হিরো থেকে ভিলেন, সত্তর দশকের হার্টথ্রব বিনোদ খান্না

Last Updated:

চলে গেলেন সত্তরের দশকের হার্ট থ্রব। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল বিনোদ খান্নার।

#মুম্বই: চলে গেলেন সত্তরের দশকের হার্ট থ্রব। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল বিনোদ খান্নার। তাঁর বয়স হয়েছিল সত্তর। বেশ কিছুদিন ধরেই ভুগছিলেন তিনি। গত দোসরা এপ্রিল তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর মৃত্যুর গুজবও ছড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘ রোগভোগের পর আজ মুম্বইয়ের হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। সুপারস্টারের মৃত্যুতে শোকের ছায়া বলিউডে।
১৯৪৬ সালে অবিভক্ত ভারতের পেশওয়ারে জন্ম বিনোদ খান্নার। সুনীল দত্তের হাত ধরেই গ্ল্যামার জগতে পা দেন সুদর্শন বিনোদ খান্না। সময়টা ১৯৬৮।মন কি মিত নামে ছবিতে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করেন বিনোদ। প্রথম হিট ছবি ১৯৭১ সালে হাম তুম অর উও। বলিউডে প্রথম দিকে তাঁর পরিচয় ছিল হ্যান্ডসাম ভিলেন হিসেবেই। পূরব আউর পশ্চিম, সাচ্চা-ঝুটা, আন মিলো সজনা, মস্তানার মতো একাধিক ছবিতে তাঁকে খলনায়কের ভূমিকায় দেখা যায়। নায়ক হিসেবে ফরেবি, হাতিয়ারা,, মেরা গাঁও-মেরা দেশ দ্য বার্নিং ট্রেন, কুরবানি, মুকদ্দর কা সিকন্দর, অমর আকবর অ্যান্টনি, জমির, খুন পসিনা, দয়াবান-সহ একাধিক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন বিনোদ। অমিতাভ বচ্চন, রাজেশ খান্নার সঙ্গেও বহু ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। প্রতিদ্বন্দ্বী নায়কদের পিছনে ফেলে অনেক উপরে ওঠে আসেন বিনোদ। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে বিনোদ খান্নার কড়া টক্কর আলোচনায় উঠে আসে এখনও।
advertisement
১৯৮২ সালে আচমকাই ফিন্মের জগত থেকে বিদায় নেন বিনোদ। অশো আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা রজনীশের শিষ্যত্ব নেন তিনি। আশির দশকে প্রোডিউসারদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাড়ি দেন বিনোদ খান্না। সেখানে অরিগনে রজনীশপুরমে থাকতে শুরু করেন। সেখানে থাকাকালীন বাগানের মালি বা রাঁধুনি হিসেবেও কাজও করেন এই সুপারস্টার। সেসময় তাঁর নাম হয় বিনোদ ভারতী। এইসময় প্রথম স্ত্রী গীতিঞ্জলির সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তাঁর। ১৯৮৭ সালে ভারতে ফিরে আসেন তিনি। সুঠাম চেহারার জন্য প্রথম দিকে অ্যাকশন হিরো হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ডিম্পল কাপাডিয়ার সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন জুরম ও চাঁদনি ছবিতে। এই সময়ই দ্বিতীয় বার বিয়ে করেন তিনি। অশো আশ্রমের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনটি ছবি তৈরির ইচ্ছাও একসময় প্রকাশ করেন বিনোদ খান্না।
advertisement
advertisement
১৯৯৭ সালে বিজেপিতে যোগ দেন বিনোদ খান্না। ১৯৯৯ সালে পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন তিনি। ২০০২ সালে সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী হন বিনোদ খান্না। ২০০৯ সালে বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী হন।
১৯৯৯ সালে ফিল্মফেয়ারের লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পান বিনোদ খান্না। ২০০১ সালে কলাকার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পান তিনি। ২০০৬ সালে স্টারডাস্ট পুরস্কার পান বিনোদ খান্না।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
হিরো থেকে ভিলেন, সত্তর দশকের হার্টথ্রব বিনোদ খান্না
Next Article
advertisement
SSKM-এ নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ! গ্রেফতার এনআরএসের অস্থায়ী কর্মী
SSKM-এ নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ! গ্রেফতার এনআরএসের অস্থায়ী কর্মী
  • এসএসকেএমে ‘যৌন হেনস্থা’র অভিযোগ নাবালিকাকে

  • ডাক্তার পরিচয় দিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন শৌচাগারে!

  • অভিযুক্ত গ্রেফতার

VIEW MORE
advertisement
advertisement