#গুজরাত: বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ পর্বে কোনওরকমে ৬০ শতাংশ ভোট পড়ল গুজরাতে। সন্ধে ৫টায় ভোটদান পর্ব শেষে জানা গেল, সারাদিনে গুজরাতে সাকুল্যে ভোট দিয়েছেন মাত্র ৬০.২০ শতাংশ মানুষ।
মোদী-শাহের রাজ্য গুজরাতে, বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ ছিল বৃহস্পতিবার। এদিন সৌরাষ্ট্র, কচ্ছ এবং দক্ষিণ গুজরাতের ১৯টি জেলার ৮৯ আসনে ভোটগ্রহণ হয়। ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৭৮৮ জন প্রার্থী। তার মধ্যে বিজেপি ও কংগ্রেসের ৮৯ জন প্রার্থী ছিলে। ছিলেন আপ-এর ৮৮ জন প্রার্থী। এছাড়াও, ভোট লড়তে নামা নির্দল প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৩৩৯ জন। প্রথম দফার ৭৮৮ জন প্রার্থীর মধ্যে মহিলার সংখ্যা ছিল মাত্র ৭০। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছিল ভোটগ্রহণ। চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
ভোটদান ঘিরে এদিন সকাল থেকেই অবশ্য তেমন উৎসাহ চোখে পড়েনি জনসাধারণের মধ্যে। সকাল ৯টা পর্যন্ত ভোট পড়েছিল মাত্র ৪.২%। বেলা ১১টায় তা বেড়ে ১৮.৯৫%-এ পৌঁছয়। শেষে বিকেল ৩টের পরে নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়, তখনও পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৪৮.৪৮%। বিকেল ৫টার পরে সেই ভোটের হার পৌঁছয় ৬০.২০%-এ।
প্রথম দফার ভোটের প্রচার শেষ গিয়েছিল মঙ্গলবারই। কিন্তু বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ, ভোটেরও দিনও জোরকদমে চলল দ্বিতীয় দফার ভোটের নির্বাচনী প্রচার। গুজরাতের কালোল-হিম্মতনগরে মোদির সভা থেকে আহমেদাবাদে ৪০ কিলোমিটারের রোড-শো। ভোটের দিনে ভোটপ্রচারে নামেন অমিত শাহও। এদিন সকালে আহমেদাবাদে রোড-শো করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অন্যদিকে, রোড শোয়ে প্রচার চালান গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল।
আরও পড়ুন: অধিকারীদের 'শান্তিকুঞ্জে' হাইকোর্টের 'সুরক্ষা বর্ম'! কাঁথিতে অভিষেকের সভা নিয়ে 'বড়' নির্দেশ আদালতের!
এদিন কালোলের জনসভায় প্রথমবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের 'রাবণ' মন্তব্য নিয়ে মুখ খোলের প্রধানমন্ত্রী। বলেন, "শুনলাম, শ্রদ্ধেয় খাড়্গেজি আমার সঙ্গে রাবণের তুলনা করেছে। যাঁরা কোনওদিন রামের অস্তিত্বকেই স্বীকার করেননি, তাঁরা আবার রামায়ণ থেকে রাবণকে টেনে আনছেন।" মোদির কথায়, এই ধরনের মন্তব্য বলার পরে অনুশোচনা হওয়া তো দূরের কথা, দুঃখপ্রকাশ পর্যন্ত করা হয় না।
এদিন খাড়্গেকে লক্ষ্য করে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অমিত শাহও। সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাহ বলেন, "ইতিহাস বলছে, কংগ্রেস যতবার অপশব্দ প্রয়োগ করে, ততবার গুজরাতের মানুষ ব্যালট বাক্সে তার উত্তর দেন।" প্রসঙ্গত, এর আগে, ২০০৭ সালের গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের সময় সে রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে 'মওত কা সওদাগর' হিসাবে আখ্যা দিয়েছিলেন সনিয়া গান্ধি। সেই বারেও গুজরাত নির্বাচনে ল্যান্ডস্লাইড ভিক্ট্রি পেয়েছিল বিজেপি।
আরও পড়ুন: কী ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে SBSTC-র বাস! ভিডিও দেখলে আঁতকে উঠবেন
প্রথম দফায় যে ৮৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হল, ২০১৭-র নির্বাচনে তার মধ্যে ৪৮টি আসন নিজেদের দখলে রেখেছিল বিজেপি। ৪০টি আসন গিয়েছিল কংগ্রেসের পকেটে। একটি আসনে জিতেছিলেন এক নির্দল প্রার্থী।
তবে, এবার অবশ্য অঙ্কটা একটু অন্য রকম হতে পারে। কারণ, ২০২২-এ বিধানসভা নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হতে চলেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। এই ৮৯ আসনের মধ্যে কটা বিজেপি ধরে রাখতে পারে, আর কটা কংগ্রেস, এবং আপ-এর কপালেই বা কটা আসন থাকে, তা খোলাসা হবে ৮ ডিসেম্বরই।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Amit Shah, Gujarat Assembly Election 2022, Narendra Modi