#মুম্বই: শান মানেই একগাল হাসি। শান মানেই ফুরফুরে খোশমেজাজ। সবসময় তিনি রঙিন। এই ঘোর করোনার দিনেও এক সন্ধ্যায় শানদার ইন্টারভিউ দিলেন শর্মিলা মাইতিকে। মন খাাারাপেও মজার বাতাস বইয়ে দিলেন, সাচ্চা ম্যাজিশিয়ানের মতো। মুম্বই থেকে ভার্চুয়াল চ্যাট।
গণেশ বিসর্জনের দিন। অন্যান্য বছরের তুলনায় জৌলুসহীন গণপতি পুজোতেও বাইরে বাজি ফাটার আওয়াজ। মন্টি শর্মার স্টুডিওতে সন্ধ্যেবেলায় জোর আলোচনায় তিনি। বেশ গান গাইছিলেন গুনগুন করে। নতুন সুর ভাঁজছেন। বসে আছেন লিরিসিস্টও। সন্ধ্যেবেলা এরকমই এক আবহে শুরু হল কথাবার্তা।অবশ্যম্ভাবী প্রশ্নটা না করা সত্ত্বেও উত্তরটা দিয়ে দিলেন শান। স্বভাবসুলভ মিষ্টতা মাখিয়ে। লকডাউন মোডেও সেটা অক্ষুণ্ণ। সদ্য বাংলায় একটি ভিডিও অ্যালবাম বানালেন। 'চাই না'। জীবনে কী কী চাই আপনার, কী কী চাই না?
" চাই তো অনেক কিছুই। আমার চাওয়ার চেয়ে বড় কথা, নতুন জেনারেশন এখন মোবাইলের হাতছানিতে বুঁদ। তারা যে ঠিক কী চায় তা বোঝা আমাদের মতো বিগত প্রজন্মের পক্ষে বোঝা মুশকিল। নীল আর তৃণা দারুণ প্রাণবন্তভাবে তুলে ধরেছে।"শানের গান মানেই তো প্রাণঢালা। ইদানীং প্লেব্যাকে খুব মিস করছি। " এখন তো মানুষ দুঃখকষ্টের গান বেশি ভালবাসে। কেন জানি না সময়টাই অন্য হয়ে গিয়েছে। গানে হাসি মজা আনন্দ নেই বলে আমায় ডাকে না। আমি তো না হেসে গাইতে পারি না। এই দেখুন আমি না হেসে গাইছি। দেখুন তো কেমন লাগে?"
থ্রি ইডিয়টস ছবির সেই বিখ্যাত গানটা গেয়ে উঠলেনবহতি হাওয়া সা থা উও...এক্কেবারে কাটখোট্টা মুখে। ভাবলেশহীন।সত্যি একদম ভাল লাগছে না। আপনি পুরনো হাসিতে ফিরে যান। প্লিজ।জোরে হেসে ফেললেন শান। তারপর আবার নিজস্ব ভঙ্গিমায় গেয়ে উঠলেন ওই গানটাই। বললেন, গান গাইব কিন্তু হাসব না, আনন্দে মনের দরজাগুলো খুলতে পারব না, তা কী করে হয়? আজকাল গানেরও যেন মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। মানুষ ভাল থাকবে কী করে! "গানকে তো গৃহবন্দি রাখা যায় না। কী করে লকডাউনে নিজের গায়ক সত্তাকে বন্দি করলেন। " অন্য দরজাটা খুললাম। বহুদিন পর চুটিয়ে ফ্যামিলি লাইফ উপভোগ করলাম। ছেলেদের শুধু বউ আর ছেলেরা নয়। অনেক আত্মীয়স্বজনকে ফোন করলাম, যাদের সঙ্গে বহু বছর কথা হয়নি। নতুন করে নিজেকে খুঁজে পাওয়াতেও কত আনন্দ!"একুশ বছর কাটল ইন্ডাস্ট্রিতে। থরে থরে সাজানো পুরস্কার আপনাদের বাড়িতে। কিন্তু বাবার ছবি দেওয়ালে দেখলে কী মনে পড়ে। "আমার 13 বছর বয়সে বাবাকে হারিয়েছি। মাত্র 43 বছর বয়সে উনি চলে গিয়েছিলেন পরপারে। বাবা এখনও আমার কাছে ইয়ং। বিকজ হি ডায়েড ইয়ং। প্রতিবার নতুন গান বেরলে বাবার কাছে দাঁড়াই। আর কয়েক বছর ইন্ডাস্ট্রিতে থাকলে আরও একটু সিনিয়রদের দলে পড়ব। তখনও বাবা ইয়ং থাকবেন। আমি বুড়ো হয়ে যাব।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bollywood