গভীর রাতে স্নানে যান দেবী, ভেসে আসে ভেজা চুল ঝাড়ার আওয়াজ
Last Updated:
একচালার সাবেকি প্রতিমা। ষাঁড়ের উপর অন্তরঙ্গ শিব-দুর্গা। দুপাশে সরস্বতী-লক্ষ্মী-কার্তিক-গণেশ ছাড়াও আছে দুর্গার সুই সখী, জয়া-বিজয়া।
#বর্ধমান: মা আসে মেয়ে হয়ে। থাকে সারা বছর। বছর ভর পুজো। কিন্তু, পুজোর চার দিন, মেজাজ একেবারে অন্য রকম। বদল আছে রূপেও। এখানে মহিষাসুরমর্দিনী নয়। নয় সিংহবাহিনীও। বর্ধমানের বাড়ুজ্জে পরিবারের প্রতিমা হরগৌরী।
"সে আসবে, তাই নীল আকাশ,বলে আমার দিকে তাকাস/সে আসবে বলে, রবিবারের ধর্মতলা, যেন অষ্টমীর একডালিয়া ৷" সে আসবে বলে কত আয়োজন। ঢাকের ডাক শোনে মন। কারও ঘরে মা, কোনও পরিবারে মেয়ে। যেমন বর্ধমান শহরের বর্ধমানের খাজা আনোয়ারবেড়ের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার। বহু বছর আগে ঠাকুরবাড়িটি ছিল নন্দীদের। বংশরক্ষা না হওয়ায় বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারকে মন্দির দান করেন নন্দীরা। তারপর থেকে প্রায় আড়াইশো বছর ধরে এই মন্দিরে পুজো করে আসছে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার। এখানে পুজো হয় প্রতিদিন। তবে, পুজোর চারদিন একেবারে অন্য মেজাজ।
advertisement
একচালার সাবেকি প্রতিমা। ষাঁড়ের উপর অন্তরঙ্গ শিব-দুর্গা। দুপাশে সরস্বতী-লক্ষ্মী-কার্তিক-গণেশ ছাড়াও আছে দুর্গার সুই সখী, জয়া-বিজয়া। ষষ্ঠী থেকেই শুরু হয় বলি। চলে দশমী পর্যন্ত। দশমীর দিন যাত্রাপালার রেওয়াজও বদলায়নি এই ঠাকুরবাড়িতে। এই মেয়েকে নিয়ে মুখে মুখে নানা গল্প।
advertisement
স্বর্গে তো জবাকুসুম ফুল ফোটে না। তাহলে সবটাই কি আকাশকুসুম কল্পনা না পিছনে রয়েছে কোন স্মৃতিকথা? হয়তো বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের কোনও কন্যাগন্ধ। হয়তো হরগৌরীর মধ্যেই কোনও হারানো প্রিয়জনকে খোঁজেন বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার।
view commentsLocation :
First Published :
October 08, 2018 2:01 PM IST

