#কলকাতা: পুলিশি হেফাজতে ইউটিউবার তথা লেখক রোদ্দুর রায়। বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতের মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে পেশ করা হয় গোয়া থেকে ধৃত রোদ্দুর রায়কে। ১৪ জুন পর্যন্ত তাঁকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। এদিন আদালত ছাড়ার সময়ে রোদ্দুর রায় বলেন, এই গ্রেফতারি রাজনৈতিক। তিনি অপরাধী নন।
মুখ্যমন্ত্রী, কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, কলকাতা পুলিশ কমিশনারের নাম উল্লেখ করে ইউটিউব ও সোশ্যাল মাধ্যমে ‘কটূ’ কথা বলার অভিযোগ রয়েছে রোদ্দুরের বিরুদ্ধে। সাংসদ শান্তনু রায়ের দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারকে কালিমালিপ্ত করা, মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে এক মহিলা সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করেছেন রোদ্দুর রায়। এই মর্মে ভারতীয় দণ্ড বিধির একাধিক ধারাতে রোদ্দুরের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে হেয়ারস্ট্রিট থানাতে।
সেই অভিযোগের সূত্র ধরেই রোদ্দুরকে গোয়া থেকে গ্রেফতার করে কলকাতা আনা হয় বুধবার রাতেই। এদিন আদালতে পেশ করার পর রোদ্দুরের পক্ষে আইনজীবীরা আদালতে জানান, যে সকল ধারাতে মামলা রুজু রয়েছে, তা ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে। তাদের দাবি, সংবিধানের ১৯ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রত্যেকের অধিকার আছে নিজের মতামত এবং অভিব্যক্তি প্রকাশ করার। তাই রোদ্দুর রায় নিজের মত প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন- সলমন-সেলিমকে হত্যার হুমকি চিঠি দিয়েছে সিদ্ধেশ কাম্বলে? কে এই ব্যক্তি?আর এখানেই তীব্র আপত্তি জানান সরকারি আইনজীবী। তিনি স্পষ্ট করে দেন রোদ্দুর যে ভাষাগুলি প্রয়োগ করেছেন, তা সংবিধান স্বীকৃতি দেয় না। যে ভাষা ব্যবহার করে একজন মুখ্যমন্ত্রী বা অন্যদের আক্রমণ করা হয়েছে, ওই ভাষা ব্যবহার করা যায় না। তাই পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হচ্ছে।
অন্যদিকে জামিনের জন্য জোর সওয়াল করেন রোদ্দুরের আইনজীবীরা। দু’পক্ষের সওয়াল শেষে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ আদালতের। এদিনে রোদ্দুরের অনুগামীরা ভিড় জমান আদালত চত্বরে। এমনকি আদালত কক্ষেও দেখা যায় তাঁদের। রোদ্দুরকে যখন আদালত কক্ষে আনা হয়, তখন অনুগামীদের দেখে হাত নাড়িয়েছেন। শুধু হেয়ারস্ট্রিট থানা নয়, রোদ্দুরের বিরুদ্ধে চিৎপুর, পাটুলি ও ভবানীপুর থানাতেও অভিযোগ হয়েছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Roddur Roy