপে রায়বাহাদুরের বাড়িতে নেতাজি! বেলুরইয়ের স্মৃতিতে উজ্জ্বল সেইদিন...

Last Updated:

Subhas Chandra Bose| Independence Day: সুভাষচন্দ্র বসুর মহানিষ্ক্রমন বীজ বপন করেছিল ভারতের বুকে ব্রিটিশ শাসনের পতনের। দেশ ছেড়ে যাওয়ার সময় তিনি আসানসোল হয়ে পৌঁছেছিলেন গোমো স্টেশনে। দেশের স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিচারণ...

#নয়ন ঘোষ: স্বাধীনতা আন্দোলন ও নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু বাঙালির কাছে একপ্রকার সমার্থক শব্দই। হয়ত গোটা দেশবাসীর কাছেও। বাঙালি হিসেবে গর্ববোধ করার অন্যতম কারণই হলেন নেতাজি। স্বাধীনতা আন্দোলনের এই নায়ক দেশবাসীর কাছে আজও অমর। আজাদ হিন্দ ফৌজের সর্বাধিনায়ক দেশের স্বাধীনতা আন্দোলকে অন্য দিশায় নিয়ে গিয়েছিলেন। সুভাষচন্দ্র বসুর মহানিষ্ক্রমন বীজ বপন করেছিল ভারতের বুকে ব্রিটিশ শাসনের পতনের। দেশ ছেড়ে যাওয়ার সময় তিনি আসানসোল হয়ে পৌঁছেছিলেন গোমো স্টেশনে। তারপর সেখান থেকে ট্রেন ধরেছিলেন ব্রিটিশ সৈন্যের চোখে ধুলো দিয়ে।
তবে তার আগেও অধুনা পশ্চিম বর্ধমানের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ ছিল নেতাজির। নিউজ ১৮-এর পাতায় উঠে এল সেই গল্পই। আসানসোলের সীতারামপুরের বেলুরই গ্রাম। সেখানের অভিজাত রায় পরিবার। রায় পরিবারের দুর্গাপুজো ও দশমীতে কামান দাগার গল্প হয়ত অনেকেই জানেন। কিন্তু রায় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল নেতাজিরও। রায়বাহাদুরের বাড়িতে এসে সময় কাটিয়েছেন নেতাজি।
advertisement
বেলুরইয়ের রায় পরিবারের কাছে সংরক্ষিত হয়েছে নেতাজির লেখা একটি চিঠি। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে নেতাজির কলকাতার বাড়ির ঠিকানা। সুভাষ চন্দ্র বসু এসে যে চেয়ারে বসেছিলেন, সেই চেয়ারটিও সংরক্ষণ করা হয়েছে পরম যত্নে। তবে এই বিষয়ে বিশেষ মুখ খুলতে চান না রায় পরিবারের সদস্যরা। নেতাজির স্মৃতি রায়বাড়ির চৌহদ্দির মধ্যেই সীমিত রাখতে চান তারা।
advertisement
advertisement
জানা গিয়েছে, সোনার বাংলা কটন মিলের বোর্ড অফ ডিরেক্টরর্সের সদস্য হওয়ার জন্য আমন্ত্রন পত্র পাঠিয়েছিলেন নেতাজি। চিঠিটি লেখা হয়েছিল সীতারমপুরের জমিদার রায়সাহেব নকুল চন্দ্র রায়কে। চিঠিটি যেদিন রায় বাহাদুর হাতে পেয়েছিলেন, সেদিন রায়বাড়িতে পদার্পন করেছিলেন নেতাজি। চিঠি পাঠানোর তারিখ ছিল ১৯৪০ সালের ১৬ জুন। সেদিনই অস্টিন গাড়িতে করে নেতাজি এসেছিলেন বেলুরইয়ের রায় বাড়িতে। বাড়ির নীচের তলায় একটি কাঠের চেয়ারে বসেছিলেন।
advertisement
একটি ৪/৬ ইঞ্চির কাগজে চিঠিটি লেখা হয়েছিল। সেখানে প্রেরকের ঠিকানা ইংরাজিতে চাইপ করে লেখা আছে। ঠিকানা দেওয়া আছে ‘৩৮/২, এলগিন রোড, ক্যালকাটা’। যে বাড়িটি বর্তমানে সংরক্ষিত একটি জায়গা। চিঠির নীচে কালো কালিতে হস্তাক্ষর রয়েছে নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের।
তবে এই চিঠি লোকচক্ষুরআড়লেই রেখে দিয়েছেন রায় পরিবারের বর্তমান সদস্যরা। খুব সযত্নে নেতাজির স্মৃতি মনের মনিকোঠায় রেখে দিয়েছেন তাঁরা।
advertisement
নেতাজি যে অস্টিন গাড়িটি ব্যবহার করতেন, তা বর্তমানে সংরক্ষিত রয়েছে। ইতিহাসবিদদের গবেষণা মতে, ১৯৩০ থেকে ১৯৪১ সাল পর্যন্ত ব্যবহার করতেন তিনি। ঝাড়খণ্ডের বেশিরভাগ জায়গা এবং আসানসোল সংলগ্ন জায়গাগুলিতে এই অস্টিন গাড়ি নিয়েই ঘুরতেন তিনি। নেতাজির ব্যবহৃত এই অস্টিন গাড়িটি বর্তমানে ধানবাদের ভারত কুকিং কোল লিমিটেডের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
এছাড়াও নেতাজি বেশ কয়েকবার এসেছিলেন রাণীগঞ্জে। জানা যায়, তৎকালীন রাণীগঞ্জ পুরসভার মেয়র ডঃ জ্যোতিষ চন্দ্র ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল নেতাজির। ডঃ জ্যোতিষ চন্দ্র ঘোষের মাধ্যমে বিপ্লবীদের সাহায্যের কাজ চলত। সেখানে অনেকবার এসেছেন গান্ধিজী, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস থেকে বহু স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক।
advertisement
স্থানীয় ইতিহাস গবেষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯৩৮ সালে একটি সমাবেশে যোগ দিতে রাণীগঞ্জে এসেছিলেন নেতাজি। রাণীগঞ্জ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাছে একটি মাঠে চার ঘণ্টা ব্যাপী জনসমাবেশে ভাষণ দেন নেতাজি। তারপর ভাষণ শেষে মাঠ সংলগ্ন রাণীগঞ্জ স্কুলপাড়ার একটি বাড়িতে ফিরে আসেন। সেখানে রাত্রিযাপন করে পরদিন নেতাজি রওনা দেন পুরুলিয়ার দিকে।
সবমিলিয়ে ইতিহাস গবেষকদের মতে, অধুনা পশ্চিম বর্ধমান জেলা বারবার রসদ জুগিয়েছে স্বাধীনতার ইতিহাসে। আজও শহরের অনেক জায়গায় লুকিয়ে রয়েছে স্বাধীনতা আন্দোলেনর গৌরবময় স্মৃতি। বাঙালির গর্ব নেতাজির সঙ্গে এই জেলার নিবিড় যোগাযোগের অমর কাহিনী আজও সমানভাবে অমলীন।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/ফিচার/
Subhas Chandra Bose| Independence Day: অস্টিনে চেপে রায়বাহাদুরের বাড়িতে নেতাজি! বেলুরইয়ের স্মৃতিতে উজ্জ্বল সেইদিন...
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement