SSC Scam Case: চাকরি হয়েছিল গ্রামের ১০০ জনের, সুপ্রিম নির্দেশে সকলেই হয়ে গেল বেকার! মামাভাগ্নে গ্রামে নাওয়া-খাওয়া বন্ধ, শুধুই হাহাকার
- Reported by:Rudra Narayan Roy
- hyperlocal
- Published by:Raima Chakraborty
Last Updated:
SSC Scam Case: মুছল চন্দনের ফোঁটা! বাগদার মাস্টারপাড়ায় রান্না বন্ধ শতাধিক পরিবারে। সকলের চাকরি বাতিল, এবার কী হবে?
উত্তর ২৪ পরগনা: শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই গোটা গ্রাম জুড়ে যেন প্রায় বন্ধ রান্না। চরম নিস্তব্ধতা গ্রাস করেছে গোটা এলাকাকে। তবে এবার কী হবে! জমি জমা বিক্রি করে, সঞ্চয়ের সমস্ত টাকা “সৎ রঞ্জনের” হাতে তুলে দিয়ে মিলেছিল চাকরি।
মুছল সেই চন্দনের ফোঁটা। চাকরি বাতিলের তালিকায় নাম রয়েছে বাগদার একাধিক শিক্ষক শিক্ষিকার। এই বাগদা ব্লকের মামাভাগ্নে গ্রামের চন্দন মণ্ডলের হাত ধরেই শিক্ষকের চাকরি পেয়েছিলেন অনেকে। চন্দন মণ্ডল ওরফে সৎ রঞ্জনের কৃপাতে তাই চাকরি মিলেছিল বহু অকৃতকার্য চাকরিপ্রার্থীদেরও। বদলে দিতে হয়েছিল মোটা অঙ্কের টাকা। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর গোটা গ্রামে যেন শ্মশানের নিস্তব্ধতা এখন।
advertisement
আরও পড়ুন: চাকরি যাওয়ার খবর পেয়েই পাওনাদারদের চাপের অভিযোগ! মারাত্মক কাণ্ড ঘটালেন শিক্ষিকা
বিশেষ করে বাগদা ব্লকের মামাভাগ্নে গ্রামে, যা মাস্টারপাড়া নামেই পরিচিত। এই গ্রামই শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ানো চন্দন মণ্ডলের গ্রাম নামেই পরিচিত। সেই মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছে চন্দন। তার বিরুদ্ধে বাগদার মামাভাগ্নে এলাকা-সহ আশপাশের এলাকার বহু মানুষকে টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরবর্তীতে হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিলের তালিকায় ও গ্রামের প্রায় শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নাম দেখা যায়।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঝড়-বৃষ্টিতে তোলপাড় হবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ! জারি বাজের সতর্কতা, আবহাওয়ার বড় খবর
এরপর সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হওয়ায় আশা জেগেছিল হয়তো বেঁচে যেতে পারে চাকরি। কিন্তু এদিনের রায় যেন সব আশাতে ঢেলে দিল জল। এদিন রায় শোনার পর থেকেই প্রায় বন্ধ বাগদার মামাভাগ্নে গ্রামের রান্না। চাকরি গিয়েছে গ্রামের মিঠুন বিশ্বাস, ভীম মণ্ডলদের। তারা কেউ, নামখানা কেউ গঙ্গাসাগরে চাকরি করছিলেন। চাকরি যাওয়া পরিবারের সদস্যরা জানালেন, চন্দন মণ্ডলকে টাকা দিয়েই চাকরি হয়েছিল।
advertisement
অভিযোগ, এলাকার প্রায় ১০০ যুবককে চাকরি দিয়েছিল চন্দন মণ্ডল। বদলে দু’লক্ষ থেকে তিন লক্ষ টাকা নিয়েছিল। চাকরির আশায় জমি বিক্রি করে, কেউ আবার ব্যাঙ্কে লোন তুলে সেই টাকা দিয়েছিলেন। এখন সেই পরিবারগুলি কোথায় যাবে! প্রশ্ন তুলছে চাকরিহারা পরিবারের সদস্যরা। একেই গিয়েছে চাকরি, তারপর আবারও আদালতের নির্দেশ ফেরত দিতে হবে অর্থ। এখন তাই সর্বস্ব বিক্রি করা ছাড়া আর কোনও উপায় দেখছেন না সীমান্ত এলাকার মাস্টারপাড়া নামে পরিচিত মামাভাগ্নে গ্রামের চাকরিহারারা।
advertisement
Rudra Narayan Roy
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
Apr 04, 2025 2:58 PM IST







