Love and Dhoka: বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে চুটিয়ে সম্পর্ক রাখছেন, অ্যাকাউন্ট ফাঁকা হচ্ছে না তো, প্রতারণার নতুন ছক
- Published by:Debalina Datta
- hyperlocal
- Reported by:RUDRA NARAYAN ROY
Last Updated:
North 24 Parganas News: বয়ফ্রেন্ড করার আগে সাবধান, এভাবেই চলছিল প্রতারণা, ধরল পুলিশ
উত্তর ২৪ পরগনা: অভিনব পদ্ধতিতে একাধিক মহিলার সঙ্গে প্রতারণা। ঠিক যেন বলিউড সিনেমার টাইটেল – ‘লভ, সেক্স অউর ধোঁকা’- মূল পান্ডাকে গোয়া থেকে গ্রেফতার করল নিউটাউন থানার পুলিশ। আইটি কর্মী হিসাবেই কাজ করতেন তিনি। সেই সুবিধাতে আইটি কর্মরত মহিলা কর্মীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে তাদের সঙ্গে সহবাস ও তাদের ডকুমেন্টস নিয়ে ইএমআইতে তাঁদের নামে বিভিন্ন জিনিস কেনা ও লোন নেওয়ার কাজ সারতেন ওই যুবক৷ অভিযোগ তরুণীদের অজান্তেই নিজের আখের গুছিয়ে নেওয়ার কাজ করছিলেন তিনি। এভাবেই প্রতারণা করে অবশেষে পুলিশের জলে অভিযুক্ত যুবক। রবিবার তাকে তোলা হয় বারাসত কোর্টে।
পুলিশ সূত্রে খবর গত এপ্রিল মাসে নিউটাউন থানায় এক মহিলা অভিযোগ করেন যে কর্মক্ষেত্রে এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় এরপর সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। তখন সেই মহিলাকে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর কাছ থেকে আধার কার্ড, প্যান কার্ড সহ বিভিন্ন নথি নিয়ে, ওই মহিলার নামেই ইএমআইতে তাঁর অজান্তে বিভিন্ন জিনিস কেনে অভিযুক্ত যুবক।
advertisement
advertisement
শুধু তাই নয় ওই তরুণীর নামে লোনও নেওয়া হয়। এই ভাবেই তার সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে। এই অভিযোগ পেয়ে নিউটাউন থানার পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে হুগলি উত্তরপাড়ার বাসিন্দা মিলন নাদকর গোটা ঘটনা ঘটিয়েছে। তার খোঁজ শুরু হতেই জানতে পারে অভিযুক্ত ব্যক্তি পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এরপরেই পুলিশ খোঁজখবর শুরু করতে, জানতে পারে গোয়াতে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে অভিযুক্ত মিলন। সেই খবরের সূত্র ধরে নিউটাউন থানার পুলিশ গোয়াতে হানা দেয়। সেখান থেকে অভিযুক্ত মিলন নাদকারকে গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন – Grah Gochar: অগাস্টে একাধিক গ্রহের স্থান পরিবর্তন, তোলপাড় হবে বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার
নিউটাউন থানার পুলিশ অভিযুক্ত মিলন নাদকারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে যে, এই মিলন সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যে ও কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন মহিলা ও তরুণীদের সঙ্গে প্রথমে বন্ধুত্ব পাতাত সে৷ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের সঙ্গে সহবাসও করত। তাদের বিশ্বাস অর্জন করে সেই বিশ্বাসের জায়গা থেকে সেই মহিলা ও তরুণীদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে প্যান কার্ড আধার কার্ড সহ বিভিন্ন নথি নিয়ে নিত। সেই নথি দিয়ে বিভিন্ন শপিং মল থেকে ইএমআই এর মাধ্যমে দামি জিনিসপত্র কিনত সেইসব তরুণী ও মহিলাদের অজান্তে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা থেকে লোন ও নিত সে।
advertisement
এরপরই যখনই সেই সমস্ত মহিলা বা তরুণীদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কাটতে থাকে তখনই তারা জানতে পারত যে তারা কোনওভাবে প্রতারিত হয়েছে। এই ভাবেই অভিযুক্ত মিলন এক নতুন পদ্ধতিতে প্রতারণার ছক কসেছিল। পুলিশে জিজ্ঞাসা বাদে এখনও পর্যন্ত প্রায় লক্ষাধিক টাকার প্রতারণার হিসেব পাওয়া গিয়েছে। আরও কত জনের সঙ্গে এভাবে প্রতারণার জাল বিছিয়েছে অভিযুক্ত তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
advertisement
Rudra Narayan Roy
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
July 30, 2023 9:20 PM IST