US Study|| নানা অনুষ্ঠানের সমারোহ, ভীষণই রঙিন মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস-জীবন

Last Updated:

US Study: বিশ্ববিদ্যালগুলির সব ছাত্র সংগঠন সাংস্কৃতিক ভাবে ক্যাম্পাসে বৈচিত্র্যময় পরিবেশ বজায় রাখার পাশাপাশি ক্যাম্পাসের বিকাশেও সাহায্য করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভারতীয়, আমেরিকান এবং প্রাক্তন পড়ুয়াদের একত্রিত হওয়ার সুযোগ দেয় ইন্ডিয়ান স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন।

#নয়াদিল্লি: বহু পড়ুয়াই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নামীদামি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়ার স্বপ্ন দেখে লালন করেন। কারণ এই সকল বিশ্বমানের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়াশোনা করে নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা সম্ভব। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্যাম্পাসের সঙ্গে পড়ুয়ারা নিজেদের যুক্ত রাখলে দারুণ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারবেন। আসলে বিশ্ববিদ্যালগুলির সব ছাত্র সংগঠন সাংস্কৃতিক ভাবে ক্যাম্পাসে বৈচিত্র্যময় পরিবেশ বজায় রাখার পাশাপাশি ক্যাম্পাসের বিকাশেও সাহায্য করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভারতীয়, আমেরিকান এবং প্রাক্তন পড়ুয়াদের একত্রিত হওয়ার সুযোগ দেয় ইন্ডিয়ান স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। ইন্ডিয়ান স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সাধারণত ছোট ক্লাব এবং অ্যাসোসিয়েশনগুলিকে একত্রিত করে, যাতে শিক্ষার্থীরা সেখানে অংশগ্রহণ করতে পারেন৷ অস্টিনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৫৪ সালে ইন্ডিয়ান স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বর্তমানে এই সংগঠনে রয়েছেন ১৫০ জনেরও বেশি অর্থপ্রদানকারী সদস্য। আর অস্টিনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বৃহত্তম ছাত্র সংগঠনগুলির মধ্যে একটি হল এই অ্যাসোসিয়েশন৷ ফুলারটনের ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির ইন্ডিয়ান স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনে বর্তমানে ২০০ জন সদস্য রয়েছে এবং ক্যাম্পাসের বৃহত্তম সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলির মধ্যে একটি হল এই অ্যাসোসিয়েশন। পারডু ইউনিভার্সিটি এবং মিশিগান ইউনিভার্সিটিতেও ইন্ডিয়ান স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন রয়েছে, যা পড়ুয়াদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং কমিউনিটি গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
এই সংগঠনগুলি সাধারণত দীপাবলী এবং নববর্ষের সময় নৃত্যানুষ্ঠানের মতো বিভিন্ন ইভেন্টগুলি আয়োজন করে, যেখানে কলেজের বৃহত্তর কমিউনিটি যোগদান করতে পারে। প্রতি বছর বসন্ত কালে পারডু ইউনিভার্সিটির ইন্ডিয়ান স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ভাংড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এটি একটি অন্যতম জনপ্রিয় প্রতিযোগিতা। যেখানে স্বাগত জানানো হয় ইয়েল, প্রিন্সটন এবং কলম্বিয়ার মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পড়ুয়াদের ভাংড়া দলকে। অস্টিনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় তাদের রাষ্ট্রীয় স্তরের নৃত্য গোষ্ঠী টেক্সাস ভাংড়ার জন্য গর্বিত। ২০০৩ সালে পঞ্জাবি সংস্কৃতি এবং নানা ধরনের সংস্কৃতির প্রচার করার জন্য স্বতন্ত্র দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে গঠিত হয়েছিল এই নৃত্য গোষ্ঠী।
advertisement
আর পড়ুন: উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কী কী আইনি অবস্থা বজায় রাখা জরুরি? জানুন বিশেষজ্ঞের মতামত...
আসলে বড় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্ডিয়ান স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন একটি সাহায্যকারী নেটওয়ার্ক এবং সামাজিক গোষ্ঠী হিসাবে কাজ করে। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ডিয়ান স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ভারতীয় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান শিক্ষার্থীদের একে অপরকে জানার সুযোগ দেয়। ইন্ডিয়ান স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন শিক্ষার্থীদের আবাসন খোঁজার জন্য, অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে, তাঁদের সহকর্মী এবং উপদেষ্টাদের সঙ্গে পরিচয় তৈরি করতে সাহায্য করে। ফুলারটনের ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির ইন্ডিয়ান স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সাদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার বৃহত্তর ভারতীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের যুক্ত করার চেষ্টা করে। এটি ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে বৃহত্তর ক্যাম্পাস কমিউনিটিরও পরিচয় ঘটায়।
advertisement
advertisement
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি নতুন শিক্ষার্থী এবং তাঁদের পরিবারকে ক্যাম্পাসের নতুন জীবনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সহায়তা করার পাশাপাশি ছাত্র সহায়তা পরিষেবা প্রদান করে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষাবিদ থেকে শুরু করে নিরাপত্তা এবং আর্থিক সহায়তা, এই অফিসিয়াল ইউনিভার্সিটি সাপোর্ট সিস্টেমগুলি সমস্ত শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক ভাবে প্রদান করা হয়। অস্টিনের ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসের ইন্ডিয়ান স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন একটি বিশেষ ড্রাইভের আয়োজন করে, যার নাম ফুড ফর থট। আর এর মাধ্যমে চূড়ান্ত সপ্তাহে বিনামূল্যে খাবার পরিবেশন করা হয় শিক্ষার্থীদের। একই রকম ভাবে, গ্রীষ্মকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন জীবনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার বিষয়ে পূর্বেই উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে আগত নবীনদের সাহায্য করে পারডু ইন্ডিয়ান আন্ডারগ্রাজুয়েট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।
advertisement
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা নানা রকম সমস্যা এবং রঙিন ক্যাম্পাস জীবনের হাতছানিতেই নতুন পথ চলা শুরু করে। যাঁরা বড় শহুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন, তাঁদের অভিজ্ঞতা ছোট শহরের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের তুলনায় অনেকটাই আলাদা হয়। যে সমস্ত শিক্ষার্থী দ্রুত গতির জীবনযাত্রায় বড় হয় এবং যাঁরা শহুরে জীবনে অভ্যস্ত, তাঁদের ক্ষেত্রে একটি বড় প্রতিষ্ঠান সেরা পছন্দ হতে পারে। অন্য দিকে যাঁরা বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে নেভিগেট করার চিন্তায় আতঙ্কিত, তাঁদের অপেক্ষাকৃত ছোট শহরের কলেজ ও ধীরগতির জীবনযাপন পছন্দ হতে পারে। এক জন শিক্ষার্থী যে ধরনের স্কুলেই ভর্তি হওয়ার কথা বিবেচনা করুন না-কেন, সেখানে সকল পড়ুয়াদের জন্য পাঠ্যক্রম বহির্ভূত সুযোগ, ডিবেট ক্লাব থেকে শুরু করে মিউজিক অ্যাসোসিয়েশনের মতো স্থানীয় সংস্থার সঙ্গে কাজ করার ব্যবস্থা থাকা উচিত। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, একজন শিক্ষার্থী যেখানেই পড়ুন না-কেন, তাঁর উচিত নিজের স্বাচ্ছন্দ্যের জায়গা থেকে বেরিয়ে এসে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/চাকরি ও শিক্ষা/
US Study|| নানা অনুষ্ঠানের সমারোহ, ভীষণই রঙিন মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস-জীবন
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement