CPIM Srijan Bhattacharya: নাকতলায় বামেদের পোস্টার ছেঁড়া নিয়ে সৃজনের বড় অভিযোগ, গুরুত্বই দিতে নারাজ সায়নী
- Published by:Raima Chakraborty
- news18 bangla
- Reported by:UJJAL ROY
Last Updated:
CPIM Srijan Bhattacharya: সিপিআইএমের তরফে সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করা হয়। তাতে থেকে দেখা যায় একটি বাইকে করে তিনজন যুবক আসেন। একজন চালক আর বাকি দু'জন পোস্টার ছিঁড়ছেন।
কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের তারিখ যত এগিয়ে আসছে ততই উত্তেজনা বাড়ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে পাঁচ দফার নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। বাকি দুই দফায় নির্বাচন এখনও বাকি রয়েছে। সেগুলোকে কেন্দ্র করে প্রচার চলছে জোড়কদমে। তারই মধ্যে অন্যতম যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র। যাদবপুরে সিপিআইএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যের সমর্থনে প্রচারে কোনও রকম খামতি রাখেনি বামেরা।
সারা এলাকা কার্যত মুড়ে ফেলা হয়েছে ফ্লেক্স, পোষ্টার, ব্যানার ইত্যাদির মাধ্যমে। কিন্তু বুধবার সকালে হঠাৎই দেখা যায় ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের নাকতলা এলাকায় প্রচারের জন্য ব্যবহৃত এই জিনিসগুলি ছেঁড়া অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। পরবর্তী সময়ে সিপিআইএমের তরফে সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করা হয়। তাতে থেকে দেখা যায় একটি বাইকে করে তিনজন যুবক আসেন। একজন চালক আর বাকি দু’জন পোস্টার ছিঁড়ছেন। পরবর্তী সময়ে এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন এলাকার বাম কর্মী সমর্থকেরা।
advertisement

advertisement
আরও পড়ুন: ভোটের প্রচারে যেতেই এ কী কাণ্ড, সায়নীকে দেখেই জড়িয়ে ধরল ছোট্ট মেয়ে! তারপর?
ঘটনার পিছনে রাজ্যের শাসকদলের হাত রয়েছে এই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে মিছিলও করা হয়। ঘটনার প্রতিবাদ করে সিপিআইএম প্রার্থী একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন। সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমি শুনেছি নাকতলা, টালিগঞ্জ-সহ কলকাতার ১০০ নম্বর ওয়ার্ডে আমাদের ব্যানার ফ্লেক্স হোডিং পতাকা ছেঁড়া হয়েছে। গণশক্তির বোর্ড ভাঙচুর করা হয়েছে। বেশ কিছু দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজ বেরিয়ে গিয়েছে। কারা এগুলো করছে সহজেও অনুমেয়। যাদের হাঁটু ঠকঠক করে কাঁপছে। তাঁরা বুঝতে পারছে পায়ের তলার জমি আলগা হচ্ছে। যাদবপুরের মানুষ ক্রমশ লাল পতাটাকে আঁকড়ে ধরার দিকে এগোচ্ছেন। তাঁরা এখন ভয় দেখাতে এসব করছে। ভয় দেখানোর অংশ হল ১১০ নম্বর ওয়ার্ডে ক্যানসার আক্রান্ত সিপিআইএম কর্মীকে মারধর বা ১০০ নম্বর ওয়ার্ডে এরকম ভাবে ভাঙচুর করা বা আমাদের প্রচারে বাধা দেওয়ার চেষ্টা। আমরা ইলেকশন কমিশন, পুলিশ প্রশাসনকে জানাবো। তবে এগুলো যত করছে নিজেরা বুঝতে পারছে না নিজেদের কবর নিজেরা খুঁড়ছে। আমার ঘৃণা হয় না। করুণা হয়। যা ভোট পেতাম এই ঘটনার পর পাড়ার মানুষ দেখলেন। ওই এলাকায় দুটো ভোট হলেও বেশি পাব।’
advertisement
যদিও এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। তিনি জানান, ‘মানুষ ঠিক করে নিয়েছে কাকে ভোট দেবে। আমি এই সব বিষয়কে ‘এনকারেজ’ করি না। পোস্টার ফ্লেক্স ছিঁড়ে আসলে কোনও লাভ হয় না। এটা নন পলিটিক্যাল আচরণ। তবে কার কোন পোস্টার কোথায় ছেঁড়া হয়েছে বলতে পারব না। অভিযোগ যে কেউই করতে পারেন। আমি নিজের প্রচার নিয়ে ব্যস্ত আছি।’
advertisement
উজ্জ্বল রায়
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
May 22, 2024 7:10 PM IST