Olpo Holeo Sottyi: প্রেম, প্রাক্তন, আয়ুক্ষয়, সম্পর্কের এক ভিন্ন স্বাদের ত্রিকোণমিতি, ‘অল্প হলেও সত্যি’ মন ভরাবে অনেকটাই
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
নতুন ছবি 'অল্প হলেও সত্যি' আবার এক মায়ামেদুর ভালবাসার গল্প নিয়ে এল দর্শকের দরবারেরূপ প্রোডাকশন অ্যান্ড এন্টারটেনমেন্টের তরফে প্রযোজক অঙ্কিত দাস এবং সুরেশ তোলানির সহযোগিতায়, অনুভব ঘোষের কাহিনিতে, পরিচালক সৌম্যজিত আদকের এই ছবিতে চার মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন সৌরভ দাস, দর্শনা বণিক, ঋষভ বসু এবং সৃজনী মিত্র।
কলকাতা: জীবন কখন কোন মুহূর্তে অতীতের কাকে আমাদের সামনে নতুন করে হাজির করে, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। এই অভিজ্ঞতা রয়েছে সবার জীবনেই। তাকেই সম্পদ করে KLIKK-এর নতুন ছবি ‘অল্প হলেও সত্যি’ আবার এক মায়ামেদুর ভালবাসার গল্প নিয়ে এল দর্শকের দরবারেরূপ প্রোডাকশন অ্যান্ড এন্টারটেনমেন্টের তরফে প্রযোজক অঙ্কিত দাস এবং সুরেশ তোলানির সহযোগিতায়, অনুভব ঘোষের কাহিনিতে, পরিচালক সৌম্যজিত আদকের এই ছবিতে চার মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন সৌরভ দাস, দর্শনা বণিক, ঋষভ বসু এবং সৃজনী মিত্র। অ্যাড এজেন্সিতে কাজ করা তরুণী গুঞ্জন রায়ের (সৃজনী মিত্র) বিয়ে ঠিক হয়ে যায়, তারই অফিস কলিগ সিদ্ধার্থর (ঋষভ বসু) সঙ্গে। দুই বাড়ির কথাবার্তা এগিয়ে যায়। বিয়ের আগে সিদ্ধার্থর সঙ্গে লিভ ইনের প্ল্যান করে গুঞ্জন। বিয়ের এখনও দু-তিন মাস দেরি, তাও ছেলে কেমন, তা একবার যাচাই করে নিতে হবে না? তাই লিভ ইনের প্ল্যান!

advertisement
অন্য দিকে, অর্জুন (সৌরভ দাস) ক্যানসারে আক্রান্ত। রোজকার বলতে কলেজ স্টুডেন্টদের পড়ানো। তবে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে সে আর পড়াতে পারে না। হাতে যা টাকা ছিল তাও প্রায় শেষ। অর্জুনের ভাড়াটে, শুভেন্দুবাবুর মেয়ে অমৃতা (দর্শনা বণিক) বাইপাসের ধারের বেসরকারি এক হাসপাতালের নার্স। তার প্রিয় অর্জুনদা এখন রোজ মৃত্যুর সঙ্গে একটু একটু করে লড়াই করছে। তাই চাকরি ছেড়ে সে ঠিক করে কাছে থেকে অর্জুনের দেখাশোনা করবে।
advertisement


ওদিকে বিয়ের নেমন্তন্ন শুরু করার সময় গুঞ্জন জানতে পারে তার লাইফের প্রথম ক্রাশ, পাঁচ বছরের সিনিয়র অর্জুনদা এখন ক্যানসারের সঙ্গে লড়ছে। সে শেষ একবার দেখতে চায় অর্জুনকে। অর্জুনের বাড়িতে সিদ্ধার্থ যখন গুঞ্জনকে ছাড়তে যায়, তখন তার দেখা হয় প্রাক্তন অমৃতার সঙ্গে, যে অমৃতা একদিন সিদ্ধার্থর প্রেমপ্রস্তাবে না বলে দিয়েছিল। কলকাতা তিলোত্তমার বুকে এবার কি গড়ে উঠবে এক প্রেমের মায়াজাল? কলেজের ক্রাশ কি কেবলই ক্রাশই থেকে যাবে, না কি ভালবাসার কথা একবার হলেও জানাতে পারবে গুঞ্জন? অন্য দিকে, সিদ্ধার্থ কি একবারের জন্যও ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করবে অমৃতাকে, না কি বর্তমান ভালবাসা নিয়েই বাকি জীবনটা কাটাবে? সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে ছবিতে। তবে, অভিনেতারা যে যা বলছেন, তার উত্তর মিলবে এখানেই!
advertisement
সৌরভ দাস বলেন, ‘‘KLIKK-এর সঙ্গে আমার অনেকগুলো কাজ হয়েছে। আমার খুব ভাল লাগছে যে আমার ছবি KLIKK-এ আসছে। আমার অনেক ছবি KLIKK নিয়েছে। সেক্ষেত্রে আমি খুশি যে এই ভালবাসাটা এই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে আমাকে দেওয়া হয়। অভয়জি, নীরজজি প্রচণ্ড ভালবাসেন আমায়। KLIKK-এ এর আগে কাটাকুটি, পিকাসো, মিল্কশেক মার্ডার… আমরা অনেক কাজ করেছি। আমার বিশ্বাস যে এই কাজটিও মানুষ দেখবেন আর ভালবাসবেন।’’
advertisement


তিনি আরও বলেন, ‘‘এই ছবিতে অর্জুনের মতো চরিত্র যখন আমাকে দেওয়া হল, যেখানে এতটা লেয়ার, যেখানে একজন ক্যানসারে ভুগছে, আমি খুব কম আত্মীয়কেই চিনি, আমার খুব কাছের মানুষ, যাঁরা এই মারাত্মক রোগে মারা গিয়েছেন। সেটা সত্যি কথা বলতে একটু ভয়াবহ। আমি আমার কথাই বলি, এই চরিত্রটা আমার কাছে একটু কষ্টেরই ছিল। যেমন ভাবে আমি প্রসেস করি আমার পারফরম্যান্স, আমি সেই জোন- এই চরিত্রের মধ্যেই ছিলাম। আমার চোখের তলায় কালি পড়ে গিয়েছিল, ওটা মেকআপ দিয়ে বাড়িয়ে নিতাম। আলাদা করে মেকআপ ছাড়াই এটা করেছিলাম। এই চরিত্রের জন্য আদক আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। সেই সঙ্গে আমার সহ-অভিনেতারা আমাকে ওই জায়গাটা দিয়েছে, ওই সময়টা দিয়েছে, এক একটা সিনের আগে। আমি সবাইকে বলতে চাই, এটা এমনই গল্প যেটা প্রচণ্ড রিলেটেবল, যেটা খুবই নর্মাল, পাশের বাড়িরই গল্প। তবে আমি চাই না এই গল্পটা কারও বাড়িতে ঘটুক! সবার খুব ভাল লাগবে এবং সুন্দর সুন্দর গানও আছে। আমার প্রিয় গান হল মায়ের কাঙাল, যেটা আশা করছি সবার খুব ভাল লাগবে।’’
advertisement

অভিনেত্রী দর্শনা বণিক বলেন, ‘‘আমার শুটিং এক্সপেরিয়েন্স খুব ভাল ছিল। আমার যতটুকু মনে আছে টিমের সবাই অল্প বয়সীই ছিল। তাঁদের প্রত্যেকের যে একটা এনার্জি সেটা ওই সেটে ছিল এবং সকলেই খুব পজিটিভ ছিল। একটা খুব ভাল কাজ করব সবাই মিলে এটাই ছিলো সবাইকার দৃঢ় সংকল্প।এইরকম সবার মধ্যে একটা খুব উত্তেজনা ছিল। সব্বাই অন টাইমে শুটিং করতেন, গঙ্গায় শুটিং করা, নৌকায় শুটিং করা সবকিছু দারুন অভিজ্ঞতা ছিল। আমার অমৃতা চরিত্রটি নিয়ে বলবো যে, স্ক্রিপ্ট শুনে, স্ক্রিপ্ট পড়ে একটা বেসিক চিন্তা ছিল মাথায়। একটা আইডিয়া ছিল কীরকম হতে পারে, কী হতে পারে। একটা ব্যাকগ্রাউন্ড, একটা ক্যারেক্টার স্কেচ। বাকি আমি পুরোটাই আমার ডিরেক্টর সৌম্যজিৎ আদককে পূর্ণ বিশ্বাস করে চলেছি। সৌম্যজিত আদক যা বলেছে, যেমন ভাবে বলেছে সেইভাবে চলেছি।’’
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
July 14, 2025 5:35 PM IST