মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা ! ধৃত ২
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
মোবাইলের টাওয়ার বসানোর নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা। ২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হল উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া থেকে।
Shanku Santra
#জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশের অভিযানে, হাবড়া থানা এলাকায় মোবাইলের টাওয়ার বসানোর নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে একটি অফিস থেকেই গ্রেফতার করা হল দু’জনকে ।
হাবড়ার স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার ঘটনা । শনিবার দুপুরে জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানার চার সদস্যের পুলিশের একটি দল এবং হাবড়া থানার পুলিশের সহযোগিতায় হাবড়ার স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় একটি বেসরকারি অফিসে হানা দেয় । সেখান থেকে বেশ বেশ কিছু মোবাইল, শতাধিক সিমকার্ড, কম্পিউটারের হার্ডডিক্স, মনিটর, প্রিন্টার-সহ বহু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায় । গ্রেফতার করা হয় মেন্টর মার্ট গ্রুপ ও ব্রেনলাইট এডুকেশন সলিউশন নামে সংস্থার দুই কর্মীকে ।
advertisement
advertisement
ধৃত সুব্রত চক্রবর্তী হাবড়ার হিজলপুকুর ডনপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও সুমিত দে নামে অন্য ধৃত যুবকের বাড়ি মছলন্দপুর নতুনপল্লী এলাকায় । এছাড়া ফরিদা খাতুন নামে বছর তিরিশের এক মহিলাকে তিন দিনের মধ্যে কোতোয়ালি থানায় হাজিরার জন্য নোটিশ দেয় তদন্তকারী অফিসাররা । মহিলা পুলিশ না থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়নি । কোতোয়ালি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, টাওয়ার বসানোর এবং টাওয়ার বসিয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে বেশ কিছু মানুষের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছে তারা ।
advertisement

মাসিক ৬০০০ টাকার বিনিময়ে অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের দিয়ে ফোন করিয়ে সাধারণ মানুষদের জমি সংক্রান্ত তথ্য নেওয়া হতো এবং তাদের বেসরকারি টেলিকম সংস্থার টাওয়ার বসানোর জন্য মগজ ধোলাই করা হত । এরপর কারো কাছ থেকে দেড়, দুই বা আড়াই লক্ষ টাকা করেও আগাম টাকা নেওয়া হত সিকিউরিটি ডিপোজিট হিসাবে । সমস্ত টাকাই ব্যাংকের মাধ্যমে আসত ফরিদা খাতুনের অ্যাকাউন্টে ।
advertisement
এই অফিসে এরকম অন্তত ১০ জন কম বয়সী ছেলে মেয়েরা কাজ করে । কেউ স্কুলের গণ্ডি পার হতে পারেনি, আবার কেউ কলেজ পড়ুয়া । কল সেন্টারে কাজ করার জন্য পরিচিতদের মারফত কিংবা বিজ্ঞাপন দিয়ে নেওয়া হত ছেলে মেয়েদের । পুলিশ আসার পর তারা বলে,না জেনেই এখানে কাজে ঢুকেছিল। এই ছেলে মেয়েদের কাজ সারা দিন ফোন করে ,মানুষকে মোবাইল টাওয়ার বসানোর প্রলোভন দেওয়া,সঙ্গে মোটা টাকার লোভ দেখানো। কোনও ভাবে কেউ রাজি হয়ে গেলে তার কাছ থেকে জমির কাগজ নেওয়া,সঙ্গে সিকিউরিটি টাকা জমার জন্য রাজি করাতে হত । রাজি হয়ে গেলেই এরা চেকের মাধ্যমে টাকা জোগাড় করে নিত। টাকা নেওয়া হয়ে গেলেই আর এদের টিকিটিও পাওয়া যেত না।
advertisement
জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানার রায়কোত পাড়া এলাকার বাসিন্দা রাজেশ ওরাও নামে প্রতারিত হওয়া এক ব্যক্তি কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । সেই ঘটনার তদন্তে নেমে কোতোয়ালি থানার পুলিশ শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার ওই অফিসে হানা দেয় । তিন ঘণ্টা ধরে ওই অফিসে তল্লাশি চালায় তদন্তকারিরা । সূত্র মারফত জানা গে,ছে এই চক্রটি শুধু জলপাইগুড়ি নয় ,রাজ্য কিংবা রাজ্যের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় এই ভাবে ফোন করে প্রতারণা করছে।
advertisement
এরা বিভিন্ন এলাকাতে এজেন্ট মারফত আর্থিক স্বচ্ছল মানুষের খোঁজ নিয়ে ,তাদের নম্বর জোগাড় করে ফোন করত। আর এই ভাবে মিষ্টি ভাসী ছেলেমেয়েদের দিয়ে ফোন করিয়ে লোভ দেখাতো।এদের মূল চক্রের খোঁজ করছে পুলিশ। পুলিশের কাছে আসা তথ্য অনুযায়ী,পুরো চক্রটি চলছে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ থেকে।
Location :
First Published :
December 29, 2019 1:57 PM IST