মাকে খুন করে স্ত্রীয়ের সঙ্গে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ল ছেলে, সকালে উঠে বললেন....
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- news18 bangla
Last Updated:
ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে ৷ তদন্ত চলাকালীন অভিযুক্ত ছেলেকে ধরে ফেলে স্নিফার ডগ ৷ এর জেরেই মাত্র ২৪ ঘণ্টায় খুনের কিনারা করে ফেলেন পুলিশ ৷
#গোয়ালিয়র: চাকরি নেই, বেকার ! তাই কথা শুনিয়েছিলেন মা ৷ রাগে তাই মাকেই নৃশংসভাবে খুন করলেন ছেলে ৷ পরিকল্পনা করেই মাকে হত্যা করেন ছেলে বলে জানিয়েছেন পুলিশ ৷ ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে ৷ তদন্ত চলাকালীন অভিযুক্ত ছেলেকে ধরে ফেলে স্নিফার ডগ ৷ এর জেরেই মাত্র ২৪ ঘণ্টায় খুনের কিনারা করে ফেলে পুলিশ ৷ গোয়ালিয়রে মেওয়াতি এলাকার বাসিন্দা রেনুকে বুধবার রাতে নৃশংসভাবে খুন করে দেওয়া হয় ৷ রেনু দেবীকে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করা হয় ৷ প্রথমে তাঁর মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয় ৷ এর জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর ৷ বাড়ির দোতলায় ঘুমিয়েছিলেন রেনু দেবীর ছেলে জীতেন্দ্র ৷ তিনি সকাল বেলা নীচে নেমে মায়ের মৃতদেহ দেখেন ৷
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ৷ গোটা ঘরে রক্ত ছড়িয়ে ছিল ৷ কিন্তু ঘরের বাইরে এক ফোঁটাও রক্ত পাওয়া যায়নি ৷ বাড়ির দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল ৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান যে আশপাশের কোনও ব্যক্তি এই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে ৷ পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জীতেন্দ্র জানিয়েছিলেন, তিনি স্ত্রীর সঙ্গে উপরের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন ৷ কিন্তু মধ্যরাতে কোনও আওয়াজ বা চিৎকার চেঁচামেচি তারা শুনতে পায়নি ৷ সকালে নীচে নেমে দেখেন মৃত অবস্থায় রেনু দেবী বিছানায় পড়ে রেয়েছেন ৷ এরপর ফরেন্সিক টিমের সঙ্গে পুলিশ ডগ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ৷ ঘটনাস্থল দেখার পর স্নিফার ডগ জীতেন্দ্রের হাত কামড়ে ধরে ৷ জীতেন্দ্রের হাত খতিয়ে দেখা হলে তাতে রেনু দেবীর চুল পাওয়া যায় ৷
advertisement
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সামনে জীতেন্দ্র ভেঙে পড়েন এবং নিজের দোষ স্বীকার করে নেন ৷ রেনু দেবীর ছেলে জানান, তিনি বেকার ছিলেন তাই মাঝেমধ্যেই তার মা চাকরি করার কথা বলতেন ৷ বেকার বলে মাঝেমধ্যেই কথা শোনাতেন ৷ বুধবার রাতেও এরকম কথা বলায় জীতেন্দ্রের মাথা গরম হয়ে যায় ৷ এরপর হাতুড়ি দিয়ে মায়ের মাথায় আঘাত করলে সেখানেই মৃত্যু হয় রেনু দেবীর ৷ খুন করার পর বাথরুমে গিয়ে জামা কাপড় ধুয়ে ফেলেন ৷ এরপর উপরে গিয়ে স্ত্রীর পাশে ঘুমিয়ে পড়েন ৷ সকালে উঠে একের পর এক মিথ্যে কথা বলতে থাকেন ৷ তবে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে দোষ স্বীকার করে নেন ৷ আপাতত তিনি পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন ৷
advertisement
Location :
First Published :
June 27, 2020 10:10 AM IST