Kolkata Crime: সাধারণ মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলতে তিলজলায় বেআইনি কল সেন্টার, পুলিশি অভিযান, গ্রেফতার ১২

Last Updated:

পুলিসের দাবি, বেআইনি কার্যকলাপ (Illegal activities) মূলত সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করার উদ্দেশ্য নিয়ে খোলা হয়েছিল এই কল সেন্ট্রার।

#কলকাতা: শহরে ফের বেআইনি কল সেন্টারের হদিশ (Illegal call center)। প্রতারণার ফাঁদ পাততেই কল সেন্টার খোলা হয়েছিল, এমনই দাবি কলকাতা পুলিশের। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তিলজলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১২জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।৩/১ই, চৌবাগা রোডে একটি ফ্ল্যাট বাড়ি ভাড়া নিয়ে চলছিল কল সেন্টার। পুলিসের দাবি, বেআইনি কার্যকলাপ মূলত সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করার উদ্দেশ্য নিয়ে খোলা হয়েছিল এই কল সেন্ট্রার। নির্দিষ্ট তথ্য হাতে আসার পর অভিযান চালায় গোয়েন্দা বিভাগ।
পুলিশের আরও দাবি, অভিযানে গিয়ে হাতেনাতে কয়েকজনকে পাকড়াও করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই মোট ১২ জনের হদিশ পান তদন্তকারী অফিসাররা। এরপরই তাদের গ্রেফতার করা হয়। ওই বেআইনি কল সেন্টার থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি ল্যাপটপ, একটি সিপিইউ, তিনটি হার্ড ডিস্ক, দুটি ওয়াইফাই রাউটার, অফিসের অ্যাটেইনডান্স রেজিস্ট্রার খাতা সহ একাধিক নথিপত্র। ওই ১২জন ছাড়াও আর কতজন যুক্ত রয়েছে এই চক্রের সঙ্গে খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস। ধৃতদের অধিকাংশের বাড়ি তিলজলা, বেনিয়াপুকুর থানা এলাকায়। ধৃতদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
advertisement
কাদের সাথে প্রতারণা হত? জানা গিয়েছে যারা অনলাইন কেনাকাটা করেন, তাদের ফাঁদে ফেলা হত। অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে কেউ কোনও কিছু কেনার জন্য অর্ডার দিলে, তাদের তথ্য চুরি করে যোগাযোগ করত এই কল সেন্টারের কর্মীরা। এরপর কোনও গ্রাহক তার অর্ডার বাতিল করলে বা এক্সচেঞ্জ করতে চাইলে শুরু হত প্রতারণা। গ্রাহকদের প্রতারকরা জানাতেন আপনার কাছে একটি লিঙ্ক পাঠানো হবে, তাতে ফর্ম থাকবে। তা পূরণ করতে হবে। গ্রাহকরা এই লিঙ্কে ক্লিক করলেই গ্রাহকদের মোবাইল, ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের সমস্ত তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হত। এমন কি হ্যাক পর্যন্ত করা হত। সমাধানের পথ বলেও প্রতারণা করা হত। সফটওয়্যার সার্ভিস দেওয়া হবে বলে অন লাইনে লেনদেন করতে বলা হত৷ এভাবে টাকা প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যেত কিন্তু কাজ হত না…এই গ্রুপটির টার্গেট ছিল ইংল্যান্ড এবং আমেরিকার গ্রাহকরা৷
advertisement
advertisement
প্রসঙ্গত গত জুন মাসের শেষ সপ্তাহে এই রকম আরও একটি বেআইনি কল সেন্টারে অভিযান চালিয়ে ১৯জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই সময় অভিযোগ ছিল কলকাতায় বসে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের সাথে প্রতারণা করা হয়। পুলিশের দাবি, এই বেআইনি কল সেন্টার গুলো মূলত কোনও নামি সংস্থার নাম ভাড়িয়ে বিভিন্ন গ্রাহকদের সহায়তা দেওয়ার নামে প্রতারণা করে থাকে। বিশেষ করে এই কল সেন্টারগুলি থেকে সফটওয়্যার সার্ভিস বা তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত সহায়তা দেওয়া হয়, এই বলেই বিভিন্ন সময় সাধারণ মানুষকে ফোন করে ফাঁদে ফেরার চক্রান্ত করা হয়। সহায়তা দেওয়া হবে, এই বলে গ্রাহকের থেকে অন লাইনে টাকা নিয়ে সহায়তা না দেওয়ার অভিযোগ থাকে এদের বিরুদ্ধে। এমন কি অনলাইনে টাকা নেওয়া সময় ব্যাঙ্কের তথ্য হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।  সেই রকম পরিকল্পনা ছিল বলেই দাবি পুলিশের।
advertisement
(Amit Sarkar)
view comments
বাংলা খবর/ খবর/ক্রাইম/
Kolkata Crime: সাধারণ মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলতে তিলজলায় বেআইনি কল সেন্টার, পুলিশি অভিযান, গ্রেফতার ১২
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement