বউভাতের সন্ধ্যায়ও সোনালির অভিনয় মঞ্চে, জীবনের যাত্রাপথে শঙ্কর ও তিনি ছিলেন একে অন্যের পরিপূরক

Last Updated:

Shankar Chakraborty and Sonali Chakraborty: ১২৫ তম রবীন্দ্রজয়ন্তীতে ‘তাসের দেশ’ মহড়ার সময় আলাপ৷ তার পর ক্রমেই আলাপ থেকে প্রেম গাঢ় হয়ে ওঠে৷

শঙ্কর ও সোনালির একসঙ্গে চলার সেই সুর ছন্দোবদ্ধ ছিল শেষ দিন পর্যন্ত
শঙ্কর ও সোনালির একসঙ্গে চলার সেই সুর ছন্দোবদ্ধ ছিল শেষ দিন পর্যন্ত
রবি ঠাকুরের 'তাসের দেশ' নিবিড় করেছিল তাঁদের সম্পর্ক৷ শঙ্কর ও সোনালির একসঙ্গে চলার সেই সুর ছন্দোবদ্ধ ছিল শেষ দিন পর্যন্ত৷ দূরদর্শনের ‘ক্লোজ আপ’ অনুষ্ঠানে স্মৃতির পানসি বেয়ে সে সব কথা বলেছিলেন অভিনেতা শঙ্কর চক্রবর্তী৷ অর্ধাঙ্গিনী সোনালির প্রয়াণে সেই অনুষ্ঠান নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে৷
শঙ্কর ও সোনালি দু’জনেই ছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া৷ সোনালি ছিলেন নৃত্য বিভাগে৷ শঙ্করের বিষয় ছিল নাটক৷ ১২৫ তম রবীন্দ্রজয়ন্তীতে ‘তাসের দেশ’ মহড়ার সময় আলাপ৷ তার পর ক্রমেই আলাপ থেকে প্রেম গাঢ় হয়ে ওঠে৷ তখন সোনালি স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্রী৷ শঙ্কর ছিলেন স্নাতক স্তরে৷ বয়সে অবশ্য তিনিই বড়৷ কিন্তু মাঝে পড়াশোনায় তাঁর বিরতি পড়েছিল৷ রবীন্দ্রভারতীতে পড়ার সময় অল্পবিস্তর অভিনয়ও করতেন শঙ্কর৷ কিন্তু বিয়ে করে সংসার শুরুর জন্য তা নিতান্তই সামান্য৷ তবুও সাহসে ভর করে সোনালিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েই দিয়েছিলেন কর্মহীন শঙ্কর৷ বলেছিলেন চাকরি পাওয়ার পর বিয়ে করবেন৷
advertisement
চাকরি অবশ্য এসেছিল বিয়ের পর৷ ১৯৯০ সালে বিয়ে করেন শঙ্কর-সোনালি৷ তার পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পান শঙ্কর৷ কিন্তু কেরানির চাকরিতে কোনওদিনই মন বসেনি তাঁর৷ বাধ্য হয়েছিলেন সংসারের মুখ চেয়ে চাকরি করতে৷ শুধু অর্থ নয়, বিয়ের পর দেখা দিল মাথা গোঁজার ঠাঁই নিয়েও সমস্যা৷ খড়দহে যে বাড়িতে মাকে নিয়ে শঙ্কর থাকতেন, সেখানে স্থান সঙ্কুলান৷ অনেক খুঁজেও পাননি বাড়ি ভাড়া৷ শেষে যে বন্ধুর সঙ্গে বাড়ি ভাড়া খুঁজতে বেরিয়েছিলেন, তাঁর বাড়িরই একতলায় গোডাউন পরিষ্কার করে শুরু হয়েছিল তাঁদের নতুন সংসার৷ আবার এক সময় নবাগত অভিনেতা হিসেবে জীবন সংগ্রামের সময় সোনালির কলকাতার ত্রিকোণ পার্কের বাড়ির চিলেকোঠায় থাকতেন শঙ্কর৷ কারণ খড়দহ থেকে কলকাতায় যাতায়াত করা কষ্টসাধ্য ছিল৷
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন :  প্রয়াত অভিনেত্রী সোনালি চক্রবর্তী, বিনোদন জগতে শোকের ছায়া
শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অভিনয়ের প্রতি দায়বদ্ধ ছিলেন শঙ্কর-সোনালি৷ সেই একনিষ্ঠ দায়বদ্ধতা থেকে বউভাতের দিনও নাটকে অভিনয় করেছেন সোনালি৷ আগেই নির্ধারিত ছিল নাটকের দিন৷ এদিকে সেদিনই বউভাত৷ আপত্তি তো দূর অস্ত্৷ বরং, শঙ্করই সাহায্য করেন নবপরিণীতা সোনালিকে৷ যাতে তিনি ‘মৃচ্ছকটিক’-এ বসন্তসেনার ভূমিকায় মঞ্চে আবির্ভূত হতে পারেন৷ দূরদর্শনের সেই সাক্ষাৎকারে শঙ্কর জানান বউভাতের সকালে অনুষ্ঠানের পর তিনিই নিয়ে গিয়েছিলেন সোনালিকে৷ তার পর সন্ধ্যায় রবীন্দ্র সদনে নাটকে অভিনয়ের পর রাতে তাঁরা ফিরেছিলেন খড়দহে৷ গিয়ে দেখেন ফুল নিয়ে অপেক্ষা করছেন বন্ধুবান্ধবরা৷
advertisement
জীবনের ওঠাপড়ায় আরও প্রগাঢ় হয়েছে শঙ্কর-সোনালির দাম্পত্য৷ অভিনয়ের টানে চাকরি ছেড়েছেন শঙ্কর৷ নিজেকে অতুলনীয় অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘বিবাহ অভিযান’-এর ‘গণশা’৷ ছবি-টেলিছবি-ধারাবাহিকের দুনিয়ায় উজ্জ্বল মুখ ছিলেন সোনালিও৷ এক সময় শঙ্করের তুলনায় তিনিই ছিলেন বেশি ব্যস্ত ও পরিচিত৷ কিন্তু পরবর্তীতে মেয়ে সাজির জন্য ধীরে ধীরে অভিনয় করা কমিয়ে দেন সোনালি৷ আজ শঙ্কর ও সোনালির একমাত্র মেয়ে সাজি মুম্বইয়ের সহকারী পরিচালক৷ বাংলা টেলিভিশনে কিছু অভিনয়ও করেছেন তিনি৷ স্বামী শঙ্কর ও মেয়ে সাজিকে নিয়ে সাজানো সংসার পড়েই রইল৷ সোনালি চলে গেলেন বহু দূরে৷ শঙ্কর-সোনালির রসায়নের স্পর্শ রয়ে গেল দর্শকদের মনের কোণায়, ‘বরিশালের বর কলকাতার কনে’ অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার স্মৃতিমেদুরতায়৷
view comments
বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
বউভাতের সন্ধ্যায়ও সোনালির অভিনয় মঞ্চে, জীবনের যাত্রাপথে শঙ্কর ও তিনি ছিলেন একে অন্যের পরিপূরক
Next Article
advertisement
‘লোকের দু’টো বউ থাকতে পারে, আমার বান্ধবী থাকতে পারে না...? অর্পিতাকে নিয়ে এবার মুখ খুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়
‘লোকের দু’টো বউ থাকতে পারে, আমার বান্ধবী থাকতে পারে না..? অর্পিতা ইস্যুতে মুখ খুললেন পার্থ
  • ‘অর্পিতা আমার বান্ধবী, তাতে অসুবিধার কী আছে...?’

  • অর্পিতা নিয়ে এবার মুখ খুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়

  • অর্পিতাকে নিয়ে ‘রং চড়িয়ে’ সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে বলে দাবি

VIEW MORE
advertisement
advertisement