Madhyamik Exam 2025: প্রতিবাদ করেছিল বলে মাঝরাতে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে যথেচ্ছ মার, হাসপাতালে বেদনায় কাতর মেয়ে! কী কাণ্ড জানেন?
- Published by:Raima Chakraborty
- hyperlocal
- Reported by:Sarthak Pandit
Last Updated:
Madhyamik Exam 2025: ১৭ বছর বয়সি তসলিমা খাতুন চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। গভীর রাতে প্রতিবাদ করায় বেদম মার ছাত্রীকে। দিনহাটায় কী কাণ্ড জানেন?
কোচবিহার: মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে সেই গোটা রাজ্যজুড়ে। আর সেই পরীক্ষায় ব্যস্ত হয়ে রয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশি তৎপরতা চোখে পড়ছে মাধ্যমিক পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে। তবে এর মাঝেই কোচবিহারের দিনহাটা মহকুমা এলাকার এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে হতে হল আক্রান্ত।
দিনহাটার ওকড়াবাড়ির কাউরাই এলাকায় এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ১৭ বছর বয়সি তসলিমা খাতুন চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তবে সে গভীর রাতে ডিজে বক্স বাজানোর প্রতিবাদ করে এলাকায়। আর তাতেই বেশ কয়েকজন মিলে তার উপর হামলা চালায়। বর্তমানে সে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: জয়েন্ট এন্ট্রান্স ছাড়াই B.Tech. পড়ে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সুযোগ! রইল ৫ কলেজের নাম-ঠিকানা-বার্ষিক খরচের খোঁজ
মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী তসলিমা খাতুন জানান, গভীর রাতে প্রায়শই মাইক বাজানো হত তার বাড়ির পাশের বাড়িতে। বর্তমানে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে তাই পড়াশোনা করতে অসুবিধায় পড়তে হয়। সেই বিষয়ের প্রতিবাদ করায় তাঁকে রীতিমতো বুকে, পিঠে, ঘাড়ে ঘুসি মারা হয়। এছাড়া তাঁর চুল ধরে জোরে জোরে টানাটানিও করা হয়। সেই কারণেই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: দুই দেশের সম্পর্ক ‘চ্যালেঞ্জ’-এর মুখে, বিদেশে বৈঠকের টেবিলে মুখোমুখি ভারত-বাংলাদেশ! নেওয়া হল বড় সিদ্ধান্ত
এরপর পরিবারের মানুষেরা তাকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। যদিও সে এভাবেও পরীক্ষা দিতে রাজি। তবে যেন দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হয় সেই আবেদন করছে সে পুলিশের কাছে। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মা সাফিউন্নাহার বিবি জানান, দীর্ঘ সময় ধরে জমি নিয়ে পাশপাশি, দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ ছিল। তবে এদিন রাতে মেয়ের পরীক্ষা খারাপ করার জন্য তার বাড়ির পাশের বাড়িতে বড় বক্স বাজানো শুরু হয়। এরপর তাঁর মেয়ে তসলিমা প্রতিবাদ জানাতে গেলে তাকে ধরে মারধর করা হয়।
advertisement
এছাড়া ছুরি দিয়ে প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয়। তখন কোনও রকমে ভয়ে ঘরের ভিতর লুকিয়ে ছিল তসলিমা। এরপর তাকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে হাসপাতালে বসেই পরীক্ষা দেবে। যদিও এই গোটা ঘটনায় মারধরের অভিযোগ উঠেছে সেই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য-সহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে।
ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম পিংকু খন্দকার। ওই পঞ্চায়েত সদস্যই ধারালো অস্ত্র নিয়ে আসে ওই ছাত্রীকে প্রাণে মারার জন্য। গোটা ঘটনার লিখিত অভিযোগে জানানো হয়েছে দিনহাটা মহকুমা থানায়। অভিযুক্তদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন ছাত্রীর পরিবারের মানুষেরা।
advertisement
Sarthak Pandit
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
February 17, 2025 3:08 PM IST
