Coronavirus Delta Variant; Explainer: করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টে সংক্রমিত? উপসর্গ এবং সুরক্ষা সম্পর্কে জেনে নিন
Last Updated:
এই ভ্যারিয়ান্ট দ্রুত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। এর উপসর্গগুলি কিছুটা ভিন্ন হতে পারে।
#কলকাতা: দেশের কয়েকটি রাজ্যে করোনা কেসের সংখ্যা বাড়ার কারণে সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউ (Coronavirus Third Wave) শুরু হওয়ার বিষয়ে প্রচুর উদ্বেগ রয়েছে। ভাইরাস একই থাকলেও, এর নানা ভ্যারিয়ান্টের কারণে বিপদ আসতে পারে। যদিও এটা বলা যাচ্ছে না যে কোভিড অতিমারী আগামীদিনে কতটা প্রভাব ফেলবে। তাই এর উপসর্গ সনাক্ত করা আগের চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কোভিডের ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট (Coronavirus Delta Variant) অত্যন্ত সংক্রামক। টিকা নেওয়া থাকলেও সংক্রমণের সম্ভাব্য ঝুঁকি থাকে। অতএব, নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস মনে রাখতে হবে।
চট করে ধরা যায় না এমন ও অস্বাভাবিক উপসর্গের দিকে নজর রাখতে হবে:
আমরা কোভিডের সাধারণ উপসর্গগুলি সম্পর্কে অনেকটাই সচেতন। তবে ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত হলে উপসর্গ ঠিক ভাবে বোঝা যায় না। এছাড়া এই ভ্যারিয়ান্ট দ্রুত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। এর উপসর্গগুলি কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। সংক্রমণের তীব্রতা এড়ানোর জন্য উপসর্গের সূত্রপাত সম্পর্কে সচেতন থাকা গুরুত্বপূর্ণ। ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টে সংক্রমণের ফলে বমি বমি ভাব, মাথাব্যথা, পেটে খিঁচুনি, জ্বর, মাথা ঘোরা এবং ক্লান্তির মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে, যা এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গও উপেক্ষা করা উচিত নয়। ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত হলে যে যে উপসর্গ দেখা যায় সেগুলি হল-জ্বর, ক্রমাগত কাশি, দুর্বলতা এবং ক্লান্তি, মাথাঘোরা, গ্যাস, কানের ব্যথা ইত্যাদি।
advertisement
advertisement
টিকা নেওয়ার পরও সংক্রমিত কি না বোঝা যাবে কী ভাবে?
টিকা সংক্রমণের তীব্রতা ও মৃত্যুর সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। তবে, টিকা নেওয়ার পরও অনেকে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। আগামীদিনে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, টিকা দেওয়ার পরে মানুষ অসুস্থতা ও উপসর্গ কম অনুভব করে। এই বিষয় সতর্ক থাকতে হবে। গলা ব্যথা, হাঁচি, নাক দিয়ে জল পড়ার মতো সাধারণ উপসর্গ কোভিডের উপসর্গ হতে পারে। অনেক সময় আমরা সাধারণ ঠাণ্ডা লাগার সঙ্গে এগুলিকে গুলিয়ে ফেলতে পারি। আবার জ্বর, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ থাকলে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা ভাবতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন- Explainer: কোভিডে আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা, ভয় নয়- সাবধানে থাকুন!
অসুস্থ বোধ করলে কী করা উচিত?
যেহেতু কোভিড সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, তাই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া এবং প্রয়োজনীয় প্রোটোকল অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা এখন বাড়িতে কোভিড টেস্ট (অ্যান্টিজেন টেস্ট) কিট রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। যা সংক্রমণের পূর্বাভাস দিতে পারে এবং চারপাশের অন্যদের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে পারে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাস করলে বাড়িতে অবশ্যই কোভিড টেস্ট কিট রাখা উচিত। তাতে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা যায়। আরটি-পিসিআর টেস্ট (RT-PCR Test) করার কথাও বিবেচনা করা যেতে পারে। রিপোর্ট হাতে আসার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে। সংক্রমিত হলে নিজকে বিচ্ছিন্ন করার পর সংস্পর্শে আসা অন্যদের খবরটি জানাতে হবে।
advertisement
টিকা নেওয়া অবশ্যই প্রয়োজন:
টিকা নেওয়া নিজেকে সুরক্ষিত রাখার অন্যতম সেরা উপায়। কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে টিকা অবশ্যই নিতে হবে। যেহেতু ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট মারাত্মক সংক্রামক, তাই সময়মতো টিকা নেওয়া হলে তা আমাদের মারাত্মক অসুস্থতা থেকে রক্ষা করবে এবং মৃত্যুর ঝুঁকি এড়ানো যাবে। যাই হোক, এটি মনে রাখতে হবে যে টিকা নেওয়ার পর সংক্রমণের ঝুঁকি কতগুলি ডোজ নেওয়া হয়েছে তার উপর নির্ভর করে। টিকার একটি ডোজ ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের বিরুদ্ধে যথেষ্ট সুরক্ষা দেয় না। তাই রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অবশ্যই টিকার দু'টি ডোজই নিতে হবে।
advertisement
কী ভাবে সুরক্ষিত থাকা সম্ভব?
অসুস্থতার ঝুঁকি কমানোর জন্য আমরা সবাই প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা মেনে চলি। টিকা নেওয়া এবং কোভিড-উপযুক্ত প্রোটোকল অনুসরণ করা ছাড়াও বাড়তি এই প্রোটোকলগুলি কোভিড থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে। সেগুলি হল-
১. ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস ঢুকছে কি না দেখতে হবে।
২. টিকা নিয়েছে এমন লোকজনের সঙ্গেই কোভিড বিধি মেনে জমায়েত করতে হবে।
advertisement
৩. প্রয়োজনে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান এড়িয়ে চলতে হবে।
৪. বাইরে বের হলে মাস্ক অবশ্যই পরতে হবে।
Location :
First Published :
September 16, 2021 2:20 PM IST