#বার্মিংহাম: গ্যালারি তখন নীলে নীল ৷ রোহিত শর্মার একেকটা ছক্কায় দ্রুত মুছে যাচ্ছে এজবাস্টনের গ্যালারি আর কলকাতার গলি ঘুঁজি ৷ তার মধ্যেও বারবার চোখ আটকে যাচ্ছে তোবড়ানো গালে তেরঙ্গার উজ্জ্বল উপস্থিতিটায় ৷ তাঁর আকর্ষণেই মজল আসমুদ্র হিমাচল ৷ বার্মিংহাম থেকে টলিউড ৷ মঙ্গলবার ধারাভাষ্য দেওয়ার ফাঁকে এজবাস্টনের গ্যালারিতে তাঁকে হুইলচেয়ারে আবিষ্কার করেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ৷ তারপরেই ৮৭ বছরের ‘তরুণী’ এই ভারচীয় ফ্যানের ছবি, ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ৷ প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর কে এই ভক্ত ? জানা যায়, প্রবাসী বাঙালী ওই বৃদ্ধার নাম চারুলতা প্যাটেল ৷ তাঁর জন্ম তানজানিয়াতে হলেও, বাবা-মা দু’জনেই ভারতীয় ৷ তাই দেশের প্রতি আলাদা একটা টান সব সময়ই অনুভব করেন চারুলতা ৷ ১৯৮৩-র বিশ্বকাপের ফাইনালেও গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন তিনি ৷ আর মঙ্গলবার বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারত-বাংলাদেশের দ্বৈরথের মধ্যে প্রায় সমস্ত লাইম লাইটটাই কেড়ে নিয়ে গেলেন তিনি ৷ যা ২-৪ ফোঁটা পড়ে রইল তাঁর ভাগ পেলেন রোহিত-শাকিবরা ৷ চারুলতাকে নিয়ে যখন উন্মাদনার স্রোত বইছে তখনই পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ও আটকে রাখতে পারলেন না নিজেকে ৷ বিরাটকে আদর করার চারুলতার একটি ছবি তিনি পোস্ট করলেন নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে ৷ সঙ্গে ক্যাপশনটি ছিল মন ছুঁয়ে যাওয়া ৷ রবি ঠাকুরের লেখা ‘হে মোর চিত্ত, পূণ্য তীর্থে’ থেকে বিখ্যাত কয়েকটি লাইন- ‘‘দিবে আর নিবে, মিলাবে মিলিবে
যাবে না ফিরে,
এই ভারতের মহামানবের
সাগরতীরে।’’ গতকাল ছিল এমন একটা দিন, যেদিন বাঙালি হিসেবে গর্ব করা যায় ৷ এ দিনই বিশ্বকাপের জাতীয় মঞ্চে একসঙ্গে বেজে উঠল দু’টি জাতীয় সঙ্গীত ৷ যে দু’টিই একজন বাঙালির লেখা ৷ দু’টি রবীন্দ্রসঙ্গীতের সুরে উঠে দাঁড়াল গোটা গ্যালারি ৷ অভাবনীয় ছাড়া আর কীই বা বলা যায় এই ঘটনাকে? বিদেশের মাটিতে দেশের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ চারুলতাও যেন সকলের কাছে তেমনই বিষ্ময়ের অবতারণা করলেন ৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Charulata Patel, ICC Cricket World Cup 2019, Srijit Mukherjee, World Cup 2019