#নয়াদিল্লি: আগেই বাতিল করা হয়েছিল দশম শ্রেণীর পরীক্ষা। এবার ফের করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেই এই বছরের জন্য বাতিল করা হল CBSE-র দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর পর বৈঠক শেষেই CBSE বোর্ডের ক্লাস ১২-এর পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে বলে জানানো হয়। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য বিকল্প মূল্যায়ন ব্যবস্থা কী হতে পারে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে শুরু করেছে।
দশম শ্রেণীর পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ কয়েকটি সুত্র অনুসরণ করা হয়, কিন্তু কয়েকটি স্টেকহোল্ডার সতর্ক করে বলেছেন যে, এই সূত্র সিনিয়র শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত হবে না। কারণ এগুলি তাদের উচ্চতর শিক্ষার উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
১ মে, দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য একটি মূল্যায়ন মানদণ্ড ঘোষণা করে শিক্ষাবোর্ড। বোর্ডের তরফে জানানো হয়, স্কুল পর্যায়ে শিক্ষাবর্ষের সময় অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরগুলির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। একক/পর্যায়ক্রমিক পরীক্ষায়, অর্ধ-বার্ষিকী বা মধ্য-মেয়াদি পরীক্ষা এবং প্রি-বোর্ড পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে পৃথক শিক্ষার্থীর স্কোর গণনা করা হবে। সেই ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সমস্ত বিষয়ে ১০০ নম্বরের উপর এই মূল্যায়ন প্রক্রিয়া হবে, যেখানে বিদ্যালয়ের ইন্টারনালের ২০ নম্বরের সঙ্গে থাকবে পর্যায়ক্রমিক পরীক্ষা, অর্ধ-বার্ষিক বা মধ্য-মেয়াদি পরীক্ষা এবং প্রি-বোর্ড পরীক্ষার ৮০ নম্বর।
তবে এই ফর্মুলা শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের কাছে বর্তমানে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মান নির্ধারণের বিষয়টির ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে রেজাল্ট যেন স্কুলে শিক্ষার্থীর পারফরম্যান্সের সঙ্গে একটা সামঞ্জস্যতা বজায় রাখে। এক্ষেত্রে বিগত তিন বছর থেকে একটি রেফারেন্স বছর বাছাই করে করা দরকার, যখন শিক্ষার্থীরা গড়ে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে থাকে। তবে বেশ কয়েকজন শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী এই নীতিগুলিকে ত্রুটিযুক্ত বলেছিলেন, তাঁদের কথায়, এই মূল্যায়নের মানদণ্ড একজন মেধাবী উচ্চ স্কোরপ্রাপ্র শিক্ষার্থীর প্রতি অন্যায়।
মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্ট NGO জাস্টিস ফর অল (Justice For All)-এর দায়ের করা আবেদনের ভিত্তিতে CBSE বোর্ডকে একটি নোটিশ জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে যে সংযোজন নীতিটি "শিক্ষার্থীদের উপর অন্যায় হবে কারণ বিদ্যালয়ের পারফরম্যান্স কোনও ভাবেই শিক্ষার্থীর পারফরম্যান্সের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়"।
শহরের শীর্ষস্থানীয় সরকারি বিদ্যালয়, আরপিভিভি সুরজমল বিহারের (RPVV Surajmal Vihar) অধ্যক্ষ আরপি সিং (RP Singh) বলেন, “মধ্যপন্থী নীতি দীর্ঘকাল ধরে প্রচলিত রয়েছে। আমার ব্যক্তিগত মতামত যে বোর্ডের ফলাফলের জন্য একাদশ শ্রেণীর ফলাফলগুলি বিবেচনা করা উচিত। এমনকি দশম শ্রেণীর নম্বর বিবেচনা করার সময়ও CBSE-কে অবশ্যই দ্বাদশ শ্রেণীর ফলাফলের জন্য দশম শ্রেণীর মূল বিষয়গুলি বিবেচনা করতে হবে।"
এমনকি দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের এই মূল্যায়নের মানদণ্ড যে মেনে নিতে পারছেন না কেউই সে বিষয়েও মত প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে বহু বিশিষ্ট শিক্ষকদের। তাই দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের মানদণ্ড বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে অনেক বিশিষ্টজনকে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: CBSE, CBSE Board Exam