মহালয়া রিভিউ: উত্তমের ‘মহালয়া’ও জমেনি, এটিও জমল না !

Last Updated:

কেমন যেন পুজোর ঢের আগে শারদীয়া সংখ্যা হাতে পেয়ে বাঙালির ঠিক কী করবে, কী করবে না-র মাঝে পড়ে যাওয়া ৷ পরিচালক সৌমিক সেনের ‘মহালয়া’ ছবিটিও যেন ঠিত তাই ৷ ভালো নাকি মন্দ, তা বুঝতে পারার আগেই ছবি শেষ !

#কলকাতা: না ঠিক জমল না ! বাঘা বাঘা অভিনেতারা ছিলেন, গল্পও ছিল, রিসার্চও ছিল৷ মোটামুটি একটা চিত্রনাট্যও ছিল ৷ কিন্তু সবে মিলিয়ে ব্যাপারটা ঠিক তেমন জমল না ৷ কেমন যেন পুজোর ঢের আগে শারদীয়া সংখ্যা হাতে পেয়ে বাঙালি ঠিক কী করবে, কী করবে না-র মাঝে পড়ে যাওয়া ৷ পরিচালক সৌমিক সেনের ‘মহালয়া’ ছবিটিও যেন ঠিক তাই ৷ ভালো নাকি মন্দ, তা বুঝতে পারার আগেই ছবি শেষ !
আসলে, সৌমিক সেনের ‘মহলয়া’ ছবির মূল সমস্যাই হল গল্প ৷ ছবিতে দেখানো গল্প অনুযায়ী, ওপর ওয়ালার চাপে ১৯৭৬ সালে আকাশবাণীতে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র ও পঙ্কজ মল্লিকের ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ বন্ধ করে, সেই জায়গায় চলে আসেন উত্তম কুমার ও হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ৷ এই হঠাৎ ‘পরিবর্তন’, এর নেপথ্যে রাজনীতি ও বাঙালির নস্ট্যালজিয়া আঁকড়ে ধরাই মূলত ছবির মূল উপপাদ্য বিষয় হয়ে ওঠে ৷ আর এই জায়গা থেকেই শুরু হয় সমস্যা ৷ আসলে, এতো ছোট্ট একটি ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে একটা তথ্যচিত্র কিংবা শর্টফিল্ম হলে ক্ষতি ছিল না ৷ কিন্তু এটাকে ফিচারফিল্মের রূপ দিতে গিয়েই ঘটে গণ্ডগোল ৷ সংলাপ ও অভিনেতাদের আসা-যাওয়া দিয়ে কতক্ষণ আর ছবিকে ধরা যায় ? ধরতেও পারেননি পরিচালক ৷ আর সেই কারণেই হয়তো বার বার একই দৃশ্য, একই রকমভাবে চলে আসে ৷ নতুন কিছু আর বলতে পারে না ৷
advertisement
পরিচালক সৌমিক সেন, বাঙালির ‘মহালয়া’ প্রেমকে আনতে চেয়েছিলেন ছবি জুড়ে ৷ আনতে চেয়েছিলেন নস্ট্যালজিক হয়ে ওঠার অভ্যাস ৷ ভেবেছিলেন একেই হাতিয়ার করে হয়তো ছবিটা উতরে দেবেন ! কিন্তু সেই নস্ট্যালজিয়াটাকে দেখাতে গিয়ে অতিনাটকীয়তা নিয়ে এসেছেন তিনি ৷ নিয়ে এসেছেন অযথা কিছু চরিত্রও ৷ যা কিনা না থাকলেও হতো ৷
advertisement
advertisement
অভিনয়ের দিক থেকে শুভাশিস মুখোপাধ্যায় নিজের সেরাটা দিয়েছেন ৷ বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের আদব-কায়দায় নিজেরে একেবারে নিংড়ে দিয়েছেন শুভাশিস ৷ যিশু সেনগুপ্ত এই ছবিতে উত্তম কুমার হলেও, যিশুর মতনই ছিলেন ৷ আর এখানেই তিনি দক্ষ অভিনেতার প্রমাণ দিয়েছেন ৷ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন ৷ তবে ঠিক কেন ছিলেন, তার ছবিতে থাকাটা কতটা জরুরী ছিল, তা তর্কের বিষয় হয়ে উঠতে পারে৷ তবে সেটা করে বিশেষ লাভ হবে না ৷ অন্যদিকে, শুভময় চট্টোপাধ্যায়, কাঞ্চন মল্লিক এবং সহঅভিনেতারা আলাদা করে কোনও ছাপ ফেলতে পারেনি ৷
advertisement
সবশেষে বলতে গেলে, সৌমিক সেনের ‘মহালয়া’ ভিড়ে হারিয়ে যাওয়ার মতো ছবি৷ এই ছবি কোথাও কোনওরকম ছাপ ফেলতে পারে না ৷ এমনকী, এই ছবিতে এমন কিছু নেই যা হল থেকে বেরিয়ে এসেও মনে থাকে ৷ তবে হ্যাঁ, ছবি শেষে মাল্টিপ্লেক্সের ডলবি ডিজিট্যাল সাউন্ডে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের স্তোত্রপাঠ ও ‘জাগো তুমি জাগো...’ শুনতে খারাপ লাগে না !
view comments
বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
মহালয়া রিভিউ: উত্তমের ‘মহালয়া’ও জমেনি, এটিও জমল না !
Next Article
advertisement
‘লোকের দু’টো বউ থাকতে পারে, আমার বান্ধবী থাকতে পারে না...? অর্পিতাকে নিয়ে এবার মুখ খুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়
‘লোকের দু’টো বউ থাকতে পারে, আমার বান্ধবী থাকতে পারে না..? অর্পিতা ইস্যুতে মুখ খুললেন পার্থ
  • ‘অর্পিতা আমার বান্ধবী, তাতে অসুবিধার কী আছে...?’

  • অর্পিতা নিয়ে এবার মুখ খুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়

  • অর্পিতাকে নিয়ে ‘রং চড়িয়ে’ সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে বলে দাবি

VIEW MORE
advertisement
advertisement