কেন বাবার সঙ্গে শেষ কথাটুকু হয়নি! ফেসবুকে বাবাকে নিয়ে চঞ্চলের চোখে জল আনা পোস্ট
- Published by:Uddalak B
Last Updated:
অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী সেই শোক সাগরের মধ্যে থেকেই বাবাকে নিয়ে ফেসবুকে লিখলেন এক দীর্ঘ পোস্ট৷
#কলকাতা: প্রয়াত হয়েছেন তাঁরা বাবা৷ অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী সেই শোক সাগরের মধ্যে থেকেই বাবাকে নিয়ে ফেসবুকে লিখলেন এক দীর্ঘ পোস্ট৷ সেই লেখার নাম, ‘কেবিন ৯০২’৷ কী লিখেছেন তাতে চঞ্চল! লিখেছেন, ‘বাবাকে নিয়ে আমরা হাসপাতালের এই কেবিনেই ভর্তি করেছিলাম। যদিও বাবার আর কেবিনে থাকা হয়নি, কারন শুরু থেকেই বাবাকে আই সি ইউ তে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।ভর্তির দিনই ডাক্তার বলে দিয়েছিলেন, এখান থেকে বাবার ফিরে আসার আর কোন সম্ভাবনা নেই,যদি না সৃষ্টিকর্তা অবাক কিছু ঘটান।’
ডাক্তারের এই সতর্কবার্তা শোনার পরেও তাঁরা অপেক্ষা করেছিলেন, ভেবেছিলেন বাবা সুস্থ হয়ে ফিরবেন৷ চঞ্চল লিখছেন, ‘‘তারপর থেকে আমরা শুধু অপেক্ষা আর চেষ্টা করেছি বাবাকে ফিরিয়ে আনতে। বাবা প্রায় ১৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করে হেরে গেলেন। ডাক্তারদের হিসেব মতো যে কোন সময় চলে যাওয়ার কথা বললেও, বাবা ১৫ দিন লাইফ সাপোর্টে বেঁচে ছিলেন। সন্তান বা আত্মীয় পরিজন হিসেবে চোখের সামনে এই কষ্ট দেখা যায় না। একটা সময় প্রার্থনা করেছি বাবার জ্ঞান ফিরে আসুক, সুস্থ্ হয়ে যাক, বিনিময়ে আমরা সব কিছু করতে প্রস্তুত।’
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: কাপড়ের ট্রাঙ্ক থেকে বেরল মহিলার পচাগলা দেহ, ঘনাচ্ছে রহস্য
আবেগমথিত চঞ্চল লিখেছেন, ‘ঠিক সেই আমরাই শেষের দিকে এসে, বাবার কষ্ট সহ্য করতে না পেরে প্রার্থনা করেছি, বিশ্বাস করেছি, একমাত্র মৃত্যুই বাবাকে এই অসহ্য যন্ত্রনা থেকে মুক্তি দিতে পারে। ভাবনা আর বিশ্বাসের এই বৈপরীত্য আমি এখনও মানতে পারিনি। আমরা-সহ বাবার ভালবাসার মানুষগুলো প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ৯০২ নং কেবিনে বসে থাকতাম বাবার জন্য। এত ভিড়…বসার জায়গা হত না…. তারপরেও কেউ সেখান থেকে আসতে চাইতো না। বাবার কারনেই কেবিনটা মিলন মেলায় পরিনত হয়েছিল। আমরা আট ভাইবোন-সহ পরিবারের সবাই কখনও এতদিন একসঙ্গে থাকিনি। কত আত্মীয় পরিজনের সঙ্গে যে দেখা হয়েছে কতদিন পরে,শুধু মাত্র বাবার কারনেই৷’
advertisement
এর পরেই পিতৃবিগোয়ের সেই শোকগাথা রচনা করেছেন তিনি৷ লিখেছেন, ‘২৭ ডিসেম্বর সকাল থেকেই আমরা বুঝতে পারছিলাম ,বাবাকে আর ধরে রাখতে পারব না।
ঠিক রাত ৮ টার দিকে ডিউটি ডক্টর কেবিনে ফোন করে জানালেন,বাবার হার্ট বিট একদম নেমে যাচ্ছে….সঙ্গে সঙ্গে আমরা দৌড়ে গেলাম আইসিইউ-তে। সত্যিই……বাবার শরীরটা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। না ফেরার দেশে চলে গেল আমাদের বাবা। ১২ ডিসেম্বর অচেতন অবস্থায় ভর্তি হয়ে, ২৭ ডিসেম্বর ঐ অবস্থাতেই বাবা চির বিদায় নিলেন।’
Location :
First Published :
December 31, 2022 7:57 PM IST