বাংলার এই মহিলার উপর নির্ভরশীল আমেরিকা! 'ডিফেন্স সেন্সর' তৈরি করছেন কে? বিরাট প্রজেক্ট অধ্যাপিকার হাতে

Last Updated:

1 Lakh Dollar Project America Bengal: কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়কে এক লাখ ডলারের প্রজেক্ট। কী সেই প্রজেক্ট জানুন বিস্তারিত!

+
আমেরিকার এয়ার

আমেরিকার এয়ার ডিফেন্স সেন্সর তৈরিতে বাংলার পূজার উপরে ভরসা 

আসানসোল, রিন্টু পাঁজা: আমেরিকার এয়ার ডিফেন্স সেন্সর তৈরিতে এক লাখ ডলারের প্রজেক্ট পেল আসানসোল কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। এমনই একটি প্রজেক্টের কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন অধ্যাপিকা পূজা দে। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই কার্যত খুশির হাওয়া বইছে বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে।
অগাস্ট মাসেই এই প্রজেক্টে কাজ করার সুযোগের কথা হাতে পেয়েছেন পূজা দে। তাঁর এই কাজে সহযোগী হিসাবে আছেন অধ্যাপক জে এন রায়। জানা গিয়েছে, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্সের অধ্যাপিকা পূজা দে। বাড়ি জলপাইগুড়ি জেলায়। ২০১৬ সালে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিজিক্সের অধ্যাপিকা হিসাবে যোগদান করেন। তখন থেকেই আসানসোলে থাকা।
advertisement
advertisement
একই সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন ডক্টর জে এন রায়। তাঁরা দুজনেই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করার পূর্বে অধ্যাপিকা পূজা দে কাজ করতেন স্পিনট্রেনিক্স এবং অধ্যাপক জে এন রায় অপ্টো ইলেকট্রনিক্স এর উপরে কাজ করতেন। দুইজনেই তাঁরা সিদ্ধান্ত নিলেন যদি কাজটা একসঙ্গে করা যায়! দু’জনেই শুরু করলেন সেন্টার ফর অর্গানিক স্পিনট্রেনিক্স এবং অপ্টো ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসেস। এটার তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন ফটো ডিটেক্টর এর কাজ শুরু করলেন। ২০২৩ সালে নতুন ধরনের কাজ শুরু করেন টপোলজিকাল ইনসুলেটর এর উপরে কাজ। গত ২০২৪ সালের টপোলজিকাল ইনসুলেটর বেসড ফটো ডিটেক্টর সংক্রান্ত কিছু প্রজেক্ট পাঠিয়ে ছিলেন আমেরিকার এয়ার ডিফেন্স ল্যাবরেটরিতে। সেই প্রজেক্ট দেখে কার্যত খুশি হয়েছিলেন সেখানকার আধিকারিকেরা। তার পরেই আসে এই প্রজেক্টে কাজ করার সুযোগ।
advertisement
অধ্যাপিকা পূজা দে তৈরি করেছেন টপোলজিক্যাল ইনসুলেটর বেসড ইনফ্রারেড ফটো ডিটেক্টর, তাঁর সহযোগী আছেন অধ্যাপক জে এন রায়। এই সেন্সরের তথ্য যাচাই করে দেখা গিয়েছে এটি অনেক নিখুঁতভাবে বার্তা দিতে সক্ষম এবং অনেক বড় তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের পরিসর জুড়ে কাজ করতে পারে। কিন্তু কীভাবে কাজ করবে এই ফটো ডিটেক্টর?
এই বিষয়ে অধ্যাপিকা পূজা দে বলেন, “সাধারণত যে ডিটেক্টর রয়েছে সেগুলি সীমাবদ্ধ এলাকা জুড়ে কাজ করে এর ফলে অনেকগুলো ডিটেক্টর এক সঙ্গে ব্যবহার করতে হয়। যেটা বানাতে চাইছি সেটা অনেকটা বড় জায়গা জুড়ে কাজ করবে এবং একটি ডিভাইসেই থাকবে তাতে খরচ কম হবে এবং অনেক বেশি নিখুঁত ডেটা সংগ্রহ করতে পারবে। পাশাপাশি নয়েজ কম হবে, সেন্সিভিটি বেশি হবে এবং রুম টেম্পারেচারের জন্য কাজ করবে”।
advertisement
তাঁদের এই কাজের জন্য বেছে নিয়েছে আমেরিকার ডিফেন্স সিস্টেম পেন্টাগন। দুই দফায় এক লাখ ডলার অনুমোদন পেয়েছেন। তাঁদের এই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ডঃ চন্দন কোনার সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য আধিকারিকগণ। এছাড়াও তিনজন পিএইচডির পড়ুয়া তাঁরাও এই কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন নীতিশ ঘোষ, মহম্মদ মিনহাজ আলীও শুভদীপ পাল।
advertisement
view comments
বাংলা খবর/ খবর/শিক্ষা/
বাংলার এই মহিলার উপর নির্ভরশীল আমেরিকা! 'ডিফেন্স সেন্সর' তৈরি করছেন কে? বিরাট প্রজেক্ট অধ্যাপিকার হাতে
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement