'কীরকম যেন বিগ বস হাউসে রয়েছি মনে হচ্ছে': বিক্রম চট্টোপাধ্যায়

Last Updated:
#কলকাতা: কাজের সূত্রে মুম্বাই পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। মার্চ মাসের ১২ তারিখ থেকে সেখানেই আছেন। কথা ছিল কাজ শেষ করে ২৬ শে মার্চের মধ্যে বাড়ি ফিরে আসবেন। ফিরে এসে  'তানসেনের তানপুরা' সিরিজের  বাকি থাকা কাজগুলো শেষ করবেন। তার আগেই সবকিছু কেমন পাল্টে গেল। বাড়ি ফেরা হলো না। দেশজুড়ে লকডাউন। ভিন রাজ্যে বন্দি হলেন তিনি। ছোটবেলার বন্ধুর বাড়িতে দিন কাটাচ্ছেন অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়। মুম্বাই থেকে নিজের হাল হকিকত নিউজ 18 বাংলাকে জানালেন তিনি। লকডাউন ঘোষণার পর ফ্লাইট, ট্রেনে উপচে পড়া ভিড়। দু' দিনের মধ্যেই গন্তব্যে পৌঁছতে হবে বলে রেষারেষি করছিলেন মানুষ। এরকম পরিস্থিতিতে ফেরার ঝুঁকি নিতে চাননি বিক্রম। মুম্বাইয়ে থেকে গিয়েছেন তিনি। তখন বিক্রম জানতেন না ভারতের সবচেয়ে বেশি করোনা মহারাষ্ট্রতেই হবে। একদিকে বাড়ির জন্য চিন্তা। অন্যদিকে মুম্বাইয়ের পরিস্থিতি, সবমিলিয়ে উদ্বেগে দিন কাটছে তাঁর। বছর কয়েক আগে বিগ বস এর শো-এ অংশগ্রহণ করেছিলেন বিক্রম। পরিস্থিতি যেন তাঁকে ফেলে দিয়েছে সত্যিকারের বিগ বস হাউসে। যার নিয়ন্ত্রণ ঈশ্বরের হাতে।
এরকম একটা বিপদের সময় পরিবারের পাশে নেই বিক্রম। এই প্রসঙ্গে অভিনেতা বললেন 'এই পরিস্থিতিটা আমার কাছে সত্যি খুব অদ্ভুত। এরকম একটা সময় আমি বাড়িতে নেই। মা-বাবা, বোন কলকাতায় রয়েছে। বাবাকে বেরিয়ে সব সব জরুরি জিনিসগুলো কিনে আনতে হচ্ছে। আমি থাকলে সেটা আমি করতাম। মাকেও ঘরের কাজে আমি যতটুকু পারি ততটুকু সাহায্য করতে পারতাম। কোনটাই পারছি না। খুব খারাপ লাগছে।' তবে কাজ থেকে রেহাই পাননি বিক্রম।  বন্ধুর সঙ্গে মিলে ঘরকন্নার কাজ, রান্নাবান্না, প্রয়োজনের বাজার টুকু, সবকিছুই করতে হচ্ছে তাঁকে।
advertisement
মোটামুটি ছোটখাটো সংসার করছেন বিক্রম। তাঁর কথায়, 'প্রচন্ড প্রয়োজন না হলে বেরোই না।গ্রসারি শপ কিংবা ওষুধের দোকানে যেতে হয়। এটুকুই বেরোনো। খুব সকালে একবার আমি বেরোই। রাস্তায় থাকা শারমেয়দের খুব খারাপ অবস্থা। আমি যতটুকু পারি ওদেরকে খাবার দিই। স্ট্রে অ্যানিমেলস আমাদের থেকেই খাবার পায়। আমি যেখানে আছি সেই বিল্ডিং এর আশেপাশে যে কটা শারমেয় আছে সকাল সকাল তাদেরকে খাইয়ে বাড়ি চলে আসি।'
advertisement
advertisement
মহারাস্ট্রে একেবারে টোটাল লকডাউন। পরিচারিকাদের আসা অসম্ভব। ঘরের কাজ মিলেমিশে করছেন বিক্রম ও তাঁর বন্ধু। দুজনে মিলে কাজ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। ঘর  ঝারপোচ এবং বাসন মাজা এই দুটো কাজ  বিক্রমের ভাগ্যে জুটেছে। রান্নার দায়িত্ব তাঁর বন্ধু সামলাচ্ছেন। বিক্রম বললেন, 'কীরকম যেন বিগ বস হাউসে রয়েছি মনে হচ্ছে। ওখানেও কাজ করতে হতো, এখনো কাজ করছি। কিন্তু ওখানে অনেক মানুষজন ছিল। ভালোই সময় কেটে যেত। এখন সময় কাটতে চাইছে না। ভাগ্যিস বিগ বস-এ গিয়েছিলাম, তাই বাড়ির কাজ করার কিছুটা হলেও অভ্যাস রয়েছে।'বিক্রম আরও বললেন, 'অনেক রান্না করছি না। খুবই সাধারণ খাওয়া-দাওয়া করছি। ডাল, ভাত, ডিম ভাজা, কিংবা ডিমের ঝোল ভাত, এইটুকুই। বাড়ি ফিরে গিয়ে ইচ্ছে আছে বাড়ির সকলকে একদিন ডিমের ঝোল রান্না করে খাওয়াবো। মনে হয় এই পদটা রপ্ত করে ফেলেছি।'
advertisement
হালকা মেজাজে সময় কাটাতে চাইছেন ঠিকই তবে বিক্রম যে শহরের রয়েছেন সেখানে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে। তবে বিক্রম জানালেন, 'আশপাশে পরিবেশ বেশ থমথম।  সরকার প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথেষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ, প্রশাসন, সরকার যতই ব্যবস্থা নিক, এই রোগ প্রতিরোধ করতে হলে সাধারণ মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে। তাঁদের সহযোগিতা করতে হবে।' অভিনেতা মনে করেন প্রত্যেকেরই নিজের যত্ন নেওয়া উচিত। এই পরিস্থিতিতে শারীরিক এবং মানসিক দুই ক্ষেত্রেই সমান ভাবে যত্ন নেওয়া দরকার। একদিকে শরীর যাতে অসুস্থ না হয়, সেটা দেখতে হবে, পাশাপাশি বাড়িতে থেকে অবসাদ খুব স্বাভাবিক সেটা কাটিয়ে উঠতে হবে। ভালো থাকাটাই এই মুহূর্তে প্রয়োজন।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
'কীরকম যেন বিগ বস হাউসে রয়েছি মনে হচ্ছে': বিক্রম চট্টোপাধ্যায়
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement