শ্যুটিংয়ের সময় সেটেই কথাবার্তা, তবে কাজের বাইরে... রেখার সঙ্গে অভিনয়ের স্মৃতিচারণ করলেন কবীর বেদি

Last Updated:

রেখার বিপরীতে সেই চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ ছাড়তে চাননি কবীর বেদিও। সঙ্গে সঙ্গে লুফেও নিয়েছিলেন রাকেশের অফার। 

News18
News18
সম্প্রতি বলিউডের সুন্দরী রহস্যময়ী অভিনেত্রী রেখার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন কবীর বেদি। ১৯৮৮ সালে ‘খুন ভরি মাঙ্গ’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন তাঁরা। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে সুদর্শন এই অভিনেতা জানান যে, সেই সময় হাওয়াইয়ে একটি শ্যুটিংয়ের কাজে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। তখনই রাকেশ রোশনের কাছ থেকে ওই চরিত্রটির জন্য অফার এসেছিল তাঁর কাছে। আর রেখার বিপরীতে সেই চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ ছাড়তে চাননি কবীর বেদিও। সঙ্গে সঙ্গে লুফেও নিয়েছিলেন রাকেশের অফার।
সিদ্ধার্থ কন্ননের সঙ্গে আলাপচারিতায় বর্ষীয়ান এই অভিনেতা বলেন যে, “খুন ভরি মাঙ্গ ছবির জন্যই আমি খ্যাতি পেয়েছি। বলা ভাল, সকলেই এই ছবির জন্যই আমায় মনে রেখেছেন। ‘ম্যাগনাম পাই’ নামে একটি অন্য একটি সিরিজের শ্যুটিংয়ে তখন আমি হাওয়াইয়ে ছিলাম। তখন রাকেশ রোশনের কাছ থেকে একটা ফোন পাই। ছবিতে নায়কের চরিত্রের অফার দেওয়া হয়েছিল আমায়। আমি অবাক হয়ে প্রশ্ন করেছিলাম, এর জন্য আমায় কেন বাছা হল। তখন রাকেশ বলেছিলেন যে, এই ছবিতে নায়কই খলনায়ক হয়ে উঠবেন। আর কেউই এই চরিত্রটি করতে চাইছেন না। সেই সঙ্গে রাকেশ এ-ও জানিয়েছিলেন যে, অন্য কেউ খলনায়ক হলে কোনও সারপ্রাইজ বা চমক থাকবে না। সেই কারণেই নায়ক এবং খলনায়কের চরিত্রে আমায় অভিনয় করতে বলেছিলেন তিনি।”
advertisement
এখানেই শেষ নয়, কবীর বেদি আরও বলে চলেন, “যে মুহূর্তে রাকেশ বলেন যে, রেখা ছবির নায়িকা। সঙ্গে সঙ্গে হ্যাঁ বলে দিয়েছিলাম। সেই সময় ওঁর মতো অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করা ছিল অত্যন্ত সম্মানজনক বিষয়। আসলে রেখা একজন দুর্ধর্ষ অভিনেত্রী। ‘উমরাও জান’ ছবির জন্য বেশ কিছু পুরস্কারও জিতেছিলেন। সেই কারণে হাওয়াইয়ে আমি আমার শিডিউল আবার ঠিক করাই। আর শ্যুটিংয়ের জন্য এখানে চলে আসি। আর ছবিটিকে যোগ্য জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন রেখা। বলা ভাল যে, ‘খুন ভরি মাঙ্গ’ ছবির মন আর আত্মা রেখাই। এই ছবি মানুষের মনে গভীর ছাপ রেখেছিল। আর আমিও রেখার সঙ্গে কাজের সুযোগ ছাড়তে চাইনি।”
advertisement
advertisement
যদিও অভিনেতা এ-ও জানিয়েছেন যে, একসঙ্গে কাজ করলেও রেখার সঙ্গে বিশেষ আলাপচারিতা বা মেলামেশা করেননি তিনি। কারণ রেখা ভীষণই সংবেদনশীল একজন মানুষ। আর হামেশাই তাঁর মধ্যে মানসিক আঘাত পাওয়ার ভয় কাজ করত। এই প্রসঙ্গে কবীর বেদি বলেন যে, “একে অপরের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ছিল। উনি খুবই ব্যক্তিগত জীবন বজায় রাখতে পছন্দ করতেন। নিজের গোপনীয়তাকে আড়ালেই রাখতেন। সেই সঙ্গে অত্যন্ত সংবেদনশীল প্রকৃতির। সব সময় যেন মনে আঘাত পাওয়ার ভয় কাজ করতো তাঁর মধ্যে। তাই নিজেকে একটা আড়ালে নিরাপদে রাখতে চাইতেন। আর আমি সেই বিষয়টাকে সম্মান করি। এমনকী আজও আমাদের যখন দেখা হয়, তখন আমি ওঁর মতো করেই ওঁকে আলিঙ্গন করি। কিন্তু কখনওই একসঙ্গে বসে জীবন নিয়ে গল্প-আড্ডা করি না। তাই ওই সময় সেটেই আমাদের দেখা হত। সেখানেই কথা হত। আর কাজের পরে কোনও মেলামেশা বা গল্প-আড্ডা হত না।”
view comments
বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
শ্যুটিংয়ের সময় সেটেই কথাবার্তা, তবে কাজের বাইরে... রেখার সঙ্গে অভিনয়ের স্মৃতিচারণ করলেন কবীর বেদি
Next Article
advertisement
সাউথ ব্লক ছেড়ে নতুন ঠিকানায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর! সেন্ট্রাল ভিস্তায় গড়ে উঠল ‘সেবাতীর্থ’ কমপ্লেক্স, অমিত শাহ বললেন 'সোনালি যাত্রাপথ'!
সাউথ ব্লক ছেড়ে নতুন ঠিকানায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর! সেন্ট্রাল ভিস্তায় গড়ে উঠল ‘সেবাতীর্থ’
  • প্রধানমন্ত্রীর দফতর সাউথ ব্লক ছেড়ে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের নতুন কমপ্লেক্সে যাচ্ছে.

  • সেবাতীর্থ কমপ্লেক্সে থাকবে ক্যাবিনেট সচিবালয় ও NSA অজিত ডোভালের দফতর.

  • সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের অংশ হিসেবে নতুন প্রশাসনিক পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে.

VIEW MORE
advertisement
advertisement