Santosh Dutta Birth Anniversary: সন্তোষ দত্তর জন্মদিনে স্মৃতিচারণা তাঁর নাতির, জানালেন দাদু হিসেবে কেমন ছিলেন ‘জটায়ু’

Last Updated:

Santosh Dutta Birth Anniversary: জটায়ু না থাকলে বোধহয় সবুজ অ্যাম্বাসাডারে বেড়াতে পারতাম না| জানতাম না ডালমুটের স্বাদ| আফ্রিকায় নেকড়ে নেই‚ তাঁর অভিনয় না থাকলে কে শেখাত?

সোনার কেল্লা ছবিতে অভিনেতা সন্তোষ দত্ত
সোনার কেল্লা ছবিতে অভিনেতা সন্তোষ দত্ত
‘এটা আমাআআআআর’ বলে শুধু নেপালের জং বাহাদুর রানার ভোজালিই নয়৷ তিনি মুঠোবন্দি করেছিলেন আপামর বাঙালির হৃদয়ও৷ পাঁচ দশক সময় পেরিয়ে গেলেও জটায়ুর জায়গায় তাঁকে ছাড়া কাউকে ভেবে ওঠা দুষ্কর৷ আজ সন্তোষ দত্তর নশ্বর বয়স ৯৮ বছর৷ আর অবিনশ্বরভাবে তিনি চিরসবুজ৷ চিরকালীন৷ শনিবার, অভিনেতার জন্মদিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তাঁর দৌহিত্র পি রাজ৷ ফেসবুকে সন্তোষ দত্তর একটি সাদাকালো ছবি পোস্ট করেছেন তিনি৷ সেই ছবিতে প্রয়াত অভিনেতার মুখে সেই অমলিন হাসি৷ মনে হচ্ছে যেন এক্ষুণি ছবি থেকেই বলবেন ‘আপনাকে তো কাল্টিভেট করতে হচ্ছে, মশাই!’
সিনেমার পর্দায় তাঁর ভাবমূর্তির সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনের তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর৷ বললেন তাঁর নাতি৷ ১৯৮৮ সালে অভিনেতার প্রয়াণের সময় পি রাজের বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর৷ তবুও ফিকে হয়নি দাদুর স্মৃতি৷ বললেন, ‘‘দাদু ছিলেন খুব শৃঙ্খলাপরায়ণ এবং সময়ানুবর্তী৷ ঘড়ির কাঁটা ধরে চলতেন৷ সময় নষ্ট হলে বা কেউ করলে খুব রেগে যেতেন৷’’ অভিনেতার তুলনায় ক্রিমিনাল ল’ ইয়ার হিসেবে দাদুর স্মৃতিই নাতির মনে বেশি উজ্জ্বল৷
advertisement
advertisement
মগনলালের প্রাইভেট সার্কাসে অর্জুনের নিশানা হওয়ার আগে শরবত পান করার জন্য ১ মিনিট সময় চেয়ে নেওয়া লালমোহন গাঙ্গুলি ব্যক্তিগত জীবনে ছিলেন অত্যন্ত খাদ্যরসিক৷ কিন্তু কাজের চাপ এলে খাওয়াদাওয়ার কথা মনে থাকত না৷ এমনিতে মিশুকে৷ কিন্তু কাজের দিকে কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করতে পারতেন না৷ ছোটবেলার স্মৃতি হাতড়ে বললেন তাঁর নাতি৷ দাদুর অভিনীত সব সিনেমাই দেখেছেন৷ তবে সবথেকে প্রিয় ‘জয় বাবা ফেলুনাথ৷’
advertisement
দাদু সন্তোষ দত্তর সঙ্গে ছোটবেলায় স্টুডিওপাড়ায় যেতেন পি রাজ৷ তখন থেকেই তাঁর গানবাজনার দিকে ঝোঁক৷ নাতির শখের সমঝদার ছিলেন সন্তোষ৷ কিন্তু বলেছিলেন আগে পড়াশোনা সম্পূর্ণ করতে হবে৷ তার পর বাকি সব৷ পর্দায় সেই কাঠিন্যকে তাঁর সহজাত রসবোধের আড়ালে রেখে কয়েক প্রজন্মের শৈশব ও কৈশোরকে লালনপালন করে গিয়েছেন সন্তোষ দত্ত৷ তিনি না থাকলে বোধহয় সবুজ অ্যাম্বাসাডারে বেড়াতে পারতাম না| জানতাম না ডালমুটের স্বাদ| আফ্রিকায় নেকড়ে নেই‚ তাঁর অভিনয় না থাকলে কে শেখাত? তাঁর জন্যই জীবনটা হাইলি সা-স-পি-শা-স! না হলে হয়তো সবই জং বাহাদুর রানার ৫০.৭৫-এর জং ধরা ভোজালি ভোজালি হয়ে যেত| তাঁর জন্যই আমাদের স্বপ্নের শরবতে বিষ থাকে না| কোনও এক দুনিয়ায় নিশ্চয়ই এখনও সওয়াল জবাব করেন আইনজীবী সন্তোষ দত্ত| বেস্ট সেলার লিখে চলেন লালমোহন গাঙ্গুলি৷ উটের কুঁজে বসে আরব বেদুইন হওয়ার সাধপূরণ করেন জটায়ু৷ দিনের শেষে নিশাচরকে হারিয়ে তিনিই রক্তবরণ মুগ্ধকরণ নদীতীরে যাহা বিঁধিলে মরণ৷
advertisement
আরও পড়ুন : রাখী গুলজার ফের বাংলা ছবিতে, পরিচালনায় শিবপ্রসাদ-নন্দিতা
সন্তোষ দত্তর একমাত্র কন্যা লাবণ্যর মৃত্যু হয়েছে ২০১৪ সালে৷ তার আগের বছর চলে গিয়েছেন অভিনেতার স্ত্রী৷ ফেলে আসা দিনের সোনালি মুহূর্তগুলিই এখন দৌহিত্রের নস্টালজিয়া৷ আর অনুরাগীদের মনের খাতায় রয়ে গিয়েছে তাঁর অটোগ্রাফ৷ নতুন ঝরনা কলম থেকে পড়া এক ফোঁটা কালি-সহ৷
view comments
বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
Santosh Dutta Birth Anniversary: সন্তোষ দত্তর জন্মদিনে স্মৃতিচারণা তাঁর নাতির, জানালেন দাদু হিসেবে কেমন ছিলেন ‘জটায়ু’
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement