এ দুর্গা মাটির নয়! কীসের জানেন? পঞ্চম শ্রেণী থেকে পরিবেশবান্ধব মূর্তি গড়ে পুজো শান্তিপুরের সোহমের

Last Updated:

Durga Idol News Paper: সোহম নিজেই দুর্গাপুজো করে, আর সেই কারণেই প্রতিবছর নিজের পুজোর জন্য নিজেই মূর্তি বানায়!

+
ছাত্রের

ছাত্রের বানানো খবরের কাগজের দুর্গা মূর্তি

শান্তিপুর, নদিয়া, মৈনাক দেবনাথ: দুর্গাপুজো মানেই আলোর ঝলকানি, ঢাকের আওয়াজ, আর চোখ জুড়ানো প্রতিমা। কিন্তু প্রতিমা বলতে শুধু মাটি আর বিচলিতে গড়া দেবীমূর্তি নয়—এ কথা প্রমাণ করে চলেছে শান্তিপুর মিউনিসিপাল হাইস্কুলের ছাত্র সোহম দে। কেবল রঙিন কাগজ দিয়ে ২৪ ইঞ্চির এক অপূর্ব দুর্গামূর্তি বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সে।
২০২৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা সোহম বর্তমানে ডাক্তারি পরীক্ষার পড়াশোনায় ব্যস্ত, শান্তিপুরেরই বাসিন্দা। মা গৃহবধূ এবং বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। ছোটবেলা থেকেই তার হাতের কাজে ছিল আলাদা একটা টান। যখন সে ক্লাস ফাইভে পড়ে, তখন প্রথম দুর্গামূর্তি বানায়—পিচবোর্ড ব্যবহার করে। তারপর ধাপে ধাপে নিজের শিল্পকর্মে নানা পরীক্ষানিরীক্ষা করতে থাকে। পুরনো খবরের কাগজ থেকে শুরু করে রঙিন কাগজ—সবকিছু দিয়েই তৈরি করেছে সে একের পর এক প্রতিমা।
advertisement
advertisement
সোহম নিজেই দুর্গাপুজো করে, আর সেই কারণেই প্রতিবছর নিজের পুজোর জন্য নিজেই মূর্তি বানায়। এবছরের মূর্তিটি বানানো শুরু করেছে জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে, আর পুজোর আগে পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে পুরো কাজ শেষ করতে। কারণ, পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে, হাতে পাওয়া সময়েই সে এই কাজটি করে।
advertisement
এই বছর যে মূর্তিটি বানাচ্ছে, তার উচ্চতা প্রায় ২৪ ইঞ্চি। কাঠামো থেকে শুরু করে প্রতিটি অংশ শুধুই কাগজ দিয়ে তৈরি। এমনকি কাঠ বা বাঁশের পরিবর্তে কাঠামোও বানিয়েছে কাগজ দিয়ে। এটি একদিকে যেমন পরিবেশবান্ধব, অন্যদিকে তেমনি সহজে ব্যবস্থাপনাযোগ্য। ভবিষ্যতে সে চায় ফেলে দেওয়া বা পরিত্যক্ত জিনিস দিয়েও মূর্তি তৈরি করতে, যাতে করে পরিবেশ সচেতনতার বার্তাও পৌঁছে দেওয়া যায় সমাজে।
advertisement
তবে শুধু নিজের জন্যই নয়, সম্প্রতি এক দিদার আবদার রাখতে একটি প্রতিমা বানিয়ে দেবে বলে কথা দিয়েছে সে। এভাবেই ধীরে ধীরে তার কাজ ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশে। ছোটবেলায় দুর্গা ছাড়াও কালীমূর্তি বানাতো সে, যদিও সেগুলোর আকার ছিল ছোট। কিন্তু বর্তমানে সে মনোনিবেশ করেছে দুর্গামূর্তি তৈরিতেই।
শিল্পচর্চার পাশাপাশি পড়াশোনায়ও মনোযোগী এই যুবক। বাবার অনুরোধে এবছর সে নিট পরীক্ষাও দিয়েছে, যদিও কাউন্সিলিংয়ের জটিলতার কারণে এবছর ফল মেলেনি। আগামী বছর ফের পরীক্ষায় বসবে সে। এছাড়াও খেলাধুলাতেও আগ্রহ আছে তার, তবে মাঠে সময় দেওয়া হয়ে ওঠে না প্রতিদিন, কারণ মূর্তি বানানোর কাজ এবং পড়াশোনা দুটোই চালিয়ে যেতে হয় তাকে।
advertisement
সোহম দে-র এই কাগজের দুর্গা শুধুই এক শিল্পসৃষ্টি নয়, বরং পরিবেশবান্ধব ভাবনার এক মূর্ত প্রতীক। তার মত তরুণদের হাত ধরেই আগামী প্রজন্ম পাবে নতুন পথের দিশা, যেখানে শিল্প, সংস্কৃতি এবং পরিবেশ—তিনটি বিষয়ই হাত ধরাধরি করে এগিয়ে যাবে। শুধু প্রতিমা নির্মাণই নয় সমস্ত ধরনের সাজসজ্জা সে করে থাকে রঙিন এবং চকচকে নানাবিধ কাগজ দিয়েই। তবে সোহমের এই সৃজনশীলতা সামাজিক মাধ্যমে এখন চর্চার বিষয়। বিশেষ করে ঘর সাজানোর সামগ্রী হিসেবে এত হালকা এবং সহজে প্রতিস্থাপনযোগ্য মূর্তি সবার কাছেই আগ্রহের বিষয়।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/শিক্ষা/
এ দুর্গা মাটির নয়! কীসের জানেন? পঞ্চম শ্রেণী থেকে পরিবেশবান্ধব মূর্তি গড়ে পুজো শান্তিপুরের সোহমের
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement