Crime News: সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে আপত্তি, সঙ্গিনীকে পুড়িয়ে মারল লিভ-ইন পার্টনার!
- Published by:Raima Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
পুলিশ সূত্রে খবর, আথিরার করা একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট নিয়ে আপত্তি ছিল শাহনওয়াজের। সেই থেকেই দু'জনের মধ্যে চরম বিবাদ শুরু হয়।
#তিরুঅনন্তপূরম: বেশ কিছুদিন ধরেই একসঙ্গে থাকা শুরু করেছিলেন শাহনওয়াজ ও আথিরা। কিন্তু গত মঙ্গলবার নিজের লিভ-ইন পার্টনার বছর ২৮-এর আথিরাকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল ৩০ বছরের শাহনওয়াজের বিরুদ্ধেই। পুলিশ সূত্রে খবর, আথিরার করা একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট নিয়ে আপত্তি ছিল শাহনওয়াজের। সেই থেকেই দু'জনের মধ্যে চরম বিবাদ শুরু হয়। যা শেষ হল একজনের মৃত্যুতে। ঘটনাটি ঘটেছে তিরুঅনন্তপূরমে। মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি আথিরাকে।
ঘটনার মূল অভিযুক্ত শাহনওয়াজ নিজেও আইসিইউ-তে ভর্তি। কারণ, আগুনে পুড়ে গিয়েছে তাঁর শরীরেরও অনেকটা অংশ। তিরুঅনন্তপূরম থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বে কোল্লামের আঁচল এলাকায় থাকতেন আথিরা ও শাহনওয়াজ। পুলিশ সূত্রে খবর, সোশ্যাল মিডিয়ায় আথিরার পোস্ট করা একটি ভিডিও দেখে রেগে গিয়েছিলেন শাহনওয়াজ। সেই থেকেই দু'জনের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। এবং উত্তেজনার বশে আথিরার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় শাহনওয়াজ।
advertisement
আঁচল পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইন-চার্জ সাইজু নাথ সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, 'সোশ্যাল মিডিয়ায় আথিরার পোস্ট করা একটি ভিডিও নিয়ে দু'জনের মধ্যে চরম ঝগড়া শুরু হয়েছিল। আথিরার মা পুলিশকে জানিয়েছেন, এর পর শাহনওয়াজই আথিরার গায়ে কেরোসিন ঢেলে দেয় এবং লাইটার দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। তাঁদের তিন মাসের এক সন্তানও রয়েছেন বলে খবর।'
advertisement
আথিরার ভয়ানক চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়েছিলেন তাঁদের বাড়িতে। তাঁরাই অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে আথিরা ও শাহনওয়াজকে হাসপাতালে নিয়ে যান। মঙ্গরবার রাতে ঘটেছিল এই ঘটনা। বৃহস্পতিবার আথিরা হাসপাতালে মারা যান। তাঁর শরীরে ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। শাহনওয়াজের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
view commentsLocation :
First Published :
June 11, 2021 5:57 PM IST