West Bengal Education News: উচ্চ মাধ্যমিকে অসাধারণ রেজাল্ট পূজার, স্বপ্ন ডাক্তার হওয়ার! কিন্তু রয়েছে কঠিন বাধা! কী হবে এবার?
- Reported by:Saikat Shee
- hyperlocal
- Published by:Raima Chakraborty
Last Updated:
West Bengal Education News: উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল ফলাফল করেছে। স্বপ্ন রয়েছে ডাক্তার হওয়ার। কিন্তু এই কৃতি ছাত্রীর স্বপ্নের মাঝে দাঁড়িয়েছে চরম বাধা। কী জানেন?
তমলুক: উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল ফলাফল করেছে। স্বপ্ন রয়েছে ডাক্তার হওয়ার। কিন্তুও এই কৃতি ছাত্রীর স্বপ্নের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পারিবারিক আর্থিক অবস্থা। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অল্পের জন্য হাতছাড়া হয়েছে মেধাতালিকা। এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪৮০ নম্বর পেয়ে সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের কুলবেড়িয়া গ্রামের পূজা জানা।
গ্রামের কুলবেড়িয়া আদর্শ বিদ্যাপীঠ থেকেই পড়াশোনা করেছিল। স্বপ্ন রয়েছে ডাক্তারি পড়ার। সেই মতো প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু আদৌ স্বপ্ন পূরণ হবে কিনা জানেন না পূজা! পিওর সায়েন্সের এই ছাত্রী এবার মেধাতালিকায় স্থান পাবে বলে আশা করেছিল স্কুল। তা অল্পের জন্য ফসকেছে।
আরও পড়ুন: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মুখ সোফিয়া কুরেশি, ভারতীয় অফিসারের স্বামী কে চেনেন?
কিন্তু এত ভাল রেজাল্ট করার পরও স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পারিবারিক আর্থিক সমস্যা। বাবা চাষবাস করেন। মা গৃহবধূ। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় মেধাবী পূজা। মাধ্যমিকেও ভাল ফলাফলের করেছিল। তারপর থেকেই লক্ষ্য ছিল ডাক্তার হওয়া। সেই মতো উচ্চ মাধ্যমিকে পিওর সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। এবার উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল নম্বর পেয়েই পাশ করেছে। কিন্তু তাঁর ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নের পথে বাধা আর্থিক সমস্যা। এ বিষয়ে পূজা জানান, ‘ছোটবেলা থেকেই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন। সেই মতো পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছি।’
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: ‘বাবা, পরীক্ষায় ৮৪% নম্বর পেয়েছি’, শুনেই বাবা ছেলেকে একটা শব্দ বললেন! জানলে মাথা ঘুরে যাবে…
তাঁর সংযোজন, ‘পড়াশোনার পিছনে মা বাবা ও পরিবারের পাশাপাশি স্কুল শিক্ষকদের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। এবার নিট পরীক্ষাও দিয়েছি। কী হবে জানি না। পারিবারের যা আর্থিক সামর্থ্য সেখানে বেসরকারি কলেজ থেকে ডাক্তারি পড়াটা দুঃস্বপ্ন। বাড়ি থেকে বলেই দিয়েছে, সরকারি কলেজে সুযোগ পেলে তবেই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন বাস্তব হবে।’
advertisement
ছাত্রীর মা শেফালি দুয়ারী জানা জানান, ‘পরিবারের আর্থিক সামর্থ্য খুব বেশি নেই। মেয়েকে বলেই দিয়েছি পরপর দু’বছর এন্ট্রান্স দিয়ে সরকারি কলেজে ডাক্তারি পড়তে সুযোগ করে নিতে হবে। তা না হলে অন্য কোনও বিষয় নিয়ে উচ্চশিক্ষা করতে হবে। কারণ আমাদের সামর্থ্য নেই বেসরকারি কলেজ থেকে ডাক্তারি পড়ানোর।’ বর্তমানে পূজা ডাক্তারি পড়াশোনার এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিয়েছেন। এমনকি আগামী বছরও ডাক্তারি পরীক্ষার এন্ট্রান্সের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছেন। তবে তিনি আদৌও জানেন না তাঁর স্বপ্ন সফল হবে কিনা।
advertisement
সৈকত শী
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
May 16, 2025 2:41 PM IST






