এয়ারব্যাগ সম্পর্কিত নতুন নিয়ম নিয়ে কতটা সচেতন যাত্রী, গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি ?
- Published by:Rukmini Mazumder
Last Updated:
গাড়ির চালকের পাশাপাশি সামনের সিটে বসা যাত্রীর জন্য এয়ারব্যাগ আবশ্যক। এই মর্মে ৫ মার্চ এক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রকের তরফে
#নয়াদিল্লি: গাড়ির চালকের পাশাপাশি সামনের সিটে বসা যাত্রীর জন্য এয়ারব্যাগ আবশ্যক। এই মর্মে ৫ মার্চ এক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রকের তরফে। গুরুত্বপূর্ণ সেফটি ফিচারের তালিকাতেও জায়গা দেওয়া হয়েছে এই এয়ারব্যাগ ফিচারকে। নেপথ্য রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের সুপারিশও। কিন্তু কতটা পালন হচ্ছে এই নিয়ম? সামগ্রিক পরিস্থিতি কেমন? আসুন জেনে নেওয়া যাক বিশদে!
সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন
ইতিমধ্যেই সেন্ট্রাল মোটর ভেহিকেল রুলস, ১৯৮৯-এ সংশোধন এনেছে সরকার। গত বছর ২৯ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, ২০২১ সালের ১ এপ্রিল থেকে প্রতিটি নতুন মডেলে ডুয়াল ফ্রন্ট এয়ারব্যাগ থাকবে। সেই সূত্রে একটি খসড়াও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই এই নিয়ম বলবৎ হতে দেখা যায়নি। গাড়ির দাম কমাতে গিয়ে এই বিষয়ে ততটা গুরুত্ব দেয়নি গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিও। Maruti Suzuki Alto, S-Presso ও Wagon-R-এর মতো গাড়িগুলির এন্ট্রি-লেভেল ভ্যারিয়েন্ট এয়ারব্যাগ ছাড়াই বিক্রি হয়েছে। তাই এখনও কাঙ্ক্ষিত সচেতনতা দেখা যায়নি।
advertisement
এয়ারব্যাগ এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?
দুর্ঘটনার সময় সামনের যাত্রী ও গাড়ির ড্যাশবোর্ডের মাঝে কোথাও যেন বালিশের মতো কাজ করে এটি। কিছুটা হলেও মাথায় চোট লাগা থেকে বাঁচায়। একই ভাবে পিছনের যাত্রীদের সুরক্ষার কথা ভেবে, বিশেষ করে তাদের বুকে যেন চোট না লাগে সেই ভেবে এয়ারব্যাগ ডিজাইন করা হয়। প্রতি দিন দেশে প্রায় ৪১৫ জন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এয়ারব্যাগের গুরুত্ব অপরিসীম। সম্প্রতি NHTSA (National Highway Traffic Safety Administratio) পরিচালিত এক সমীক্ষা সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র ফ্রন্টাল এয়ারব্যাগের দৌলতেই ৪৪,৮৬৯ মানুষের জীবন বেঁচেছে।
advertisement
advertisement
সরকারের এই ধরনের সিদ্ধান্তের জেরে কি গাড়ির দাম বাড়বে?
এতে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই। সেফটি ফিচারের সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির দামও বাড়বে। এক্ষেত্রে মডেল বা ভ্যারিয়েন্ট বিশেষে ৫,০০০-৮,০০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে গাড়ির দাম। সত্যি কথা বলতে গেলে, জীবন বাঁচাতে বা সুরক্ষা আরও বাড়াতে একটু বেশি মূল্য দিতে হবে।
অন্যান্য সেফটি ফিচারগুলি কী কী?
পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, সেই অনুযায়ী সরকার আরও কয়েকটি সেফটি ফিচারের উপরে নজর দিচ্ছে। যেমন ইলেকট্রনিক স্টেবিলিটি কন্ট্রোল (Electronic Stability Control) ও অটোনোমাস ইমার্জেন্সি ব্রেকিং (Autonomous Emergency Braking) সিস্টেম। সব ঠিক থাকলে ২০২২-২৩ সাল থেকে হয়তো এগুলির উপরেও সমান গুরুত্ব আরোপ করা হবে।
advertisement
এক্ষেত্রে কয়েকটি সেফটি ফিচারের উপর নজর দেওয়া যেতে পারে:
অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম (ABS)
হাইওয়েতে গাড়ি চালানোর সময়ে গতির পাশাপাশি ব্রেকের উপরও নজর রাখতে হয়। কারণ যে কোনও সময়ে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এক্ষেত্রে ব্রেক কষার পাশাপাশি ভারসাম্য বজায় রেখে দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচাতে পারে গাড়ির অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির জন্য এই ফিচার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
advertisement
স্পিড অ্যালার্ট সিস্টেম
গাড়ি যদি ৮০ কিমি/ ঘণ্টার গতি পেরিয়ে যায়, তাহলে প্রতি মিনিটে একটি অ্যালার্ট দেওয়া হবে। আর গাড়ি যদি ১২০ কিমি/ ঘণ্টার গতি পেরিয়ে যায়, তাহলে পুরোপুরি অ্যাক্টিভ হয়ে যাবে অ্যালার্ট সিস্টেম। সারাক্ষণ অ্যালার্মের মাধ্যমে সচেতন করবে। এর জেরে সচেতন হবেন গাড়ির চালক।
রিভার্স পার্কিং সেন্সর
রিভার্স গিয়ার কাজ শুরু করলেই অ্যাক্টিভেট হয়ে যাবে সেন্সর। গাড়ি পিছোনোর সময় পথে যদি কোনও বাধা থাকে, তাহলে সেই বিষয়ে সচেতন করবে এই রিভার্স পার্কিং সেন্সর সিস্টেম।
advertisement
ড্রাইভার ও প্যাসেঞ্জার সিট বেল্ট রিমাইন্ডার
এক্ষেত্রে ড্রাইভার ও সামনের যাত্রীটি যদি বেল্ট না বাঁধেন, তাহলে গাড়িতে একটি অ্যালার্ম রিমাইন্ডার বেজে উঠবে। এর জেরে সচেতন হয়ে যাবেন ওই চালক বা সহযাত্রী।
সেন্ট্রাল লকিং সিস্টেমের জন্য ম্যানুয়াল ওভাররাইড
view commentsসেন্ট্রাল লকিং সিস্টেম যুক্ত গাড়িগুলিতে একটি ম্যানুয়াল ওভাররাইড থাকবে। এক্ষেত্রে ট্রান্সপোর্ট ভেহিকেলগুলিতে চাইল্ড লকের উপরেও নজর দেওয়া হয়েছে।
Location :
First Published :
March 08, 2021 9:53 PM IST