Aparajito: "অ্যাকশন আর কাটের মাঝে গায়ে কাঁটা দিত, সত্যিই পথের পাঁচালীর দুর্গা আমি!" আবেগতাড়িত অনুষা বিশ্বনাথন

Last Updated:

Interview of Anusha Viswanathan: পদবীর ভার বয়ে বেড়ানোর চাপ রয়েছে তাঁর কাঁধে৷ সঙ্গে কেরিয়ারের শুরু দিকে এমন ছবির সঙ্গে নাম জুড়ে যাওয়া, নিঃসন্দেহে প্রত্যাশার পারদ চড়াবে৷

ছবি মুক্তির পর থেকে দম ফেলার সময় নেই তাঁর হাতে৷ ঘনঘন ফোন৷ কখনও বন্ধু-আত্মীয়রা প্রশংসা জানাচ্ছেন, তো কখনও সাংবাদিকদের প্রশ্ন ভেসে আসছে ফোনের ওপার থেকে৷ ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ডে বড় হওয়া অনুষা বিশ্বনাথন (Anusha Viswanathan) যেন এখনও রয়েছেন এক অদ্ভুত ঘোরে৷ অপরাজিত (Aparajito) ছবির দুর্গা, থুড়ি উমা তিনি৷ "ছোট থেকে বাড়িতে প্রচুর ছবি দেখেছি, দাদু-বাবা-মায়ের সঙ্গে ছবি নিয়ে আলোচনা হত"৷ তবে কাজের শুরুতেই এমন একটা বাংলা ছবির অংশ হতে পেরে, খুবই উচ্ছ্বসিত অশোক বিশ্বনাথন-মধুমন্তী মৈত্রের সুকন্যা অনুষা বিশ্বনাথন৷
অনীক দত্তের অপরাজিত নিয়ে জয়জয়কার পড়ে গিয়েছে৷ মুক্তি পেতেই শনি-রবিবার প্রায় সব হলের সামনে ঝুলেছে হাউজফুল নোটিশ৷ খুবই খুশি কলাকুশলীরা৷ "নিয়মিত কথা হচ্ছে অনীকদা-জিতুদার সঙ্গে৷ হল ভিজিট চলছে আমাদের"৷ জানালেন অনুষা৷ "যে সময় ছবিটা আসে আমার কাছে, খুব নার্ভাস ছিলাম৷ তবে এক্সাইটেডও ছিলাম৷ পথের পাঁচালীর যে সব দৃশ্যগুলো তৈরি করা হয়েছে, এবং দুর্গার যে উপস্থিতি ছবিতে, সেগুলি বারবার করে দেখতে শুরু করি৷ সব ভিডিও ফোনে সেভ করে রেখেছিলাম৷ বারবার দেখতাম৷ এমনভাবে দেখতাম যেন সিনগুলো আমার মাসল মেমরিতে ঢুকে যায়"৷ একটানা বলে গেলেন অনীক দত্তের ছবি উমা৷
advertisement
শুধু দুর্গার চরিত্রে অভিনয় করা নয়, যেভাবে সমান্তরাল গতিতে এগিয়েছে বাস্তব আর রিলের গল্প, সেটা বেশি আকর্ষণীয় সকলের কাছে, বলছেন অনুষা৷ কারণ তিনি নিজেও মজা পেয়েছেন এভাবে অভিনেত্রীর চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে পেরে৷ তাঁর কথায় "বিটিএস (বিহাইন্ড দা সিন) গুলি বেশি প্রভাব ফেলেছে৷ ছবির মধ্যে ছবি তৈরি, এবং কীভাবে সেই গল্পগুলো এগোচ্ছে, সেটা বেশ চমকপ্রদ"৷
advertisement
advertisement
শ্যুটিং-এর সময় কখনও টাইম মেশিনে চড়ে সময়টা পিছিয়ে দিতে ইচ্ছে করেছে? অনুষা বলছেন "তেমন সুযোগ খুব একটা তৈরি হয়নি৷ কারণ সেটে পরিচালক অনীকদা খুব অ্যাকটিভ৷ সবসময় নির্দেশ দিচ্ছেন তিনি৷ তবে অ্যাকশন আর কাটের মাঝে বেশ গায়ে কাঁটা দিত", স্বীকার করেছেন অভিনেত্রী৷ আর সত্যজিতের চরিত্রে যে জিতুকে নিয়ে এত চর্চা, সেই জিতুর মধ্যে সত্যিই যেন বরেণ্য পরিচালকের ছায়া দেখতে পেয়েছিলেন অনুষা৷ "সেটে ব্রেকের সময় কখনও জিতুদা পাজামা-পাঞ্জাবি পরে হেঁটে যেত, বেশ গা ছমছম করত৷ ক্ষণিকের জন্য সত্যজিত রায় বলে মনে হত!" মানছেন অনুষা৷
advertisement
ছবিতে তাঁর অভিনয় দর্শকদের ভাল লেগেছে জানতে পেরে খুব খুশি বিশ্বনাথন বাড়ির তৃতীয় প্রজন্মের৷ পদবীর ভার বয়ে বেড়ানোর চাপ রয়েছে তাঁর কাঁধে৷ সঙ্গে কেরিয়ারের শুরু দিকে এমন ছবির সঙ্গে নাম জুড়ে যাওয়া, নিঃসন্দেহে প্রত্যাশার পারদ চড়াবে৷ আপাতত অপরাজিত হিট হওয়া নিয়ে আনন্দে থাকতে চান তিনি৷ সঙ্গে আরও কিছু কাজ রয়েছে হাতে, তাতে মনোনিবেশ করতে চান৷
advertisement
পথের পাঁচালী যাঁরা হলে দেখা সুযোগ পেয়েছিলেন, তাঁরা আবারও সেই ছবি তৈরির গল্প চাক্ষুষ করতে পারবেন৷ আর যাদের পথের পাঁচালীর কোনও অভিজ্ঞতা নেই, নতুন প্রজন্মের অনেকে জানতে পারবেন সেই গল্প৷ বাংলা ছবির ধারা, পরিচালক সত্যজিত রায়কে চেনার সুযোগ পাবেন অপরাজিত ছবির মাধ্যমে৷ ছবিটার মাধ্যমে একটা সময়কে তুলে ধরা হয়েছে৷ বিশ্বের দরবারে বাংলা ছবি পৌঁছনোর ইতিহাস উঠে আসবে, বাঙালি আবেগ এবং নস্টালজিয়ায় ডুব দেবেন এই ছবি দেখে৷ বলছেন অনুষা৷ আপাতত অভিনেত্রী হিসেবে এই সময়টা তিনিও উপভোগ করতে চান৷ "সবাই ভাল বলছে, বড় বড় রিভিউ লেখা হচ্ছে, এর থেকে আনন্দের কী হতে পারে"৷ বলেই দিলেন হাসিখুশি ছটফটে যুবতী৷
view comments
বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
Aparajito: "অ্যাকশন আর কাটের মাঝে গায়ে কাঁটা দিত, সত্যিই পথের পাঁচালীর দুর্গা আমি!" আবেগতাড়িত অনুষা বিশ্বনাথন
Next Article
advertisement
সাউথ ব্লক ছেড়ে নতুন ঠিকানায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর! সেন্ট্রাল ভিস্তায় গড়ে উঠল ‘সেবাতীর্থ’ কমপ্লেক্স, অমিত শাহ বললেন 'সোনালি যাত্রাপথ'!
সাউথ ব্লক ছেড়ে নতুন ঠিকানায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর! সেন্ট্রাল ভিস্তায় গড়ে উঠল ‘সেবাতীর্থ’
  • প্রধানমন্ত্রীর দফতর সাউথ ব্লক ছেড়ে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের নতুন কমপ্লেক্সে যাচ্ছে.

  • সেবাতীর্থ কমপ্লেক্সে থাকবে ক্যাবিনেট সচিবালয় ও NSA অজিত ডোভালের দফতর.

  • সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের অংশ হিসেবে নতুন প্রশাসনিক পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে.

VIEW MORE
advertisement
advertisement