Explained: এবারের ধনতেরসে ডিজিটাল গোল্ডে বিনিয়োগ করতে চান? তার আগে যা মাথায় রাখা দরকার...
- Published by:Dolon Chattopadhyay
Last Updated:
কোনও উৎসবের মরসুমে ডিজিটাল গোল্ডে (Digital Gold) বিনিয়োগ করা সব থেকে সঠিক সিদ্ধান্ত।
#কলকাতা: ধনতেরস (Dhanteras) উপলক্ষ্যে গোটা দেশে সোনা কেনার প্রবণতা থাকে। এটাকে শুভ কাজ হিসেবে গণ্য করা হয়। এছাড়াও অনেকে সোনায় টাকা বিনিয়োগ করেন। কারণ সেখান থেকে ভালো লাভ পাওয়া যায়। কিন্তু দেশ জুড়ে সোনা কিনতেই পছন্দ করেন বেশির ভাগ মানুষ। এতে যেমন সুবিধাও থাকে তেমন অনেক অসুবিধা রয়েছে। কারণ যে কোনও দোকান থেকে যে পরিমাণ সোনা কেনা হচ্ছে তা আসল কি না বা খাঁটি কি না তা অনেকে বুঝতে পারেন না। কারণ অনেক গয়না ২২ ক্যারেট সোনা দিয়ে তৈরি হয় আবার অনেক গয়না ২০ বা ১৮ ক্যারেট দিয়ে তৈরি করা হয়। তাই এখানেই অনেকের সন্দেহ থাকে তাঁরা যে গয়না কিনছেন তা কত ক্যারেট সোনা দিয়ে তৈরি।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর! এই দিন মিলবে বোনাসের সঙ্গে বকেয়া DA-র টাকা
এছাড়াও অনেক ব্যবসায়ী রয়েছেন যাঁরা সোনার গয়নার উপর বিভিন্ন পাথর বসিয়ে দেন। এবং সেক্ষেত্রে পাথরের দামও সোনার দামের মতো একই ধার্য করেন। এবং যদি কেউ সেই গয়না কোনও ব্যবসায়ীর দোকানে বিক্রি করতে যান তাহলে সেই সময় ওই পাথরের দাম বাদ দিয়ে গয়নাটি কেনেন ব্যবসায়ী। এতে অনেকে প্রচুর টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়। কিন্তু এই পদ্ধতি ছাড়াও অত্যন্ত কম দামে সোনা কেনা সম্ভব। কী ভাবে? জেনে নেওয়া যাক…
advertisement
advertisement
কোনও উৎসবের মরসুমে ডিজিটাল গোল্ডে (Digital Gold) বিনিয়োগ করা সব থেকে সঠিক সিদ্ধান্ত। কারণ অত্যন্ত কম দামে ডিজিটাল গোল্ড বা ডিজিটাল সোনা পাওয়া সম্ভব। এবং অত্যন্ত কম পরিমাণ টাকা দিয়ে এই পদ্ধতিতে বিনিয়োগ করা সম্ভব। এছাড়াও ডিজিটাল গোল্ডে ২৪ ক্যারেট নিখাদ সোনা পাওয়া সম্ভব। এই পদ্ধতিতে সোনা কিনলে বিক্রয়কারী সংস্থা একটি লকারে আপনার সোনা অত্যন্ত সুরক্ষিত ভাবে রেখে দেয়। সোনা কেনার পর সংস্থার তরফে আপনাকে একটি বিল প্রদান করা হয়। লকারে থাকা সোনা সময় অনুযায়ী বাড়তে থাকে। শুধু তাই নয়, প্রয়োজন মতো অনলাইনে সোনা বিক্রি করা সম্ভব। সোনার দাম বাড়া-কমা নিয়েও খুব একটা ভাবনা-চিন্তা করার দরকার নেই।
advertisement
ডিজিটাল গোল্ডে বিনিয়োগ করার জন্য একাধিক অপশন রয়েছে। ওই অপশনগুলির মাধ্যমে খুব সহজেই যে কেউ ডিজিটাল গোল্ডে বিনিয়োগ করতে পারবেন। MMTC PAMP-র মাধ্যমে বাড়িতে বসে সোনা কিনতে পারেন। ২৪ ক্যারেট এবং ৯৯৯.৯ শতাংশ বিশুদ্ধ সোনা কেনা সম্ভব। MMTC ভারত সরকারের অধীনস্থ একটি সংস্থা। যারা বিশুদ্ধ ডিজিটাল গোল্ড বিক্রি করে।
advertisement
কী ভাবে ডিজিটাল গোল্ডে বিনিয়োগ করতে হবে?
ডিজিটাল গোল্ডে বিনিয়োগ করা বর্তমান সময়ে অত্যন্ত সহজ। প্রতি দিন, বিনিয়োগ করা সম্ভব। এছাড়াও সাপ্তাহিক ও মাসিক হিসেবেও বিনিয়োগ করতে পারেন। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি সুবিধা পাবেন বিনিয়োগকারীরা। সেগুলি হল-
১) নিখাদ সোনা কেনা সম্ভব।
২) কোনও পরিমাণের উপর ৩ শতাংশ GST বসানো হয় না। এছাড়াও কোনও ডিউটি ট্যাক্স এবং অন্য কোনও কর দিতে হয় না।
advertisement
৩) বিশ্বব্যাপী প্রতি দিন সোনার যে দাম থাকে তার উপর নির্ভর করে MMTC-PAMP-র দাম নির্ধারণ হয়। কোনও অতিরিক্ত মূল্য এর সঙ্গে চাপানো হয় না।
৪) বেশ কয়েকটি UPI প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ডিজিটাল গোল্ড কেনা সম্ভব। যে যে প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কেনা সম্ভব সেগুলি হল- Paytm, Google Pay, PhonePe। এছাড়াও বেশ কিছু অনলাইন স্টোর এবং ব্যাঙ্কের মাধ্যমেও ডিজিটাল গোল্ড কেনা সম্ভব।
advertisement
কেনার পর যদি কেউ ওই সোনা ইনসিওরড করে রাখতে ইচ্ছুক হন তাহলে IDBI ট্রাস্টিশিপ সার্ভিস লিমিটেডের মাধ্যমে ইনস্যুরেন্স করতে পারেন।
ডিজিটাল গোল্ডে বিনিয়োগের অন্য প্রকল্প কী রয়েছে?
গোল্ড বন্ডের ক্ষেত্রে বার্ষিক ২.৫ শতাংশ হারে সুদ-
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সভরেইন গোল্ড বন্ডে সুদের হার নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। SEBI রেজিস্টার্ড ব্রোকারের কাছ থেকে যে কেউ ওই গোল্ড বন্ড কিনতে পারেন। এবং ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে অর্থ জমা করতে পারেন। ডিজিটাল পেমেন্ট করলে প্রতি গ্রাম সোনা কেনার ক্ষেত্রে ৫০ টাকা করে ছাড় পাওয়া সম্ভব। এবং প্রতি বছর ২.৫০ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া সম্ভব। এই সুদের হার সরকারের তরফে নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি ছয় মাসে সুদের অর্থ প্রদান করা হয়। এছাড়াও এই গোল্ড বন্ডের ম্যাচুওরিটি ৮ বছর।
advertisement
এগুলি ছাড়াও একাধিক সুবিধা রয়েছে। ম্যাচুওরিটি শেষে যে অর্থ পাওয়া যাবে তার জন্য কোনও কর দিতে হবে না। আজ পর্যন্ত SGB-তে বিনিয়োগ করা সম্ভব। এর পর নবম সিরিজ ২০২২ সালের ১০ থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত উপলব্ধ থাকবে। এবং দশম সিরিজ উপলব্ধ থাকবে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ।
গোল্ড ETF ফান্ডে বিনিয়োগ করেও একাধিক সুবিধা পেতে পারেন ক্রেতারা-
গোল্ড ETF হল একটি ওপেন এন্ডেড মিউচুয়াল ফান্ড। সোনার দামের বৃদ্ধি ও হ্রাসের উপর নির্ভর করে গোল্ড ETF-এর দাম নির্ভর করে। গোল্ড ETF-এর একটি ইউনিটের অর্থ ১ গ্রাম সোনা। এর কেনা এবং বিক্রয়ের পুরো বিষয়টি BSE এবং NSE-এর ন্যায়। বিনিয়োগের যত পরিমাণ অর্থ তুলে নেওয়া হবে সোনার দাম অনুযায়ী সেই পরিমাণ অর্থ পাওয়া সম্ভব।
আপনি অত্যন্ত কম মাত্রায় গোল্ড ETF কিনতে পারেন। এখানে ৯৯.৫ শতাংশ নিখাদ সোনা পাওয়া সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে ব্রোকারেজ চার্জ হিসেবে .৫ শতাংশ দিতে হয়। গয়না তৈরির ক্ষেত্রে কোনও অর্থ দিতে হয় না। সোনা অত্যন্ত সুরক্ষিত রাখা থাকে। যে কোনও সময় সোনা কেনা ও বিক্রি করা সম্ভব। তবে গোল্ড ETF-এ বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।
বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে বর্তমানে অনেকেই এই ক্ষেত্রটিকে বেছে নিচ্ছেন। নিয়মিত উর্ধ্বমুখী সোনার দাম। তাই এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করলে লাভের পরিমাণও বেশি। অন্য দিকে ফিজিক্যাল গোল্ড কেনার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা তৈরি হয়। ব্যবসায়ীরা সোনা বিক্রি করার সময় একটি দাম নেন এবং সেই সোনা কেনার সময় ভিন্ন দাম এবং কম দাম নেন। তাই ডিজিটাল গোল্ডে বিনিয়োগ অত্যন্ত সহজ এবং সুরক্ষিত।
অন্য দিকে, যেহেতু ধনতেরস আসন্ন, তাই সোনা কেনার পরিমাণ বাড়ছে। সরকারের তরফেও SGB-র অষ্টম সিরিজ চালু করায় সেখানে প্রচুর বিনিয়োগ হচ্ছে। এছাড়াও যেহেতু নির্দিষ্ট কোনও পরিমাণ নেই, তাই যে কেউ নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী সোনায় বিনিয়োগ করতে পারেন।
Location :
First Published :
October 29, 2021 5:53 PM IST