Lok Shabha Election 2024: তিনদিকে বাংলাদেশ! পশ্চিমবঙ্গের এই গ্রামে ভোট প্রচারে আসে না কোনও দল, বধ্যভূমিতে ‘বন্দিদশায়’ বাসিন্দারা
- Reported by:Sarthak Pandit
- hyperlocal
- Published by:Salmali Das
Last Updated:
মহিষমুড়ি গ্রামের ১৩৬ নং বুথ শালবাড়ি এলাকা। এলাকাটি শীতলকুচি ব্লকের খলিসমারি পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। গ্রামটিতে মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছে ৭৪০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৪১১ জন। মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৩২৯ জন।
শীতলকুচি: উত্তরবঙ্গের প্রান্তিক জেলা কোচবিহার। আর এই জেলার পাশেই রয়েছে পড়শি দেশ বাংলাদেশ। এই কারণেই জেলার বহু এলাকায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত চোখে পড়ে। সীমান্ত মানেই কাঁটাতারের বেড়া ও নিরাপত্তার ঘেরাটোপ। তবে, এই এলাকাগুলি ছাড়াও জেলায় এমন কিছু এলাকা রয়েছে যেখানে কোনও কাঁটাতারের বেড়া নেই। কারণ, সীমান্তের ১০০ মিটার দূরে কাঁটাতারের বেড়া লাগানোর নিয়ম। তবে সেই নিয়ম মানা হলে হয়তও সেখানে বসবাস করার জায়গাটুকু থাকবে না।
আরও পড়ুনঃ উত্তরবঙ্গে প্রচারে মিঠুন, মহাগুরুকে মাঠে নামিয়ে শেষ বেলার প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে গেরুয়া শিবির
এমনই এলাকা হল মহিষমুড়ি গ্রামের ১৩৬ নং বুথ শালবাড়ি এলাকা। এলাকাটি শীতলকুচি ব্লকের খলিসমারি পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। এই গ্রামের মোট ১৫ হেক্টর জমিতে রয়েছে শাল বাগান। এই কারণেই গ্রামটির এই নামকরণ হয়েছে। গ্রামটির তিনদিকে ঘিরে রয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া গ্রামটিকে ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে ধরলা নদী। এখানে যেতে হলে সচিত্র পরিচয় প্রমাণপত্র সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে দেখাতে হয়। স্বাধীনতার দীর্ঘ সময় অতিক্রম হয়েছে। তবে, এখানের বাসিন্দারা বন্দী দশা কাটাচ্ছেন নিজেদের ভূমিতে।
advertisement
তবে, এই বাসিন্দাদের পরিচয় তাঁরা ভারতবর্ষের নাগরিক। গ্রামটিতে মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছে ৭৪০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৪১১ জন। মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৩২৯ জন। এই গ্রামের বাসিন্দা আলিফার মিঁঞা, রহমান মিঁঞা, আইনুল হক, জলিল মিঁঞা এবং আইজুল মিঁঞা জানান, “পঞ্চায়েত, বিধানসভা কিংবা লোকসভা নির্বাচন যেকোনও নির্বাচনের ক্ষেত্রেই প্রার্থী তো অনেক দূরের কথা। অঞ্চলের নেতারাও আসেন না এই এলাকায়। ফলে তাঁরা নিজেরাই নিজেদের মতন করে ভোট দিয়ে থাকেন। এখনও পর্যন্ত বিধায়ক কিংবা সাংসদ কেউ একবারের জন্যও আমাদের এলাকায় আসেননি। আমাদের দুঃখ-দুর্দশার খোঁজ নিতে।”
advertisement
advertisement
তাঁরা আরও জানান যে, ভোট গরিব মানুষদের জন্য নয়। তাই ভোট নিয়ে চিন্তা করার সময় তাঁদের নেই। কারণ, ভোট শেষ হলেই জনপ্রতিনিধিরা তাঁদের কথা একেবারেই ভুলে যান। এছাড়া এখানের মানুষ রাজনীতি বোঝে না। শুধু বোঝে পেটনীতি। তাই তো এখানের মানুষের একটাই কাজ। চাষাবাদ করে নিজেদের রুজি রুটির সন্ধান করা। আগের ভোটের দিনগুলির মতন এবারেও এখানে ভোট হবে। বুথ কেন্দ্র থাকবে শলবাড়ি গ্রামের প্রাথমিক স্কুলে। তবে ভোটের সময় আসলেও ভোট নিয়ে কোন উত্তাপ নেই গোটা এলাকায়।
advertisement
Sarthak Pandit
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
Apr 11, 2024 3:58 PM IST








