Success Story: হাতে কাজ ছিল না! চলে দীর্ঘ লড়াই! মৃত বাবার স্বপ্নপূরণ করে মেয়ে সফল নায়িকা

কোন্নগর নয়াপাড়ার বাসিন্দা কঙ্কনা, মা এবং দাদাকে নিয়ে ছোট্ট পরিবার। বাবা মারা গিয়েছেন অনেক ছোট বয়সেই। কানাইপুরের কন্যা বিদ্যাপীঠ স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করে রবীন্দ্রভারতী থেকে ড্রামাতে অনার্স, সেখান থেকে ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা শেষ করে বর্তমানে তিনি ধারাবাহিক ‘আদালত ও একটি মেয়ে-র মুখ্য চরিত্রের অভিনেত্রী কঙ্কনা। ছোট থেকেই তাঁর স্বপ্ন ছিল অভিনয়ের জগতে থাকার। সে স্বপ্নের বুনিয়াদ তৈরি হয়েছিল বাবা কাঞ্চন হালদারের থেকে। বাবা ছিলেন নাট্য জগতের একজন কর্মী।  তবে বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে অভিনেত্রী হওয়ার চ্যালেঞ্জটা আরও প্রকট হয়ে ওঠে কঙ্কনার কাছে।

শুধুমাত্র ধারাবাহিকে অভিনয় এমনটা নয় এর আগে একাধিক সিনেমা ওটিটিতে-ও অভিনয় করেছেন কঙ্কনা। দেবের সঙ্গে অভিনয় করেছেন বাঘাযতীন ছবিতে। বর্তমানে তাঁর একটি ছবি ‘বনবিবি’ ওচলছে প্রেক্ষাগৃহে। আগামী ২৯ তারিখ আসতে চলেছে তার নতুন ছবি ‘হাতেখড়ি’।

কী ভাবে রুপোলি পর্দায় তাঁর পরিচয় সেই কথা বলতে গিয়ে কঙ্কনা জানান, তাঁর জীবনের স্ট্রাগ্লিং পিরিয়ড এখনও শেষ হয়নি। সেটি এখনও চলছে। কিছু বছর আগে পর্যন্ত কলকাতাতে থিয়েটার, নাটক এবং ছবিতে ছোট অভিনয় করার পরও যখন সেভাবে কাজ হচ্ছিল না, সেই সময় লক্ষ্য পূরণের জন্য পাড়ি দেন মুম্বই। সেখান থেকে কাজ করার সময় তাঁর কাছে ফোন আসে ধারাবাহিক ‘আদালত ও একটি মেয়ে’র মুখ্য চরিত্র দুর্গা সোরেনের ভূমিকা অভিনয় করার জন্য। দুর্গা সোরেন এমন এক চরিত্র যে পেশায় উকিল এবং ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করে। এমন এক চরিত্রের জন্য কাস্টিং পেয়ে মুম্বই থেকে ফিরে আবারও কলকাতায় কাজ শুরু করেন কঙ্কনা।

কঙ্কনার মা অপর্ণা হালদার তিনি বলেন, তাঁর স্বামীর খুব ইচ্ছা ছিল মেয়েকে অভিনেত্রী বানাবেন। কিন্তু মেয়ের সাফল্য বা মেয়ের প্রচেষ্টা কোনওটাই দেখে যেতে পারেননি তিনি। গ্রাম পেরিয়ে শহরে গিয়ে কাজ করাটা খুবই কষ্টসাধ্য ছিল। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আরও কঠিন হয়ে যায়। পাড়া প্রতিবেশী থেকে আত্মীয়-স্বজন অনেকের থেকেই কটু কথা শুনতে হয়েছিল। তবে তাঁর বিশ্বাস ছিল নিজের মেয়ের উপরে। এবং সেই বিশ্বাস ও ভরসা তার মেয়ে রেখেছে। এখন যখন কঙ্কনাকে টিভির পর্দায় দেখা যায় তখন সবাই যারা একসময় কটু কথা বলে ছিল তারাও প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়।