Online Fraud: বিদেশে বসে ফোন, হিমাচলের মহিলার ৭৭ লক্ষ টাকা প্রতারণায় কলকাতা থেকে গ্রেফতার ২
- Written by:Amit Sarkar
- news18 bangla
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
পুলিশ সূত্রে দাবি, অভিযুক্তর আত্মীয়রা সৌদি আরব, পাকিস্তানের মতো দেশে থাকেন। অভিযুক্তরা প্রথমে তথ্য সংগ্রহ করেন কোন পরিবারের আত্মীয় বিদেশে থাকেন। এরপর অভিযুক্তরা প্রতারণা চক্রে শামিল করে নিজেদের বিদেশে থাকা আত্মীয়দের।
কলকাতা: হঠাৎ একটা অচেনা নম্বর থেকে ফোন। ফোন ধরতে গিয়ে দেখলেন বিদেশের নম্বর। ফোন ধরতেই ওপর প্রান্ত থেকে বলা হল আপনার ভাই বা বোন ফিলাডেলফিয়াতে থাকেন তো? উনি পুলিশি ঝঞ্জাটে পড়েছেন। এখনই টাকা পাঠাতে হবে। এই কথা শুনেই উদ্বেগের অন্ত নেই। আসলে পুরোটাই একটা পাতা ফাঁদ। এমনই এক ফাঁদে পড়ে হিমাচলের এক মহিলা খুইয়েছেন প্রায় ৭৭ লক্ষ ২২ হাজার টাকা। আর এই প্রতারণার ফাঁদের কিনারা করতে শহরে আসে হিমাচল প্রদেশের পুলিশ। কড়েয়া থানা এলাকা থেকে মহম্মদ রেহান ও মহম্মদ আমির নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে হিমাচলে নিয়ে গেল।
হিমাচল পুলিশের সাইবার সেলের পাঁচ আধিকারিক কলকাতায় আসেন। তাদের হাতে থাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও কিছু ফোনের বিস্তারিত তথ্য নিয়েই শুরু হয় প্রতারণার অপরাধীদের খোঁজ। আইইএমআই নম্বর ট্রাক করে জানা যায় মাস্টারমাইন্ড রয়েছে কড়েয়া থানা এলাকায় । কী ভাবে প্রতারণা? পুলিশ সূত্রে দাবি, অভিযুক্তর আত্মীয়রা সৌদি আরব, পাকিস্তানের মতো দেশে থাকেন। অভিযুক্তরা প্রথমে তথ্য সংগ্রহ করেন কোন পরিবারের আত্মীয় বিদেশে থাকেন। এরপর অভিযুক্তরা প্রতারণা চক্রে শামিল করে নিজেদের বিদেশে থাকা আত্মীয়দের।
advertisement
advertisement
বিদেশ থেকে ফোন করিয়ে ভীতি প্রদর্শণ করে টাকা আদায় করে চলত প্রতারণা। পুলিশ সূত্রে দাবি, হিমাচলের মহিলার এক আত্মীয় জার্মানিতে পড়াশোনা করেন। ওই মহিলার কাছে ফোন করে বলা হয় জার্মানিতে থাকা আত্মীয় পুলিশি ঝামেলায় পড়েছেন। আইনজীবী আপনার আত্মীয়কে ছাড়িয়ে আনবে টাকা পাঠাতে হবে। এখানেই শেষ নয় কয়েক লক্ষ টাকা তাদের পাঠানো অ্যাকাউন্ট নম্বরে পাঠানোর পর এবার নতুন ছক। পুলিশের নাম ভাড়িয়ে ফোন। হুমকি দিয়ে আরও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। ওই মহিলা প্রায় ৭৭ লক্ষ টাকা দেওয়ার পর তাঁকে বলা হয় আত্মীয়কে ফিরে পেতে আরও টাকা পাঠাতে হবে। এরপরই ওই মহিলা দ্বারস্থ হন হিমাচল পুলিশের। তদন্ত শুরু হয়। ফোন নম্বরগুলো ট্র্যাক করে দেখা যায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ থেকে এসেছে ফোন। আর অ্যাকাউন্ট নম্বর খাস কলকাতার । এরপর শুরু হয় ওই ফোন নম্বর ট্র্যাকিং। দেখা যায় কলকাতার বেশ কয়েকটি নম্বর থেকে ওই নম্বরগুলোতে ফোন গিয়েছে। টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ পৌছে যায় কড়েয়া। গ্রেফতার করা হয় দু’জনকে। আলিপুর আদালতে পেশ করে ১১ অগাস্ট পর্যন্ত ট্রানজিট রিমান্ড পেয়েছে হিমাচল পুলিশ।
view commentsLocation :
Kolkata,Kolkata,West Bengal
First Published :
Aug 09, 2023 7:23 AM IST








