Backbenchers: ব্যাকবেঞ্চার নিয়ে কী ভাবনা রাজ্যের? স্কুলগুলিকে বড় বার্তা দিল শিক্ষা দফতর
- Published by:Ankita Tripathi
- Reported by:SOMRAJ BANDOPADHYAY
Last Updated:
Backbenchers: তামিলনাড়ু, কেরলের পর এ বার কি পশ্চিমবঙ্গ! সরকারি ভাবে ‘ব্যাকবেঞ্চার’ ভাবনা বাস্তবায়ন করতে চলেছে।
কলকাতা: তামিলনাড়ু, কেরলের পর এ বার কি পশ্চিমবঙ্গ! সরকারি ভাবে ‘ব্যাকবেঞ্চার’ ভাবনা বাস্তবায়ন করতে চলেছে। বড় ইঙ্গিত দিলেন শিক্ষা দফতরের আধিকারিক। সরকারি ভাবে নিয়ন্ত্রণ নয়। স্কুলগুলির উদ্যোগে পাশে থাকার বার্তা শিক্ষা দফতরের। ‘ব্যাকবেঞ্চার’ বা পিছনের সারির পড়ুয়া শব্দটাই বিদ্যালয়ে রাখতে চায় না পশ্চিমবঙ্গ স্কুল শিক্ষা দফতর। স্কুলের শিক্ষক বা শিক্ষিকাদের প্রশ্ন এড়াতে চায় এমন বহু ছাত্র-ছাত্রী ক্লাসে নিজেকে লুকিয়ে রাখার জন্য পিছনের সারিতে বসে। এর ফলে ক্লাসে অনেক সময় বৈষম্যের পরিবেশ তৈরি হয়। এই ভেদাভেদ ঘোচাতে চাইছে স্কুল শিক্ষা দফতর।
ইতিমধ্যে এই ফাস্ট বেঞ্চ এবং লাস্ট বেঞ্চে ইতি টানায় উদ্যোগী হয়েছে বেশ কিছু সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুল। উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার শ্বেতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় যেখানে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ৩০০ এই স্কুলে শুরু হয়েছে নো মোর ‘ব্যাকবেঞ্চার্স’ মডেল। ওই স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের বসানো হয়েছে ‘ইউ’ আকারে।
advertisement
advertisement
ওই স্কুলের এক সহশিক্ষক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা যদি এই নয়া ‘ইউ’ আকারে বসাতে পারি তা হলে প্রত্যেকটি ছাত্রছাত্রীর সংস্পর্শে আমরা থাকতে পারব।’’ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকুলতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিখিলকুমার সামন্ত সংবাদমাধ্যমকে জানান, সামনের সারির পড়ুয়ারা যতটা শিক্ষকদের মনোযোগ পায়, পিছনের সারির পড়ুয়ারা উপেক্ষিত হয় বলে মনে হয়। এই নয়া পদ্ধতির ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের বেশ খানিকটা সুবিধা হবে। মালদার একশো বছরের পুরনো অঙ্কুরমনি করোনেশন ইনস্টিটিউশন এই স্কুলেও দেখা গেল একই ছবি।
advertisement
ক্লাসের সার্বিক মূল্যায়ন হোক বা বোর্ডের পরীক্ষায় বহু সময় দেখা গিয়েছে যে স্কুলে পিছনের সারিতে বসা পড়ুয়ারা টেক্কা দিয়েছে মেধার নিরিখে সামনের সারিতে বসে থাকা ছাত্র-ছাত্রীদের। তা হলে পড়ুয়াদের বসার ক্ষেত্রে ‘ব্যাকবেঞ্চার’ শব্দের ব্যবহার কেন? সেটাই ভাবাচ্ছে দফতরের আধিকারিকদের।
advertisement
শিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানান, ‘‘আমাদের কাছে বিভিন্ন জেলা থেকে এই ধরনের উদ্যোগের প্রায় ৫০ মতো ছবি এসেছে। এই উদ্যোগ খুব ভাল। আমরা কোনও বিজ্ঞপ্তি দেব না। স্কুলগুলি উদ্যোগী হলে সম্পূর্ণরূপে তাদের সাহায্য করা হবে। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা এই ধরনের ভাবনা থেকে বেরোতে হবে।’’
ওই কর্তা আরও জানান, এই বিষয়টি নিয়ে নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়া সংখ্যা এবং পরিকাঠামোর উপর। স্কুলগুলি কী ভাবে এর ব্যবস্থা করবে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তাই কোনও কিছু চাপিয়ে দেওয়া হবে না। তবে তাঁরা পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছেন।
advertisement
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
July 19, 2025 4:47 PM IST