আহা রে মন রিভিউ: মনের ভিতর যে উচাটন চলে, তাই আসলে ‘আহারে মন !’

Last Updated:

প্রেম করেন? প্রেম করেছেন? প্রেমে দাগা খেয়েছেন? অথবা এখনও প্রেমের জন্য অপেক্ষায় আছেন? কিংবা প্রেম করেন, কিন্তু সাহস নেই বলার৷ যদি না বলে দেয় সে !

#কলকাতা: প্রেম করেন? প্রেম করেছেন? প্রেমে দাগা খেয়েছেন? অথবা এখনও প্রেমের জন্য অপেক্ষায় আছেন? কিংবা প্রেম করেন, কিন্তু সাহস নেই বলার৷ যদি না বলে দেয় সে !... গোলমেলে প্রশ্ন, গোলমেলে অনুভূতি, কখনও ছেড়ে দেওয়া, কখনও আঁকড়ে রাখা ৷ প্রতিনিয়ত মনের ভিতর যে উচাটন চলে, তাই আসলে আহারে মন ৷ উপরের সবকটি প্রশ্নের উত্তর আসলে আহারে মন ৷ পরিচালক প্রতীম ডি গুপ্তা তাঁর এই চতুর্থ নম্বর ছবি ‘আহা রে মন’-এ এই খামোখা খেয়াল, উচাটানকে একমুঠো করে চারটি ভিন্ন গল্পে ছড়িয়ে দিয়েছেন ৷ আর এর এর ফলাফলই, সিনেমা হল থেকে বেরিয়ে ‘আহা.. মন ভালো করা ছবি !’
পরিচালক প্রতীম ডি গুপ্তা, টলিউডে  অন্যরকম ভাবে অ-চেনা নয় এমন গল্প বলতেই যে এসেছেন, তা ফের প্রমাণিত করলেন ‘আহারে মন’ ছবিতে ৷ ছবির গল্পবলার স্টাইল তাঁর আগের ছবি সাহেব বিবি গোলাম-এর সঙ্গে মিললেও, সেখানে তিন গল্পের মিল হয়ে তৈরি করে একটি গল্প ! এখানে কিন্তু জোড়ায় জোড়ায় গল্পের কানেকশন৷
এই ছবিতে গল্পগুলো চারটে ভিন্ন পরিস্থিতি, ভিন্ন সময়, চারটে ভিন্ন আর্থ-সামাজিক অবস্থান ৷ তবে মিল রয়েছে  মনের উচাটানে ৷ ঠিক যেন ভালোবাসার মন্তাজ ৷
advertisement
advertisement
প্রতীম চারটে গল্পকেই একসঙ্গে বলেছেন ৷ তবে একেকটি একেক রকমভাবে ৷ কোনও গল্পই একের পিঠে উঠে গণ্ডগোল পাকায়নি ৷ আর এখানেই পরিচালনার মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন প্রতীম ৷ তবে প্রতীম প্রথম বাজিটা মেরেছেন অভিনেতা নির্বাচনে ৷ কারণ, আহা রে মন এমন একটি ছবি, যা কিনা বেশিরভাগটাই দাঁড়িয়ে রয়েছে অভিনয়ের ওপর ভর করে ৷ আর সেদিক থেকে অঞ্জন দত্ত, মমতা শঙ্কর, পাওলি দাম, আদিল হুসেন, পার্নো মিত্র, ঋত্বিক অসাধারণ৷  বিশেষ করে চিত্রাঙ্গদা চক্রবর্তী ৷ তিনি যে বেশ কিছুদিন টলিউডে রাজত্ব করতে এসেছেন, তা প্রমাণ করেছেন প্রতিটি দৃশ্যে ! ও হ্যাঁ, দেবও রয়েছেন ছবিতে, নিজের মতো করেই ৷
advertisement
এই ছবি গল্প বলে মোট চারটি ৷ প্রথমটি, এক বৃদ্ধ-বৃদ্ধার (অঞ্জন দত্ত- মমতা শংকর), দ্বিতীয়টি, মধ্যবয়স্ক দুই ব্যক্তির (আদিল হুসেন-পাওলি), তৃতীয়, দুই চোরের (ঋত্বিক-পার্নো), চতুর্থ ক্যানসারে আক্রান্ত একটি মেয়ের (চিত্রাঙ্গদা) ৷ চারটি গল্পেই প্রেম রেখেছেন প্রতীম৷ তবে প্রত্যেকটি স্বাদ আলাদা আলাদা ৷ কোনটায় অপেক্ষার স্বাদ তো, কোনটায় প্রাপ্তি ৷ আবার কোনটায় স্বপ্নপূরণ ৷ তবে প্রত্যেকটি গল্পকেই প্রতীম যেন শেষ করেছেন ‘ভালো থাক মন’-কোটেশনে ৷
advertisement
আহা রে মন, কবিতার মতো ছবি ৷ যা কিনা প্রথম পাতায় ছন্দে অমিল, অগোছালো ৷ তবে কবিতা যত এগোতে থাকে, তখন ছন্দও মিলতে থাকে ৷ তবে ফের যেন শেষ লাইনে এসে, কবিতার দৈর্ঘ্য বাড়তে চায় ৷ তবে তা একেবারেই মগজে বা মনের ভিতর ৷ আর এই কবিতায় ছন্দ মেলানোতে সাহায্য করে নীল দত্তের আবহসঙ্গীত ৷ ভালো লাগে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের লেখা আহারে মন গানটিও ৷
advertisement
আহা রে মন ছবির চারটি গল্প জোড়ায় জোড়ায় সামনে এসে দাঁড়ায় ৷ যা কিনা ছবির শেষ ভাগে এসেই বোঝা যায় ৷ আর জোড়া গল্পে, একটিতে প্রাপ্তি, আরেকটিতে অপেক্ষা রেখে দেন প্রতীম ৷ আর সেটাই যেন গোটা ছবির আসল ক্লাইম্যাক্স হয়ে যায় ৷
সহজ কথায় বলতে গেলে প্রতীমের ‘আহা রে মন’ ফুরফুরে এক বাংলা ছবি ৷যা কিনা মন ভালো করতে ওস্তাদ ৷ আহা রে মন এমন একটা ছবি, যা কিনা এই চরম গরমে হালকা, ঝিরঝিরে বৃষ্টির মতো ৷ আর পাশে থাকা আপনার প্রিয়জন ৷ মন তো আহারে বলে উঠবেই!
advertisement
view comments
বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
আহা রে মন রিভিউ: মনের ভিতর যে উচাটন চলে, তাই আসলে ‘আহারে মন !’
Next Article
advertisement
সাউথ ব্লক ছেড়ে নতুন ঠিকানায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর! সেন্ট্রাল ভিস্তায় গড়ে উঠল ‘সেবাতীর্থ’ কমপ্লেক্স, অমিত শাহ বললেন 'সোনালি যাত্রাপথ'!
সাউথ ব্লক ছেড়ে নতুন ঠিকানায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর! সেন্ট্রাল ভিস্তায় গড়ে উঠল ‘সেবাতীর্থ’
  • প্রধানমন্ত্রীর দফতর সাউথ ব্লক ছেড়ে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের নতুন কমপ্লেক্সে যাচ্ছে.

  • সেবাতীর্থ কমপ্লেক্সে থাকবে ক্যাবিনেট সচিবালয় ও NSA অজিত ডোভালের দফতর.

  • সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের অংশ হিসেবে নতুন প্রশাসনিক পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে.

VIEW MORE
advertisement
advertisement