NEET UG Result: চরম আর্থিক কষ্ট! দিন-রাত এক করে যা করেছেন ফেরিওয়ালা বাবা..., NEET-এ ছেলের সাফল্য সব ভুলিয়ে দিল
- Published by:Riya Das
- news18 bangla
- Reported by:Koushik Adhikary
Last Updated:
NEET UG Result: বাবা ভিন রাজ্যে ফেরিওয়ালা কাজ করে! দারিদ্রতা ও পারিবারিক কষ্ট সহ্য করে ও মায়ের অদম্য ইচ্ছে শক্তির জেরে সমস্ত প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে আট ঘণ্টা পড়াশোনা করে ডাক্তারি পরীক্ষায় নজিরবীহিন ফল করে তাক লাগিয়ে দিল সামসেরগঞ্জের মহিষাস্থলি গ্রামের আহামেদ হাসান আনসারি।
মুর্শিদাবাদ: বাবা ভিন রাজ্যে ফেরিওয়ালা কাজ করে! দারিদ্রতা ও পারিবারিক কষ্ট সহ্য করে ও মায়ের অদম্য ইচ্ছে শক্তির জেরে সমস্ত প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে আট ঘণ্টা পড়াশোনা করে ডাক্তারি পরীক্ষায় নজিরবীহিন ফল করে তাক লাগিয়ে দিল সামসেরগঞ্জের মহিষাস্থলি গ্রামের আহামেদ হাসান আনসারি। এবছর নিট পরিক্ষায় ৫৭৩ নম্বর পেয়ে র্যাঙ্ক হয়েছে ৪৮৫৫। নিট পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছেন ফেরিওয়ালার ছেলে আহামেদ হাসান আনসারি। প্রথমবারের চেষ্টা ডাক্তারি পরিক্ষায় নজর কাড়া ফল করায় খুশি গ্রাম থেকে পাড়া-সহ গোটা এলাকায় মানুষরা।
জানা গিয়েছে, আহমেদ হাসান আনসারির বাবা মৈবুল ভিন রাজ্য উড়িষ্যায় পরিযায়ী হিসাবে ফেরিওয়ালার কাজ করেন। ছেলেকে ডাক্তার করার ব্রত নিয়েছিলেন। ছেলে মাধ্যমিকে ৯৬ শতাংশ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়ে ছিল সেই সময়ে। দিন রাত এক করে ছেলেকে ডাক্তার করার জন্য তিনি পড়ে থেকেছেন ভিন রাজ্যে।
আরও পড়ুন-ভয়ঙ্কর দুঃসময় শেষ…! শনির বিরাট চালে ‘গোল্ডেন টাইম’ শুরু ৩ রাশির, উপচে পড়বে টাকা-ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স, দিনে দ্বিগুণ রাতে চারগুণ উন্নতি! খুলবে পোড়া কপাল
advertisement
advertisement
চার ভাইবোনের মধ্যে আহামেদ হাসান সবার বড়। সামান্য অর্থ উপার্জনে চলা সংসারে অনেক প্রতিকূলতা ছিল। কিন্তু সেই কষ্ট কখনও লাজুক ছেলে আহামেদ হাসানের লক্ষ্যকে বিঘ্নিত না ঘটে তা জানতে দেননি মা চাইনা বিবিও। বাবা, মা ও দাদু দিদিমাদের অদম্য ইচ্ছেকে বাস্তবে পরিণত করতে নিজেকে প্রস্তুত করে আহামেদ হাসান আনসারি। সেই সব তার প্রেরণার উৎস হয়ে ওঠে।
advertisement
আরও পড়ুন-ভয়ঙ্কর শক্তি বাড়ছে গ্রহরাজ সূর্যের…! এক ইশারায় কাঁপবে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড! ৫ রাশির কপালে ‘জ্যাকপট’, ভাসবেন টাকার সাগরে, যা ছোঁবেন তাই সোনা
আহামেদ হাসান জানায়, ‘মা বাবা আমাকে কখনও দারিদ্রতা কি জিনিস তা টের পেতে দেয়নি। কিন্তু আমি জানতাম, কী পরিমাণ কষ্ট করছে মা, বাবা আমার জন্য।’ তাদের কষ্টকে আমি বিফল হতে দেব না। আমি ডাক্তার হব, এমন পণ করেই পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছি।প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা পড়াশোনা ও পড়াশোনার পাশাপাশি কোচিং নেওয়া তার সঙ্গে খেলাধুলো চলেছে সমানে । নিজের একাগ্রতা আর পরিবারের ত্যাগ—এই দুইকে সঙ্গে নিয়ে নিট পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করেছ অজপাড়া গাঁয়ের ফেরিওয়ালার ছেলে আহামেদ হাসান আনসারি ।
advertisement
কৌশিক অধিকারী
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
June 21, 2025 5:03 PM IST