Chhapaak Review: ‘লক্ষ্মী’র লড়াইয়ে দীপিকার বাজিমাত ! বয়কট নয় মাস্টওয়াচ ‘ছপক’

Last Updated:

‘লক্ষ্মী’র লড়াইয়ে দীপিকার বাজিমাত ! বয়কট নয় মাস্টওয়াচ ‘ছপক’

#কলকাতা: সত্যি সাহস লাগে ! ছবি মুক্তির ঠিক আগে দেশের জ্বলন্ত ‘ইস্যু’তে JNU ক্যাম্পাসে পা রাখতে সাহস লাগে ! পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়ে, হুমকি ট্রোলের তোয়াক্কা না করে, মেরুদণ্ড সোজা রাখতে সাহস লাগে ! ছবির প্রযোজক হয়ে তা যেন এক বিশাল বাজি রাখা৷ কিন্তু দীপিকার কাছে এ সাহস, এ বাজি যেন তুচ্ছ ৷ কেননা, মেঘনা গুলজারের চিত্রনাট্যকে সবুজ সংকেত দিয়ে তিনি যখন ‘ছপক’-এর মালতি হয়ে উঠছিলেন, তখনই আসল চ্যালেঞ্জটা নিয়ে ফেলেছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন ! ২ ঘণ্টা ৩ মিনিটের এই ছবির প্রত্যেকটি ফ্রেমে সেই চ্যালেঞ্জই যেন বার বার ধরা পড়ছিল ৷

ছপক

4/5
undefined undefined 10.01.2020|হিন্দিNaN hrs NaN mins|ড্রামা
Starring:দীপিকা পাড়ুকোন, বিক্রান্ত মাসেDirector:মেঘনা গুলজারMusic:শঙ্কর এহসান লয়
Watch Trailer
বলিউডে নায়কতন্ত্র ! খান-কাপুর-সিংদের জোর ৷ একথা এখন বড্ড ঘ্যানঘ্যানে, বড্ড ক্লিশে ৷ এই ধরণের ইউটোপিয়াকে বহুদিন আগেই নসাৎ করেছেন বিদ্যা, অনুষ্কা, আলিয়া, দীপিকারা ! তবে এবার দীপিকা সেই নায়কতন্ত্রের স্বপ্নের বুদবুদকে ধূলিসাৎ করলেন ৷ ‘সুন্দরী’ নায়িকার তকমাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ‘প্রসথেটিক মেকআপ’-এ গোটা ছবিতে ‘অভিনয়’ কেই মূল হাতিয়ার বানিয়ে ফেললেন তিনি ৷ হ্যাঁ, এতেও সাহস লাগে ৷ এটাও এক বড় বাজি রাখা ৷ আর এই বাজির ওপর নামই হল ‘ছপক’ !
advertisement
‘ছপক’ এমন এক ছবি যা সোজা মস্তিষ্ক ও সমানতালে মনের ভিতরে থাকা ইমোশনকে ধাক্কা মারবে ৷ ছবি দেখে আপনার চিৎকার করতে ইচ্ছে করবে, কাঁদতে ইচ্ছে করবে, আর দীপিকার প্রতি ভালোবাসা আরও তিনগুণ বেড়ে যাবে ! তা হলপ করে বলা যায়৷
advertisement
‘ছপক’ ছবির তুরুপের তাস একটাই, আর তা হল দীপিকা পাড়ুকোন ! বাস্তবের অ্যাসিড আক্রান্ত লক্ষ্মী, ছবিতে মালতি, তা দীপিকার থেকে একেবারেই আলাদা নয় ৷ একশো শতাংশই মিলে মিশে গিয়েছেন তিনি ৷ আর এই মিশে যাওয়াটা এতটাই সহজ-সরল, যে আপনি এক সময় ভুলেই যাবেন এই সেই ‘বাজিরাও মস্তানি’, এই সেই ‘পদ্মাবত’৷
advertisement
১৯ বছরের মালতি৷ দুম করে পড়াশুনো ছেড়ে দেয়৷ মালতি ইন্ডিয়ান আইডল হতে চায় ৷ তাঁর একটা বয়ফ্রেন্ড রাজেশও আছে ৷ সবে প্রেম শুরু ৷ হাতে সবে লাল গোলাপ দেওয়া-নেওয়া ৷ তবে ফ্যামিলি ফ্রেন্ড বসিরের নজরও মালতির ওপর৷ বসিরের বিয়ের প্রোপোজাল প্রত্যাখান করতেই,মালতির মুখের ওপর ছিটকে এসে পড়ে অ্যাসিড ! ব্যস, লড়াই শুরু হয় মালতির ৷ হাসপাতাল, ৭ বার অপারেশন, আদালত, সমাজ ! লড়তে লড়তে ক্লান্ত মালতি৷ একটা চাকরি চাই তার ৷ সংসার চালাতে হবে ৷ রুগ্ন ভাইকে সুস্থ করতে হবে ৷ আন্দোলন, প্রতিবাদ তার কাছে ফিকে হতে থাকে রোজকার জীবনের কাছে ৷ সব ভুলে যেতে চায় মালতি৷ আদালত ভুলতে যায় ৷ মিডিয়া ভুলতে চায় ৷ আর তাই হয়তো আইনজীবীর ফোনও নিয়মিত ধরতে নারাজ ! আর তাই হয়তো সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে মালতি চাকরিই চেয়ে বসে ! আর পাঁচটা মেয়ের মতোই পায়ে দাঁড়াতে চায় মালতি ৷ তফাৎ এখানে যে তাঁর জীবনে এখন ছপক শব্দ ! মুখশ্রী ‘বিকৃত’ !
advertisement
মেঘনা গুলজার ও অঙ্কিতা চৌহানের সহজ-সরল, সোজা-সাপটা চিত্রনাট্য ‘ছপক’-এর মূল মেরুদণ্ড ! এই চিত্রনাট্য শুধুই মালতির গল্প বলে যায়, কোনওরকম আলগা ‘জ্ঞান’ না দিয়ে ৷ গল্প বলে যায় মালতির প্রত্যেকদিনের স্ট্রাগলের ৷ যা চলতে থাকে ওড়নায় মুখ ঢাকা থেকে মামলা জেতার ওপর ওড়না সরিয়ে ‘জেতার’ মধ্যে দিয়ে ৷ বাদ বাকিটা মেঘনা ছেড়ে দেন দর্শকের ওপর ৷ আর তাই তো পর্দায় মালতি ও মালতির মতো আরও অ্যাসিড আক্রান্তের গল্প দেখতে দেখতে প্রশ্ন রেখে যায় কেন কেউ এমনটি করে?
advertisement
বাস্তবের সঙ্গে তাল রেখে এ সবের বাইরে ‘ছপক’-এর গল্পে একটা নিশব্দ প্রেমও রয়েছে ৷ এনজিও কর্মকর্তা সাংবাদিক অমল ও মালতির ৷ যাকে খুব সুন্দর ও নরমভাবে সামনে নিয়ে এসেছেন মেঘনা ৷ যা শেষ দৃশ্যের অমল ও মালতির হালকা চুম্বনের মতোই ৷
অভিনয় নিয়ে বলতে গেলে প্রত্যেকটি অভিনেতাকে সঠিক নির্বাচন করেছেন মেঘনা ৷ তা অমলের চরিত্রে বুদ্ধিদীপ্ত বিক্রান্ত মাসে হোক বা আইনজীবি অর্চনার চরিত্রে মধুরজীত সারগি ৷ সবাই যেন দীপিকাকে সাপোর্ট করে গিয়েছেন মালতি  হতে ৷
advertisement
‘ছপক’ ছবির সবচেয়ে স্ট্রং পয়েন্ট হল, এই ছবি আলাদা করে বা জোর করে কোনও রকম মেসেজ দিতে চায় না ৷ বাস্তবের লক্ষ্মী আগরওয়ালের গল্পকে মালতির সঙ্গে মিলিয়ে দর্শকের সামনে শুধুমাত্র তুলে ধরে কিছু উদাহরণ ৷ বাদ বাকি প্রতিবাদটা একেবারে শেষ ফ্রেমে ! যা মালতির লড়াই, আইনের পরিবর্তনে, ফের যেন এক বোতল অ্যাসিড ছুঁড়ে মারে ৷ আর দর্শকের মনে ‘ছপক’ আওয়াজ ! এক রাশ প্রশ্ন কিছু কি বদলাবে?
view comments
বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
Chhapaak Review: ‘লক্ষ্মী’র লড়াইয়ে দীপিকার বাজিমাত ! বয়কট নয় মাস্টওয়াচ ‘ছপক’
Next Article
advertisement
দুর্গাপুর স্টেশনে গেলে আর ফিরতে ইচ্ছে হবে না! ২৪ ঘণ্টা মিলবে পানীয় জল আর অফুরন্ত খাবার
দুর্গাপুর স্টেশনে গেলে আর ফিরতে ইচ্ছে হবে না! ২৪ ঘণ্টা মিলবে পানীয় জল আর অফুরন্ত খাবার
  • দুর্গাপুর স্টেশনে ২৪ ঘণ্টা ভেন্ডিং মেশিনে স্বাস্থ্যকর খাবার ও পানীয় পাওয়া যাবে

  • UPI-দিয়ে সহজেই পেমেন্ট করা যাবে

  • দুর্গাপুর স্টেশন স্মার্ট, পরিষ্কার এবং যাত্রী-সহযোগী স্টেশন হয়ে উঠছে

VIEW MORE
advertisement
advertisement