Exclusive Neel-Trina Jamai Sasthi: আদরের জামাই জিতুর জন্য বিশেষ রান্না তৃণার মায়ের, শ্যুটিংর ফলে রাতেই জামাইষষ্ঠীর আয়োজন

Last Updated:

কেমন কাটবে নীল-তৃণার (Neel Bhattachariya- Trina Saha) প্রথম জামাইষষ্ঠী৷ সকাল সকাল নিখিল ওরফে নীল ও গুনগুন ওরফে তৃণা পৌঁছে গিয়েছেন শ্যুটিং সেটে৷

এবার তাঁদের প্রথম জামাইষষ্ঠী৷ বিয়ের মতো ধুমধাম করে করার প্ল্যান ছিল৷ তবে কাজ শুরু হয়েছে৷ বিধিনিষেধ কাটিয়ে ফের শ্যুটিং শুরু হচ্ছে৷ ফলে এই সময় ছুটি নেওয়াও সম্ভব নয়৷ তাই আগাম জামাইষষ্ঠী পালন করে নীল-তৃণা (Neel-Trina Jamai Sasthi) ব্যস্ত নিজের নিজের শ্যুটিং-এ৷ তবুও এই দিনটা তো স্পেশ্যাল৷ তাই জামাইয়ের জন্য এদিন কিছু বিশেষ ব্যবস্থা করছেন তৃণার (Trina Saha) (Neel Bhattachariya) মা সবিতা সাহা৷ তৃণা ও তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল জামাইষষ্ঠীর দিনের প্ল্যান৷ তবে এদিন খাওয়াদাওয়া হবে রাতের বেলায়৷ আর জামাইয়ের (TRINEEL) পাশাপাশি মেয়ের পছন্দের রান্নাও করবেন সবিতাদেবী৷ বাড়িতে আয়োজনে ব্যস্ত সবিতাদেবী এবং শ্যুটিং-এর পথে তৃণার সঙ্গে কথায় উঠে এল সব কথা৷ News18 বাংলার সঙ্গে ভাগ করে নিলেন জামাইষষ্ঠীর প্ল্যান৷
প্রশ্ন-আগাম জামাইষষ্ঠী তো হয়েছে? আজকের দিনের কিছু স্পেশ্যাল প্ল্যান?
তৃণা- রাতের বেলায় হবে৷ আমি আর নীল একসঙ্গে যব শ্যুটিং সেরে৷ রাতে খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে মা৷ মা সব রান্না করবে৷ তবে মিষ্টি, যেগুলো নীল খেতে ভালবাসে যেমন রাবড়ি, গুলাবজামুন, ওগুলো আনানো হবে৷
advertisement
তৃণার মা (সবিতা সাহা)- দুপুরবেলা তো ওদের শ্যুটিং৷ তাই আসতে পারবে না৷ আসলে জামাইষষ্ঠীর ব্যাপারটা দুপুরে হলেই ভাল লাগত৷ মনটা তাই একটু খারাপ৷ কিন্তু কী করা যাবে৷ রাতের জন্যই সব আয়োজন করেছি৷ জিতু (নীলকে এই নামেই ডাকেন তিনি) মটন খেতে খুব ভালবাসে৷ তাই ওটা হবে৷ সঙ্গে পাতুরি৷ মেয়ের জন্য ধোকার ডালনা করব৷ তৃণা খুব ভালবাসে৷ আমি সব তৈরি করে রেখেছি৷ এলেই গরম গরম করে দেব৷ ইচ্ছে ছিল একটু বড় করেই জামাইষষ্ঠীর আয়োজন করব৷ কিন্তু এই সময় সেটা সম্ভব হচ্ছে না৷ মনটা খারাপ লাগছে৷ যাক ওরা ভাল থাকলেই আমারা ভাল থাকব৷
advertisement
প্রশ্ন- কী নামে নীল ডাকে আপনাকে?
তৃণার মা (সবিতা সাহা)- (একটু হেসে) আমায় আন্টি বলে আবার শাশুড়ি মা-ও বলে৷ আসলে প্রথম থেকে আন্টি বলে এসেছে তো৷ এতে আমি কিছু মনে করি না৷ নামে কী যায় আসে৷ ও ভীষণ ভাল ছেলে এবং জিতুর বাবা-মাও খুব ভাল৷ আমার মেয়ের খুব খেয়াল রাখে৷ আমিও অনেকটা নিশ্চিন্ত৷
advertisement
প্রশ্ন-নীল তো তোমার (তৃণা) হাতের রান্না খেতেও বেশ ভালবাসে? কী ডিশ রান্না কর নীলের জন্য?
তৃণা- কিছু প্ল্যান করে করি না৷ খুব সাধারণ, ঘরোয়া রান্না করি৷ আজই তো ব্রেকফাস্ট বানিয়েছি৷ কার্যত লকডাউনে কখনও লাঞ্চ বা কখনও ডিনার বানাতাম৷ তবে বাড়িতে থেকে অনেকসময় খাওয়া বেশি হয়ে যায়৷ তাই চেষ্টা করি হাল্কা রান্না করতে৷ যেমন চিকেন স্টু, গ্রিল ফিশ, চিকেন সতে৷ সপ্তাহে একদিন অনন্ত এমন রান্না করি৷ এছাড়া নীল যেগুলো খেতে ভালবাসে যেমন পোলাও, ফ্রায়েড রাইস সেটাও করি৷ একটা মিষ্টির পদ নীলের খুব পছন্দ, নাটরেলা টার্ট, সেটাও বানাই৷
advertisement
প্রশ্ন-বিয়ের পর এই বছরটা কতটা আলদা? প্রথম জামাইষষ্ঠী, প্রমথ পুজো...
তৃণা-দেখো আলাদা তো বটেই৷ এই শব্দ গুলোই তো বেশ মজার এবং আবেগ জড়িয়ে আছে৷ নীলকে আমি অনেক বছর ধরেই চিনি৷ কিন্তু একসঙ্গে এই অনুষ্ঠানগুলো সেলিব্রেট করার মধ্যে খুবই আনন্দ রয়েছে৷ আর জামাইষষ্ঠী তো বিশেষ বটেই....
প্রশ্ন-শ্যুটিং তো শুরু হয়ে গিয়েছে? আবার কাজে ব্যস্ত৷ একসঙ্গে বাড়িতে থাকলে কিছু সময় কাটানো যায়৷
advertisement
তৃণা- খুব ভাল সময় কেটেছে৷ একসঙ্গে এতটা সময় আগে কখনও কাটাইনি৷ একসঙ্গে বেড়াতে গিয়েছি৷ কিন্তু বেড়াতে যাওয়া আর একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর সংসার তো একেবারেই আলাদা৷ আমি আর নীল জীবনে অনেকগুলি ধাপের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি৷ একসময় ভাল বন্ধু, তারপর প্রেম, তারপর বিচ্ছেদ এখন স্বামী-স্ত্রী৷ তাই অনেক রকম অভিজ্ঞতা রয়েছে আমাদের৷ এটাও একটা নতুন সময় নতুন সম্পর্ককে চিনে নেওয়ার৷
advertisement
প্রশ্ন-কাজের জন্য অনেকটা সময় বাড়ির বাইরে থাকার পর কীভাবে নিজের সময় বার কর?
তৃণা- খুব চেষ্টা করি কাজ শেষ করে একসঙ্গে রাতে ডিনার করার৷ খেতে বসে অনেক কথা, গল্প হয়৷ এছাড়াও কাজের মাঝে সময় পেলে দেখা করি৷
প্রশ্ন-জামাইষষ্ঠী তো হল৷ বৌমা ষষ্ঠীর এক কনসেপ্ট তো রয়েছে৷ সেটা নিয়ে কিছু প্ল্যান?
advertisement
তৃণা- (হেসে) না, আমি এমন সব কনসেপ্টে বিশ্বাস করি না৷ বৌমা ষষ্ঠী তো রোজ হয়৷ আর আমার শ্বশুর-শাশুড়ি আমার সবসময় খুব যত্ন নেন৷ তাই আলাদা করে প্রয়োজন নেই৷
প্রশ্ন-এই শহরটা কতটা বদলেছে তোমার জন্য? কারণ এই শহরে বড় ওঠা৷ তারপর এখন জনপ্রিয় মুখ৷ রাস্তায় বেরলেই তো ভিড় জমে যায়৷
তৃণা- এখন মাস্ক পরলে, সবাই অতটা চিনতে পারে না, একটু এড়িয়ে যেতে পারি....তবে গত ২ বছর শহর অনকেটা বদলেছে৷ এখন শহর অনেকটা সবুজ৷ কাজ ছাড়া মানুষ খুব বেশি বাইরে আসেন না৷ ফলে রাস্তায় গাড়ি কমেছে৷ এটা ঠিক বহু মানুষের খুব ক্ষতি হয়েছে৷ আমি বলব যে এবার প্রকৃতি প্রতিশোধ নিচ্ছে৷ তাই কোন কিছু করার আগে এই দেড়-দু’বছরের কথা মনে রেখে পদক্ষেপ নিতে হবে৷
প্রশ্ন-গুনগুনের সঙ্গে তৃণার মিল রয়েছে কী?
তৃণা- গুনগুনের যে বয়স, সেটা আমি কাটিয়ে ফেলেছি৷ তবে হ্যাঁ, সব মেয়ের মধ্যই যেন একটা গুনগুন রয়েছে৷ মেয়েরা একটু অভিমানী হয়, জেদিও হয়৷ তাই অনেকে গুনগুনের সঙ্গে নিজেদের মিল খুঁজে পাবেন৷ তাই তো গুনগুন এত জনপ্রিয়৷ আমিও কিছুটা মিল পাই৷
প্রশ্ন-সব শেষে তোমার ধারাবাহিকের কথায় আসি৷ সৌজন্য আর গুনগুন কবে নিজের প্রেমটা স্বীকার করবে?
তৃণা- (খুব হেসে) সেটা তো একমাত্র লীনাদি বলতে পারবেন৷
বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
Exclusive Neel-Trina Jamai Sasthi: আদরের জামাই জিতুর জন্য বিশেষ রান্না তৃণার মায়ের, শ্যুটিংর ফলে রাতেই জামাইষষ্ঠীর আয়োজন
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement