#চেন্নাই: এর আগে সামান্থা আক্কিনেনির (Samatha Akkineni) টক শো স্যাম জ্যাম (Sam Jam)-এ নিজের শারীরিক স্বাস্থ্যের অবনতির কথা খোলসা করে বলেছিলেন রানা ডাগ্গুবাতি (Rana Daggubati)। জানিয়েছিলেন যে তিনি ব্লাড প্রেশারের সমস্যায় ভুগছেন। তাঁর হার্টের চারপাশে জমে যাচ্ছে ক্যালসিয়ামের পুরু স্তর, যা হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতার পথে বাধা সৃষ্টি করছে। একই সঙ্গে ফেইল করেছে কিডনি, উল্লেখ করতে ভোলেননি তিনি।
কিন্তু যিনি জীবনের সব প্রতিবন্ধকতা জয় করে এগিয়ে চলার ক্ষমতা ধরেন, আসল নায়ক তো তাঁকেই বলে! দেখা গেল যে রানা বাস্তবজীবনের নায়ক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছেন। সম্প্রতি তিনি নিজের মুখে স্বীকার করে নিয়েছেন যে হেমারেজ বা অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা তাঁর রয়েছে ৭০ শতাংশ। মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে ৩০ শতাংশ। কিন্তু তিনি সেই সব নিয়ে না ভেবে কেবল নিজের কাজটুকু করে যেতে চান। যে পথে তাঁকে সাহায্য জোগায় শ্যুটিং টিম।
এক্ষেত্রে রানা নিজের নতুন ছবি হাতি মেরে সাথি (Haathi Mere Saathi)-র পরিচালক প্রভু সলোমনের (Prabu Solomon) কাছে যারপরনাই কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেছেন। বলেছেন যে শারীরিক অসুস্থতার জন্য অনেক দিন তাঁর ফ্লোরে যাওয়ার ক্ষমতা ছিল না। কিন্তু প্রভু অপেক্ষা করেছেন। আর এই বিশ্বাসটাই তাঁকে ফ্লোরে ফেরার তাগিদ দিয়েছে। পাশাপাশি এই ছবির লোকেশন হিসেবে জঙ্গলও তাঁকে সাহায্য করেছে আরোগ্যে।
জঙ্গলে কয়েক দিনের জন্য গেলেও মনটা কেমন শান্ত হয়ে যায়। প্রকৃতির সঙ্গে এই নিবিড় যোগাযোগ আমায় যেন নিজের চরিত্রটির মধ্যে ঢুকতে সাহায্য করত, তেমনই নতুন আশাও জাগাত। যেটুকু সেরে উঠেছি, তার নেপথ্যে এই পরিবেশের হাত আছে বলে আমার মনে হয়, দাবি জনপ্রিয় নায়কের।
হাতি মেরে সাথি ছবিতে রানাকে দেখা যাবে বনদেব নামের এক চরিত্রে। যে বাইরের আক্রমণ থেকে জঙ্গল এবং তার প্রাণীদের সুরক্ষিত রাখার কাজ করে চলে। তামিল ভাষায় কাদন (Kaadan) নামে এবং তেলুগু ভাষায় আরণ্য (Aaranya) নামে ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে চলতি মাসের ২৬ তারিখে। যদিও মহারাষ্ট্রের উদ্বেগজনক করোনা পরিস্থিতির জন্য ছবির হিন্দি ভার্সনটির মুক্তি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে, কবে তা হিন্দিতে মুক্তি পেতে পারে সে নিয়ে কিছুই ঠিক হয়নি বলে জানাচ্ছেন রানা।