EXPLAINED: চাষিদের জন্য তৈরি হচ্ছে এগ্রিস্টেক প্রজেক্ট, এটি আসলে কী?

Last Updated:

এটি মূলত কৃষকদের জন্য পরিকল্পনা করা এন্ড টু এন্ড ডেলিভারি সার্ভিস। (EXPLAINED)

চাষিদের জন্য তৈরি হচ্ছে এগ্রিস্টেক প্রজেক্ট, এটি আসলে কী?
চাষিদের জন্য তৈরি হচ্ছে এগ্রিস্টেক প্রজেক্ট, এটি আসলে কী?
#কলকাতা: আগামী বছরের মধ্যে কৃষি থেকে আয় দ্বিগুন করার লক্ষ্য নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকারের। এই লক্ষ্য পৌঁছতে হলে সবুজ বিপ্লব ২-এর দিকে হাঁটতে হবে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এগ্রিস্টেক প্রকল্পের উপর কাজ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এটি মূলত কৃষকদের জন্য পরিকল্পনা করা এন্ড টু এন্ড ডেলিভারি সার্ভিস। কিন্তু ঠিক কী ভাবে কাজ করবে এই পরিকল্পনা? তাই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে এই প্রতিবেদনে।
এগ্রিস্টেক (Agristack) কী?
কাটিং এজ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভারতীয় কৃষিকাজকে একটি ডিজিটাল প্রযুক্তির মধ্যে নিয়ে আসার প্রক্রিয়াকে বলে এগ্রিস্টেক। এবং IDEA ব্লু-প্রিন্ট পুরো বিষয়টি দেখাশোনা করে।
advertisement
কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক থেকে IDEA-এর একটি তথ্য প্রকাশিত একটি তথ্যে প্রকাশ, যে ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের একটি তথ্য অনুযায়ী কৃষি ব্যবস্থাকে প্রযুক্তির মধ্যে নিয়ে আসা অতি গুরুত্বপূর্ণ। এতে কৃষি ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে। পরিবেশগত ভাবে সুবিধাজনক হবে এবং গোটা বিশ্বের ৫৭০ মিলিয়ন খামারের সঙ্গে ৮ বিলিয়ন কনজিউমারের সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: শিশুরা করোনার সুপারস্প্রেডার হতে পারে, কেন এমন বলছে সমীক্ষা?
এক কথায় বলতে গেলে এগ্রিস্টেক হল কৃষিকাজের একটি ডিজিটাল ইকোসিস্টেম। যেখান থেকে প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে খামারগুলি তাদের আয় বাড়াতে পারবে। এবিষয়ে একটি তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, এগ্রিস্টেক এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবে যা মূলত কৃষকদের সাহায্য করবে। ওই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রের ফুড ভ্যালু চেনের মাধ্যমে এন্ড টু এন্ড সার্ভিস পাওয়া সম্ভব হবে। ইন্ডিয়ান ডিজিটাল ইকোসিস্টেম অফ এগ্রিকালচার বা India Digital Ecosystem of Agriculture (IDEA)-এর একটি অংশ এগ্রিস্টেক প্রকল্প। যার মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে একাধিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে। এর ফলে ভারতীয় কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বলা হয়েছে, এগ্রিস্টেক-এর মাধ্যমে প্রত্যেক কৃষক তার উপার্জন বাড়িয়ে তুলতে পারবে। পাশাপাশি কৃষিকাজের সঙ্গে যাঁরা জড়িত তাঁরা প্রত্যেকেই লাভবান হবেন।
advertisement
কী ভাবে কাজ করবে এগ্রিস্টেক?
এবিষয়ে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি বছরের অগাস্ট মাসে কৃষিমন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছিল দেশের সমস্ত কৃষকদের নিয়ে একটি ডেটাবেস তৈরি করেছে তারা। যা এগ্রিস্টেক প্রজেক্টের প্রথম এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। এই ডেটাবেসে থাকবে কৃষকদের নাম এবং ওই কৃষকদের কতটা পরিমাণ জমি রয়েছে সেই বিষয়েও তথ্য থাকবে। এর সঙ্গে থাকবে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনা (PM Kisan), মাটি স্বাস্থ্য কার্ড (Soil Health Card), প্রধানমন্ত্রীর শস্য বিমা যোজনার (Pradhan Mantri Crop Insurance Scheme) যাবতীয় তথ্য। এছাড়াও আরও বেশ কিছু তথ্য থাকবে ওই ডেটাবেসে।
advertisement
ইন্টারনেট ফ্রিডম ফাউন্ডেশন ( Internet Freedom Foundation)-এর তরফে জানানো হয়েছে, এগ্রিস্টেক মেকানিজম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে প্রত্যেক কৃষককে একটি করে ডিজিটাল আইডি দেওয়া হবে। যার সঙ্গে ওই কৃষকদের আধার নম্বর লিঙ্ক করা থাকবে। এর সঙ্গে ব্যক্তিগত তথ্যও থাকবে। এছাড়াও কোনও কৃষকের জমি থেকে কত পরিমাণ শস্য উৎপাদন হয়েছে এবং সেই কৃষকের অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন সেই বিষয়ে তথ্য থাকবে।” কৃষি মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে ৫ কোটি চাষির তথ্য ওই ডেটাবেসে রাখা হয়েছে। খুব শীঘ্রই বাকি কৃষকদের নাম ও সমস্ত তথ্য ওই ডেটাবেসে ঢোকানো হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: শীতের শুরুতেই ভাইরাল জ্বর? দ্রুত মুক্তি পাবেন কী ভাবে? এই পদক্ষেপগুলি জরুরি...
চলতি বছরের জুলাইয়ে কেন্দ্রের তরফে সংসদে জানানো হয়, বাছাই করে ওই ডেটাবেসের তথ্য ব্যবহার করা হবে। নামী প্রযুক্তি সংস্থার সঙ্গে ইতিমধ্যে এই বিষয়ে একটি চুক্তি করা হয়েছে। তারা মূলত প্রুফ অফ কনসেপ্টস ( Proof of Concepts) তৈরি করবে। এবং তা এগ্রিস্টেক প্রকল্পে ব্যবহার করা হবে। এই সংস্থার সঙ্গে চুক্তিটি প্রাথমিকভাবে এক বছরের জন্য করা হয়েছে। ওই সংস্থা বিভিন্ন তথ্যের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন সলিউশন তৈরি করবে।
advertisement
ইতিমধ্যে ৫টি সংস্থা কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে MOU সাক্ষর করেছে। যারা মূলত এগ্রিস্টেক প্রকল্পে কাজ করবে। ওই সংস্থাগুলির মধ্যে একটি সংস্থা হল Microsoft। যারা একটি ইউনিফায়েড ফারমার সার্ভিস ইন্টারফেস (Unified Farmer Service Interface) তৈরি করবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বলা হয়েছে, Microsoft ইতিমধ্যে ৬ রাজ্যের ১০টি জেলার ১০০টি গ্রামে কাজ শুরু করে দিয়েছে। যা মূলত একটি পাইলট প্রজেক্ট। যে রাজ্যে ওই পাইলট প্রজেক্টের কাজ চলছে তা হল- উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh), মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh), গুজরাত (Gujarat), হরিয়ানা (Haryana), রাজস্থান (Rajasthan) এবং অন্ধ্রপ্রদেশ (Andhra Pradesh)। সরকারের তরফে আরও বলা হয়েছে যে, কৃষি কাজ থেকে আয় বৃদ্ধি করাই একমাত্র লক্ষ্য। এছাড়াও মনে করা হচ্ছে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে চাষ করার খরচ কমবে এবং খুব সহজেই চাষ করা সম্ভব হবে।
advertisement
এগ্রিস্টেক প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এগ্রিবাজার (Agribazar) নামে একটি সংস্থা। এই সংস্থাও পাইলট প্রজেক্টের অংশে রয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে পাইলট প্রজেক্ট শুরু করেছে তারা। এছাড়াও পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ (Patanjali Ayurved) সংস্থাও রয়েছে পাইলট প্রজেক্টে। তারা মোট ৩টি জেলার উপর কাজ করছে। ওই জেলাগুলি হল উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) হরিদ্বার (Haridwar), উত্তরপ্রদেশের হামিরপুর (Hamirpur) এবং মধ্যপ্রদেশের মোরাইনা (Moraina) জেলা।
এগ্রিস্টেক কী ভাবে সাহায্য করবে?
মূলত চাষিদের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং চাষিদের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে এর মাধ্যমে। এছা়ড়াও খাদ্য শস্য নষ্ট হওয়া বা চাষিদের খাদ্য শস্যের উপর দাম না পাওয়ার মতো বিষয়গুলিও নজরে রাখা যাবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে।
কৃষি মন্ত্রকের তরফে জানা গিয়েছে, এগ্রিস্টেক প্রজেক্টের জন্য একটি কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডার বা ডেটাবেস তৈরি করা হবে। যা একটি ইউনিক কোড বা আইডি প্রদান করবে প্রত্যেক কৃষককে। যার মাধ্যমে যাবতীয় তথ্য জানা সম্ভব এবং দেশের সমস্ত কৃষকের তথ্য একটি জায়গায় পাওয়া সম্ভব হবে। আগামী দিনে যদি কৃষকদের সুবিধার জন্য কোনও কাজ বা প্রকল্প শুরু করা সম্ভব হয় তাহলে এই ডেটাবেস থেকও তথ্য পাওয়া সম্ভব।
এছাড়াও চাষিরা এগ্রিস্টেক থেকে জানতে পারবেন কোন ধরনের শস্য কোন সময় চাষ করতে হবে। বা কোন শস্যের চাহিদা বাজারে সব থেকে বেশি। পাশাপাশি, কী চাষ করলে সব থেকে বেশি লাভ পাওয়া সম্ভব হবে, তা-ও জানা যাবে। এছাড়াও উৎপাদিত ফসল বিক্রি করা উচিত না কি তা মজুত করে রাখা উচিত পরিস্থিতি বিশেষে, সেটাও জানতে পারবেন কৃষকরা।
বাংলা খবর/ খবর/Explained/
EXPLAINED: চাষিদের জন্য তৈরি হচ্ছে এগ্রিস্টেক প্রজেক্ট, এটি আসলে কী?
Next Article
advertisement
Primary Recruitment Case: রাজ্যের মন্ত্রীর হাত ধরেই এসেছে ১২ কোটি টাকা! প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে বিস্ফোরক ইডি! এবার কী হবে চন্দ্রনাথের?
রাজ্যের মন্ত্রীর হাত ধরেই এসেছে ১২ কোটি টাকা! প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে বিস্ফোরক ইডি
  • প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও বিপাকে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা

  • ইডির দাবি, চন্দ্রনাথ সিনহার মাধ‍্যমেই এই দুর্নীতিতে এসেছে ১২ কোটি ৭২ লক্ষ

  • তাপস-কুন্তল-শান্তনু এই ত্রয়ীর চক্রে জড়িত ছিলেন চন্দ্রনাথ সিনহা, দাবি ইডির

VIEW MORE
advertisement
advertisement