কন্ডোম চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ায় মেয়েকে খুন করলেন বাবা !

অপরাধ কন্ডোম চুরি ! ঘটনাকে কিছুতেই মেনে নিতে পারলেন না বাবা ৷ সোজা খুনই করে বসলেন মেয়েকে! হ্যাঁ এমন সাংঘাতিক ঘটনাই ঘটেছে জার্মানির এক পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত পরিবারে ৷ দোকান থেকে কন্ডোম চুরি করতে গিয়েছিলেন ১৯ বছরের এক কিশোরী। ধরা পড়া যাওয়ায় দিতে হল প্রাণ। হত্যাকারী তার নিজের বাবাই!

আরও পড়ুন...
  • Last Updated :
  • Share this:

    #বার্লিন: অপরাধ কন্ডোম চুরি !  ঘটনাকে কিছুতেই মেনে নিতে পারলেন না বাবা ৷ সোজা খুনই করে বসলেন মেয়েকে! হ্যাঁ এমন সাংঘাতিক ঘটনাই ঘটেছে জার্মানির এক পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত পরিবারে ৷ দোকান থেকে কন্ডোম চুরি করতে গিয়েছিলেন ১৯ বছরের এক কিশোরী। ধরা পড়া যাওয়ায় দিতে হল প্রাণ। হত্যাকারী তার নিজের বাবাই!

    চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি কন্ডোম চুরির অপরাধে মেয়ে লরিবকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন ৫১ বছরের আসাদুল্লাহ খান। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এই পরিবার জার্মানির বাসিন্দা। আসাদুল্লাহ ও তার স্ত্রী শাজিয়া(৪১) দুজনকেই খুনের দায়ে অভিযুক্ত করেছে জার্মানির ডার্মসটাড পুলিস। মেয়েকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন খান। তার বক্তব্য এক মুসলিম তরুণের সঙ্গে মেয়ের শারীরিক সম্পর্ক তিনি মেনে নেননি বলেই খুন করেছেন মেয়েকে।

    2CDB33C300000578-3251787-The_court_heard_that_Lareeb_stayed_away_from_the_home_for_severa-m-55_1443438081877

    শুনানির সময় শাজিয়া জানিয়েছেন স্বামীর হাত থেকে মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু স্বামী তাকে সব ক্ষেত্রেই দমিয়ে রাখতেন বলে পেরে ওঠেননি। যদিও তার এই বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন খান দম্পতির ছোট মেয়ে নাদিয়া। তিনি বলেছেন, "মাকে কখনই দমিয়ে রাখা হতো না। যা চাইতেন তাই করতে পারতেন। আমাকে মা লাঠি দিয়ে মারতেন।" নাদিয়া আরও জানিয়েছেন তাদের বাবা কোনওদিনই লরিবের সম্পর্ক মেনে নেননি। জোর করে তাকে পাকিস্তানে নিয়ে গিয়ে বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন।

    আদালতকে পুরো ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে শাজিয়া বলেন, "লরিব বহুদিন বাড়ির বাইরে রাত কাটাতো, হিজাব পরতেও অস্বীকার করতো। একদিন থানা থেকে চিঠি আমাদের জানানো হয় কন্ডোম চুরি করতে গিয়ে লরিব ধরা পড়েছে। আমি সেই চিঠি আমার স্বামীকে দেখানোর পরই উনি রাগে ফেটে পড়েন।"

    লরিবের বয়ফ্রেন্ড রাহিল জানিয়েছেন তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখার কারণে প্রায়ই বাবা, লরিবকে অত্যাচার করতেন তার বাবা, মা।

    First published:

    Tags: Germany, Honor Killing