#চণ্ডীগড়: বিনোদন দুনিয়া থেকে শুরু করে রাজনীতির ময়দানে তাঁর দাপট এখনও রয়েছে। সেই তারকা অভিনেত্রী তথা চণ্ডীগড়ের বিজেপি সাংসদ কিরণ খের (Kirron Kher) মাল্টিপল মিলোমা অর্থাৎ ব্লাড ক্যান্সারের মতো মারণ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। আপাতত মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন অনুপম খেরের (Anupam kher) স্ত্রী কিরণ। চণ্ডীগড়ের বিজেপি সভাপতি অরুণ সুদ (Arun Sood) বলেন, 'বাঁ-হাত ভেঙে যাওয়ায় কিরণ চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। সেখানে বিভিন্ন টেস্ট করার পর ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে।চিকিৎসার মাধ্যমে অনেকটাই সুস্থতার পথে তিনি। মুম্বইতে তাঁর চিকিৎসা চলছে।'
চণ্ডীগড়ের বিজেপি সভাপতি বুধবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, 'গত বছর ১১ নভেম্বর ৬৮ বছরের প্রবীন অভিনেত্রী কিরণ খেরের বাঁ হাত ভেঙে যায়। এই অঘটন তাঁর চণ্ডীগড়ের বাড়িতেই ঘটে। এর পর চণ্ডীগড়ের পোস্ট গ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউড অফ মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ-এ (PGIMER) পরীক্ষা করানোর পর ধরা পড়ে তাঁর মাল্টিপল মিলোমা রয়েছে। এবং ক্যান্সার বিজেপি সাংসদের বাঁ হাত ও ডান কাঁধে ছড়িয়ে পড়েছে। ৪ ডিসেম্বর থেকে মুম্বইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা করাচ্ছেন।' অরুণ সুদ আরও জানান, প্রায় ৪ মাসের চিকিৎসার পর এখন অনেকটাই সুস্থতার পথে তিনি। এখন তিনি আর হাসপাতালে ভর্তি নেই। তবে মাঝে মাঝেই হাসপাতালে চেক-আপ-এ যেতে হয় কিরণকে।'
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কিরণ খের কংগ্রেস নেতা পবন বনসল এবং আম আদমি পার্টির সেলিব্রিটি প্রার্থী গুল পনাগকে পরাজিত করে জয়ী হন। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ফের দ্বিতীয় বার নির্বাচিত হন কিরণ। করোনা কালে দীর্ঘদিন অভিনেত্রী-সাংসদ কিরণ খেরকে দেখা যায়নি চণ্ডীগড়ে। শহরের বিভিন্ন স্থানে তাঁর নিখোঁজ থাকা নিয়ে পোস্টারও পরে। তবে বিরোধীদের জবাবও দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।
সাংবাদিক বৈঠকে চণ্ডীগড়ের বিজেপি সভাপতি অরুণ সুদ বলেন, "খের গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত শহরে ছিলেন। তাঁকে বাইরে বেরোতে বারণ করা হয়েছিল। খের একজন প্রবীণ ও দায়িত্বশীল নাগরিক। অসুস্থতা সত্ত্বেও, খের এলাকা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগে ছিলেন। এই সব বিষয়ে কংগ্রেস যে সমালোচনা করছে তা কেবল ক্ষুদ্র রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই নয়। ”
কিরণ খেরের ক্যান্সার নিয়ে PGIMER-এর এক চিকিৎসক বলেছেন, “মাল্টিপল মিলোমা হল ব্লাড ক্যান্সারের একটা প্রকারভেদ, এটি সাধারণত কিডনি এবং হাড়কে প্রভাবিত করে, এই রোগের চিকিৎসা কয়েক বছর ধরে উন্নত হয়েছে, রোগী ঠিকঠাক জীবনযাপন করলে প্রায় ১০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।”