দক্ষিণী সিনেমার ধাক্কায় বলিউড ইদানীং কিছুটা কোণঠাসা। ভারত জুড়ে দাপিয়ে ব্যবসা করছে কেজিএফ-২ (KGF 2), আরআরআর-এর (RRR) মতো ছবি। উঠে আসছে প্রভাস (Prabhas), রামচরণের (Ram Charan) মতো নায়ক, রাজামৌলির (S. S. Rajamouli) মতো পরিচালক। এই আবহে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন দক্ষিনী সুপারস্টার মহেশ বাবু (Mahesh Babu)। হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনয় প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘বলিউড আমাকে উপযুক্ত পারিশ্রমিক দিতে পারবে না। তাই সময় নষ্ট করতে চাই না’। সেই নিয়েই আপাতত জোর চর্চা চলছে সিনে দুনিয়ায়। দু’ভাগ হয়ে গিয়েছে ইন্ডাস্ট্রি।
তবে বিতর্ক থাক। বরং আলোচনা করা যাক মহেশবাবুর ‘লুক’ নিয়ে। বয়স ৪৬। অথচ দেখলে মনে হবে সবে ৩০-এ পা দিয়েছেন বোধহয়। কয়েক দশক ধরে তেলেগু ইন্ডাস্ট্রিতে রাজ করছেন মহেশবাবু। ‘বিজনেসম্যান’ (Businessman), ‘শ্রীমান্থুডু’ (Srimanthudu), ‘ভারত আনে নেনু’ (Bharat Ane Nenu), ‘মহর্ষি’ (Maharshi) এবং ‘সারিলেরু নিকেভারু’র (Sarileru Neekevvaru) মতো হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন। ১২ মে মুক্তি পেয়েছে তাঁর 'সরকারু ভারি পাটা' (Sarkaru Vaari Paata)। মহেশবাবুর অনুরাগী সংখ্যাও চমকে দেওয়ার মতো। ইনস্টাগ্রামে তাঁর ৮ মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছে। এখন কথা হল, ৪৬ বছর বয়সেও এমন ‘সদা তরুণ’ লুক ধরে রেখেছেন কী করে মহেশবাবু? দেখে নেওয়া যাক সেই রহস্য।
আরও পড়ুন : নিতম্বের কালচে ভাব? সমস্যা সবারই, তবে এই পদ্ধতিতেই মুশকিল আসান!
প্রতিদিন ওয়ার্কআউট: মহেশবাবুর সিক্স প্যাক নেই। দুর্দান্ত বাইসেপ-টাইসেপও নয়। কিন্তু ছিপছিপে পেটানো শরীর। চোখে মুখে উজ্জ্বল আভা। এটা ধরে রাখতেই ওয়ার্কআউটে ফাঁকি দেন না তেলেগু অভিনেতা। প্রতিদিন দেড় ঘণ্টা গা ঘামান জিমে।
পর্যাপ্ত প্রোটিন: ত্বকে টিস্যু তৈরিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় প্রোটিন। তাই অল্পবয়সী লুক ধরে রাখতে প্রতিদিন সঠিক মাত্রায় প্রোটিন গ্রহণ করেন মহেশবাবু। এটাই তাঁর ত্বককে করেছে মসৃণ এবং স্বাস্থ্যোজ্বল।
আরও পড়ুন : নকল আঁখিপল্লব ছাড়া আপনার সাজ অসম্পূর্ণ? দেখুন কী চরম ক্ষতি করছেন চোখ ও দৃষ্টির
কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার: তারুণ্য ধরে রাখতে চাই কোলাজেন। এটা শরীরেই উৎপন্ন হয়। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে থাকে। তাই মহেশবাবুর ডায়েটে থাকে কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার। সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবারও খান অভিনেতা। এই দুটোই শরীরে কোলাজেন উৎপাদনের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়।
টাটকা তাজা খাবার: তাজা শাকসবজি এবং টাটকা খাবারের কোনও বিকল্প নেই। এটা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেন অভিনেতা। ফাস্ট ফুড ছুঁয়েও দেখেন না। প্রক্রিয়াজাত খাবারও এড়িয়ে চলেন। সোজা কথায় পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন করেন মহেশবাবু। অভিনেতার চোখে মুখে তারই প্রতিফলন।
আরও পড়ুন : আম-জাম-তরমুজ ছেড়ে এই ফলের দিকে ফিরেও তাকান না! এতেই আছে দীর্ঘায়ু হওয়ার জাদু
সুখী এবং হাসিখুশি: হাসিখুশি থাকার কোনও বিকল্প নেই। আর সুখ আসে মনের ভিতর থেকে। সুখী এবং হাসিখুশি থাকলেই শরীরের অর্ধেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। আর কে না জানে ‘মনই গুরু শরীর চ্যালা’। মহেশবাবু অবশ্য এর পুরো কৃতিত্ব তাঁর পরিবারকে দেন!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Mahesh Babu, Skin Care